এক নযরে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বৎসর ভিত্তিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জিবনী মুবারক (২৩)
এডমিন, ০৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক জানা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ পৃথিবীর ইতিহাসে আরবীসহ বিভিন্ন ভাষায় অনেক জীবনী মুবারক লেখা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো- এ পর্যন্ত উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ সম্পন্ন জীবনী মুবারক লেখা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। প্রত্যেকটি কিতাবেই আক্বীদাগতভাবে তো নানা কুফরী রয়েছেই; এমনকি সন তারীখগুলোও এলোমেলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! মুসলমানদের জন্য ফরয ছিলো- সন তারীখগুলো ঠিক করে বৎসর, মাস ও দিন অনুযায়ী বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক সম্পন্ন একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক লেখা। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কেউ এই মহান কাজে হাত দেয়নি। আর বর্তমানে তো এরূপ জীবনী মুবারক লেখার চিন্তা করাটাও একটা অসম্ভব বিষয়। কারণ ছোট-বড় কোনো কিতাবাদিতেই এ বিষয়গুলোর বর্ণনা নেই। তাহলে এটা কি করে সম্ভব?
কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে রয়েছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ২৪ ঘণ্টা দায়িমী হাক্বীক্বী দীদার মুবারক ও বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তিনি ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন, “তিনি প্রথমে বৎসর অনুযায়ী, তারপর মাস অনুযায়ী, তারপর দিন অনুযায়ী, অতঃপর ঘণ্টা অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক প্রকাশ করবেন।” ইনশাআল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান পর্যন্ত যে সকল তারীখ মুবারক ও বিষয় মুবারকগুলো তিনি কায়িনাতের মাঝে প্রকাশ করেছেন, সে অনুযায়ী এক নজরে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বৎসর ভিত্তিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জিবনী মুবারক তুলে ধরা হলো-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪৬তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৬ষ্ঠ বছর):
* এই বৎসরে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
* মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ-এ গিয়ে প্রকাশ্যে সম্মানিত ছলাত আদায় করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
* এই বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই যিলহজ্জ শরীফ রাতে চন্দ্র দ্বিখ-িত হওয়ার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বিয়াহ্ মুবারক সংঘটিত হন। সুবহানাল্লাহ!
* এই বৎসরই মুহররমুল হারাম শরীফ মাসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে শি’বে আবূ ত্বালিব-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪৭ তম ও ৪৮তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৭ম বছর):
শি’বে আবূ ত্বালিব-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪৯তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৯ম বছর):
এই বৎসর সম্মানিত মুহররমুল হারাম শরীফ মাসে শি’বে আবূ ত্বালিব থেকে প্রত্যাবর্তন মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।