মন্তব্য কলাম
এদেশে যারা পহেলা বৈশাখের নামে বাঙ্গালীয়ানার হুজ্জোতে মেতে উঠে তারাই আবার ইংরেজী থার্টি ফার্স্ট নাইটের অশ্লীলতায় মজে থাকে। পহেলা বৈশাখের বাঙ্গালীয়ানা এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের খ্রীষ্টিয়ানা কোনটাই ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে চলতে পারে না। পশ্চিমা বিজাতীয় খ্রিষ্টানদের অপসংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বিজাতীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী তথা দেশের যুবসমাজের চরিত্র বিধ্বংসী।
যারা থার্টি ফার্স্ট নাইট হালাল বলবে, যারা গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্বাস করবে, যারা খ্রিস্টানদের অনুসরণ করবে তাদের সাথেই তাদের হাশর-নাশর হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
, ২৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১৬ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
বিজাতীয় সংস্কৃতি কথিত থার্টি ফার্স্ট নাইটে বাড়ির ছাদসহ খোলা জায়গায় পার্টি-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে ডিএমপি। পাশাপাশি আতশবাজি ও বিষ্ফোরক দ্রব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কথিত বর্ষবরণ অপসংস্কৃতিটি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িজ। পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতির সাথেও সম্পৃক্ত নয়। ইতিহাস সূত্রে, “খ্রিস্টপূর্ব ১৪৫০ থেকে ১৬০০ সালে প্রাচীন মিসরীয়রা চূড়ান্ত রকমের মদ্যপান আর বাদ্যযন্ত্রের উন্মাতাল শব্দে নেচে-গেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো বর্ষবরণের খবর তৈরি করেছে। প্রাচীন মিসরীয়দের বর্ষবরণ করার মূল লক্ষ্য ছিল- মদ পানের প্রভাবে বেহুঁশ হয়ে যাওয়া। এটাকে কথিত দেবতার সাথে সাক্ষাতের মাহেন্দ্রক্ষণ মনে করা হতো। যারা নতুন বছরে এটা করতে পারতো তাদেরকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করা হতো। (নাউযুবিল্লাহ!)
অতএব, দেখা যায়- বর্ষবরণের সাথে বিধর্মীয় বিশ্বাস অনুভূতি যোগটা সে শুরু থেকেই ছিল বা বর্ষবরণকারীরা ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই তা করতো।
এদিকে সারাবছর বর্বর ইহুদীবাদী ইসরায়েলিরা মদ, নারীনৃত্যে বিভোর থাকলেও বর্ষবরণ তাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গের বিরোধী। বর্ষবরণকে তারা খ্রিস্টানী কালচার মনে করে। এ ব্যাপারে তাদের ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ একমাত্র হক্ব পবিত্র দ্বীন সম্মানিত ইসলাম উনার মধ্যে এই বিজাতীয় অশ্লীল বর্ষবরণের অপসংস্কৃতি কঠোরভাবে নিষেধ করা হলেও বর্তমান মুসলমানরা সেটা অহরহ পালন করে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য, বর্তমান বিশ্বকে নতুন পরিভাষায় ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ বা বিশ্ববাসী একই এলাকার বাসিন্দা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কথিত বিশ্ববাসী একই এলাকার বাসিন্দা হতে গিয়ে যেসব শর্তে ঐকমত্য হতে হয়েছে সব শর্ত অলিখিতভাবে পালন করছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন দেশের উৎসবগুলো সমস্ত বিশ্ববাসী একযোগে উদযাপন করবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহের সকল উৎসব ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সভ্যতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে মানানসই নয়। কাজেই কথিত গ্লোবাল ভিলেজ অথবা ওয়ান ওয়ান ওয়ান ড্রিম শ্লোগানকে প্রত্যাখ্যান করে মুসলমান হিসেবে আমাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সভ্যতাকে লালন করতে হবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইংরেজি ক্যালেন্ডার ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন বিরোধী হলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় আমাদের কাজ-কর্মের তারিখ নির্ধারণের, হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণে, আন্তর্জাতিক আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তাই এতে যতই ঔপনিবেশিক গন্ধ থাকুক না কেন, এতে প্রায় ২০০ বছরের গোলামির জোয়ালের চিহ্ন থাকুক না কেন, দেশের জনগণ এর থেকে মুক্ত হতে পারছে না এ কারণেই আমরা স্বকীয়সত্তা সজাগ হওয়ার চেতনার কথা বললেও, আমরা নিজস্ব সংস্কৃতিকে সমুন্নত করার কথা বললেও তা যেন অবস্থার দৃষ্টিতে মনে হয় বাতকা কি বাত তথা কথার কথা। ইংরেজি নববর্ষ আমাদের কাঁধে যেন ইংরেজদেরই করা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে এমনভাবে চেপে বসে আছে যে, রাষ্ট্রযন্ত্র এটা ছাড়তে পারছেনা। নাঊযুবিল্লাহ!
