সম্পাদকীয়-২
ওয়ার্ল্ড স্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন, ইউনিসেফ ইত্যাদি ইহুদী, খ্রিস্টান সংস্থার প্রচারণা থেকে কেনো মুসলমান মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে উৎসাহিত হবে? ওহীক ইলিমকে কদর করার ক্ষেত্রে মুসলমানদের হীনম্মন্যতা কেনো?
, ১১ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৭ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৬ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের তথ্য বলছে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় চার মিলিয়ন নবজাতকের মৃত্যু ঘটে জন্মের চার সপ্তাহের মধ্যে। এর থেকে ৩১ শতাংশ শিশুর মৃত্যু রোধ করা যেত, যদি নবজাতকের জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হতো।
বাংলাদেশেও শিশুদের মায়ের বুকের দুধ পান করানোর ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে। নানা কারণে এই অনীহা অনেক মায়ের ক্ষেত্রে কাজ করছে। এর মধ্যে সচেতনার অভাব, চাকরিজীবী মায়েদের কাজে ব্যস্ততা, কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে বাজারের কৌটার দুধে মায়েদের আসক্ত এবং কখনও কখনও কিছু মায়েদের সৌন্দর্যের বিষয়টিও পরিলক্ষিত হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ফলে দেশে মাতৃদুগ্ধ পানের হার আশানুরূপ নয়।
বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ বিডিএইচএসের তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ সালে ৬৫ শতাংশ শিশু মায়ের বুকের দুধ পেলেও, বর্তমানে এ হার কমে হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
অথচ শিশুজন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ শিশুর জন্য আদর্শ খাদ্য। এ সময় শিশুর জন্য একফোটা পানিরও প্রয়োজন নেই।
শিশুর প্রথম ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ (এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং) শিশুর অপুষ্টিজনিত সমস্যা কমায় এবং ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শিশুমৃত্যু কমায়। দুধ না খাওয়ালে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুণ বৃদ্ধি পায়। ডায়রিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১১ গুণ বাড়ে। এ ছাড়া অপুষ্টি ও অন্যান্য কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৪ গুণ বৃদ্ধি পায়। যারা ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করেছে, তারা অন্যদের তুলনায় ৩৫ শতাংশের বেশি মেধাবী হয়।
মায়ের দুধের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ১ আগস্ট থেকে পালিত হয়-‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫’। সপ্তাহ উপলক্ষে অন্তঃসত্ত্বা মা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মাতৃদুগ্ধ দান, মাতৃদুগ্ধের বিকল্প শিশুখাদ্য এবং পুষ্টিবিষয়ক অবহিতকরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশনের (ডাব্লিউএবিএ) দেওয়া এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে-‘টেকসই সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করুন’। ১৯৯০ সালে ইউনিসেফ বিশ্বব্যাপী শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য বুকের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে ইনোসেন্টি ঘোষণা করে। ১৯৯১ সালে ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন গঠন হয়। প্রথম বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ১৯৯২ সালে পালিত হয়। প্রতি বছর ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়।
প্রসঙ্গত, খুব ঝাঝালো প্রশ্ন উঠে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ- এসব ইহুদী-খ্রিস্টান মুশরিক সংস্থাগুলোর প্রচারণায় কেনো মুসলমান মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানো সম্পর্কে সচেতন হবে? উৎসাহিত হবে? নির্দেশনা পেতে হবে? পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফে কি এই বিষয়ে ইলিম দেয়া হয়নি? মুসলমান কেনো সেই ওহীক ইলিমের মূল্যায়ন করে না।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে। ’ (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াত শরীফে বলেন, ‘তাকে সন্তানধারণ করতে ও দুধ ছাড়াতে লাগে ত্রিশ মাস। ’ (পবিত্র সূরা আহকাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘শিশু জন্মের পরপর মায়ের বুক থেকে যে দুধ আসে তা শিশুর জন্য অত্যন্ত সুষম, উপাদেয় ও উপকারী খাবার। ’ (জামে তিরমিযী)
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘বাচ্চা জন্ম গ্রহণ করার পর দুধের যে ফোঁটা বের হয় আর বাচ্চা যখন তা পান করতে থাকে তখন প্রত্যেক ঢোক এবং প্রত্যেক ফোঁটাতে নারী নেকী পেতে থাকে। ’ (মাজমাউয যাওয়ায়েদ: ৪/৩৫২)
আমরা আশা করবো যে, মায়েরা সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাওয়ার জন্য কাফের মুশরিকদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে না। পবিত্র কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফের আলোকে সন্তান ও নিজের হক্ব রক্ষা করবেন। মহান আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টির জন্য সন্তানকে বুকের দুধ পান করাবেন। ইনশাআল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












