কথিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা রোযার উপর গবেষনা করে রোযার মাহাত্ম স্বীকার করে তথাকথিত নোবেল পুরষ্কার পায়! কিন্তু মুসলমান দ্বীন ইসলামের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় লজ্জাকরভাবে ব্যার্থ হয়। কথিত বিজ্ঞান ও কথিত স্বাস্থবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসাদের মত রোযার উপকারিতা অপরিসীম। (পর্ব-২)
, ০৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
রক্তের বিভিন্ন কণিকা ও উপাদানে পরিবর্তনঃ রোযা রাখার ফলে রক্তের বিভিন্ন কনিকা যথাঃ লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা, অনুচক্রিকা প্রভৃতির বৃদ্ধি ঘটে; যা আমাদের দেহকে সুরক্ষিত করে। অন্যদিকে প্রদাহ এবং প্রদাহের অনুঘটক রাসায়নিক উপাদান যথাঃ ওখ-১, ওখ-৬, ঞঁসড়ৎ হবপৎড়ংরং ভধপঃড়ৎ এর পরিমান হ্রাস পায়; যারা প্রকারান্তরে দেহে ক্যান্সারের অনুঘটক। সুতরাং রোযা ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে।
হৃদরোগসমূহের হ্রাসঃ বহু গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, রোযা হৃদযন্ত্রের কোষসমূহের কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করে; যাতে আমাদের দেহে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এ সময় রক্তের সুগার, চর্বি, ইনসুলিন, হৃদকম্পন, নাড়ির গতি লক্ষণীয়ভাবে হ্রাসের কারণে হৃদপিন্ডের বহুবিধ রোগ কমে এবং রক্তচাপ ও মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়; যা দেহের রক্তনালী, রক্ত ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ প্রশমনে সহায়তা করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রশমনঃ রোযা শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপাদান কিংবা ক্যান্সার উৎপত্তির অনুঘটক যেমনঃ সাইটোকাইনসমূহ, লেপটিন, এডিপোনেকাটিন প্রভৃতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ক্যান্সার উৎপত্তির সম্ভাবনাকে হ্রাস করে। এছাড়া আমাদের রক্তের ওখ-৬, ওখ-১ই, ঞঘঋ-α কমায় যা শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি হিসেবে পরিচিত। রোযা শরীরে জাড়িত অক্সিজেনের বিভিন্ন অঙ্গাণু কমাতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায়।
প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালীকরণঃ রোযা একদিকে রক্তের বিভিন্ন রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে; অপরপক্ষে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান ওখ-৬, ওখ-ওই, ঞঘঋ-α, লিস্ফোসাইট, মনোসাইট প্রভৃতি কমায় ফলে পরোক্ষভাবে আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে।
স্নায়ু রোগ প্রতিরোধ ঃ গবেষণায় দেখা যায় যে, রোযা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকরী কোষ নিউরনসমূহকে সুরক্ষিত রাখে, ফলে বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুতন্ত্রের রোগ যেমনঃ আলজেহিমারস রোগ, স্ট্রোক প্রভৃতি রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।
শরীরের প্রধান অঙ্গ সমূহের বিকল্প পুষ্টিঃ রমাদ্বান শরীফের রোযার সময় বিপাক প্রক্রিয়ায় রক্তের কিটোন বডির পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে যখন শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস পায়, তখন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যথাঃ হৃদপিন্ড, মস্তিষ্ক ও গোশত পেশী সমূহে এই কিটোন বডি থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ রোযার সময় ঘুমের চক্রের পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার নানা দিক পরিবর্তন ঘটে। গবেষণালব্ধ তথ্যে দেখা যায় যে, এসব পরিবর্তনের ফলে শরীরে বিভিন্ন হরমোন ও এনজাইমেও পরিবর্তন ঘটে; স্টেরয়েড হরমোন, পিটুইটারি হরমোন, থাইরয়েড হরমোন, মেলাটোনিন প্রভৃতি অন্যতম। এদের সবকটি শরীরের বিপাক এবং শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িত। রোযায় এসব হরমোনে পরিবর্তনের ফলে রক্তের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রেই হ্রাস পায়। ফলে শরীরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