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখ লেখার শেষে যে এডি (অ.উ) লেখা হয় তা লাতিন অ্যানো ডোমিনি (অহহড় উড়সরহর)-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই অ্যানো ডোমিনির অর্থ আমাদের প্রভূর বছরে (ওহ ঃযব ুবধৎ ড়ভ ড়ঁৎ খড়ৎফ) অর্থাৎ খ্রিষ্টাব্দ। ডাইওনিসিয়াম একমিগুয়াস নামক এক খ্রিষ্টান পাদরী জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ৫৩২ অব্দে যিশু খ্রিষ্টের জন্ম বছর থেকে হিসাব করে এই খ্রিষ্টাব্দ লিখন রীতি চালু করে।
আমাদের দেশে ইংরেজি তথা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার যে ব্রিটিশ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানি আমাদের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে আমাদের উপর গোলামির জোয়াল চাপিয়ে দেয়, সেই ব্রিটিশ এই ক্যালেন্ডার তাদের দেশ ব্রিটেনে চালু করে ১৭৫১ খ্রিষ্টাব্দে। তারা যেখানেই তাদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে, সেখানেই তারা তাদের পোশাক-আশাক, শিক্ষা-দীক্ষা, প্রশাসনিক কাঠামো, সংস্কৃতি যেমন চাপিয়ে দিয়েছে, তেমনি তাদের ক্যালেন্ডারটিও দিয়েছে, তারা প্রধান সেজে বসেছে আর নেটিভদের বানিয়েছে মোস্ট অবিডিয়েন্ট সারভেন্ট। এর থেকে কি আমরা নিজেদের উদ্ধার করতে পারব না?
বাঙালী তথা বাঙালী মুসলমানদের জন্য থার্টি ফার্স্ট নাইট এমন একটা উৎসব যেটা পালনের মাধ্যমে বাঙালীরা তাদের স্বতন্ত্র সত্তাকে বিকিয়ে দেয়। প্রবাদ রয়েছে কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে তাদের এতিহ্য, সভ্যতা এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দাও। একটি জাতিকে অকার্যকর করার জন্য যুব সমাজকে ধ্বংস করে দেয়াই যথেষ্ট। এই যুব সমাজ ধ্বংসের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে থার্টি ফার্স্ট নাইট এর সংস্কৃতি।
থার্টি ফার্ট নাইট পালনের নামে গোটা দেশ অশ্লীলতার চাদরে ঢেকে যায়। ক্লাবগুলোসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল এবং কিছু বাসায় রাতভর চলে ব্যভিচার আর নানা অনাচার। তরুণ-তরুণীদের ধ্বংস করার জন্য যা চাই তার সবটার রসদ এসব অনুষ্ঠানে মওজুদ থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
গান-বাজনা, নাচ-গান, ডিস্কো বা ডিজে (উলঙ্গ নৃত্য), পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া কার, মটরসাইকেল চালনা, আনন্দযাত্রা, তরুণ-তরুণীদের রাতভর উল্লাস, মদ-বিয়ারসহ নানা মাদকদ্রব্য সেবনে প্রলুব্ধ করতে ওপেন এয়ার কনসার্ট, লাইভ ড্যান্স, সংগীতানুষ্ঠান এবং এমন সব হারামের আয়োজন যা তরুণ-তরুণীদেরকে বিভিন্ন অপকর্ম করতে প্রলুব্ধ করে ।
‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ অনুষ্ঠানের উৎসব উদযাপন করতে গিয়ে সাময়িক মোহে, মুহূর্তের ভালো-লাগায় হাজার পিতৃহীন সন্তান জন্মের উপলক্ষ তৈরি হয়। যেসব ছাত্রীরা বা তরুণীরা এ রাতের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে বের হয়, তাদেরকে নানারকম দৈহিক লাঞ্ছনা নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়। প্রায় প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে সম্ভ্রমহরণের মতো মারাত্মক জঘন্য ঘটনা ঘটে থাকে। তার মধ্যে দু’একটি প্রকাশ পেলেও অধিকাংশ বুকের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে থাকে। বখে যাওয়া ছেলেরা তাদের নফসের খাহেশ পূরণের মানসে এ রাতটিকে টার্গেট করে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকলেও হোটেল ও নাইটক্লাবগুলোর অশ্লীল ডিজে অনুষ্ঠান ও দেহব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাদের পরোক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সঙ্গতকারণেই তাই বলতে হয়- নববর্ষের নামে যেসব হারাম ও কুফরী কাজের অবতারণা করা হয় তা দূর করতে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে। ” (আবূ দাঊদ শরীফ) কাজেই থার্টি ফার্স্ট নাইট যারা পালন করবে, তারা মূলত খ্রিস্টান।
খ্রিস্টানরা মৃত্যুর পরে তাদের জবাবদিহিতায় চিন্তিত নয়। তাই ওরা এসব করতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিমপ্রধান দেশের জনগণ পশ্চিমাদের চিন্তা, পশ্চিমাদের বিশ্বাস দিয়ে জীবন চালাবে কেন? তারা কি ভুলে গেছে মৃত্যুর পরে তাদেরকে প্রতি কাজের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে জবাবদিহি করতে হবে? মুসলমান বাঁচতে পারবে না। বরং পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী খ্রিস্টানদের সাথেই তাদের হাশর-নাশর হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
“খাও, দাও, ফূর্তি করো”-এটি কোনো মুসলিমের চিন্তা হতে পারে না। একজন মুসলিমের সুখ, আনন্দ এসব কিছুতে নিহিত নেই। বরং একজন মুসলিম তো তখনই সুখ পায়, আনন্দ পায় যখন সে মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ মেনে চলে মহান আল্লাহ উনাকে সন্তুষ্ট করতে পারে। আর মহান আল্লাহ পাক উনাকে সন্তুষ্ট করাই তো একজন মুসলিমের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমি জিন ও মানুষকে শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। ” (পবিত্র সূরা যারিয়াত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ- ৫৬)
প্রসঙ্গত, প্রত্যহ যখন দিন আর রাত অতিবাহিত হয়, একটি বছর সমাপ্ত হয় তখন প্রতিটি মুসলমানদের অনুভূতি কি হতে পারে? আনন্দের, নাকি বেদনার, নাকি চিন্তার?
প্রসঙ্গত, এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট নামক বিজাতীয় অপসংস্কৃতিটির অনুষ্ঠান খোলা জায়গায় করতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি- পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের উচিত- থার্টি ফার্স্ট নাইটকে শুধু দিনেই সীমাবদ্ধ করা নয়; বরং পুরোটাই বাতিল করা। সম্মানিত ইসলামী আক্বীদা ও আমলের সাথে বৈরীপূর্ণ এবং ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী তথা চরিত্র বিধ্বংসী থার্টি ফার্স্ট নাইট বাতিল করা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