দেহের সুরক্ষা বৃদ্ধিঃ রোযার সময় আমাদের স্বাস্থ্যহানিকর বিভিন্ন কর্মকান্ড যথাঃ ধূমপানসহ নানাবিদ বদঅভ্যাস থেকে বিরত থাকি। এসব কারণে শরীরের ক্ষতিকারক বায়োমার্কার উৎপত্তি হ্রাস পায়, ফলে বিভিন্ন অঙ্গসমূহ সুরক্ষিত থাকে।
আয়ুষ্কাল বাড়ায়ঃ রমাদ্বান শরীফে আমাদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। দৈহিক সুস্থতা, মানসিক প্রশান্তি, সামাজিক কল্যাণ ও আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতার মাধ্যমে আমাদের শারীরিক সুস্থতার উন্নতি ঘটে এবং আমাদের আয়ুষ্কাল বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যের সংজ্ঞায় মূলতঃ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক তিনটি উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায়, রোযা মানুষের স্বাস্থ্যের সবকটি বিভাগেই ইতিবাচক এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তাই একজন সুস্থ মানুষের জন্য রোযা শুধু নিরাপদই নয়, স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং অধিকতর সুরক্ষিতও করে। তবে যারা বিভিন্ন অসুখ বিসুখে আক্রান্ত এবং সারাদিন না খেয়ে থাকায় স্বাস্থ্যের অবনতি বা চিকিৎসার ব্যাঘাত ঘটতে পারে; তাদের রোযা থেকে বিরত থাকার বিধান রয়েছে। এমনকি গর্ভবতী মহিলা বা ভ্রমণে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের জন্যও রোযা থেকে অব্যাহতি প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: রোযা রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের রক্তে এক ধরনের চর্বি থাকে, যাকে কোলেস্টেরল বলে। কোলেস্টেরল অনেক বেশি পরিমাণে থাকলে রক্তনালিতে চর্বি জমে নালি সরু হয়ে যেতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আরব আমিরাত ও বাহরাইনের গবেষকরা ৯১টি গবেষণা একত্র করে দেখেছেন, রমাদ্বান শরীফের রোযায় রক্তে কোলেস্টেরল আগের তুলনায় ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর মধ্যে বাংলাদেশেরও তিনটি গবেষণা রয়েছে।
১৯৯৭ সালে ‘দেহের সজীব পুষ্টির ইতিবৃত্ত’ শিরোনামে পরিচালিত এক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, রোযা মানবদেহের খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে নিয়ে আসে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। আর এর মাধ্যমে মানুষের হার্টকে কার্ডিও ভাসকুলার রোগ থেকে রক্ষা করে। (দৈনিক আল-আরাবিয়া, ৮ জুলাই, ২০১৪)
ওজন কমাতে সাহায্য করে: বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের করা ৩৫টি গবেষণা একত্র করে দেখা গেছে-রমাদ্বান শরীফের রোযার পর গড়ে এক থেকে দেড় কেজি ওজন কমে। এটা গড় হিসাব। অর্থাৎ কারও ওজন এর থেকে বেশি কমেছে, আবার কারও ওজন বেড়েছে।
পেটের স্বাস্থ্য ভালো হওয়া: মানবদেহের নাড়ি-ভুঁড়িতে অনেক জীবাণুর বসবাস, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ আরও অনেকভাবে স্বাস্থ্যের উপকার করে। না খেয়ে থাকলে শরীরে উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বাড়ে। অর্থাৎ রোযা রাখলে এই ক্ষেত্রে উপকারিতা আছে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ: ২০১৯ সালে লন্ডনের পাঁচটি মসজিদে একটি গবেষণা হয়। গবেষণার নাম ‘লন্ডন রামাদানস স্টাডি’। রমাদ্বান শরীফের আগে-পরে ব্লাড প্রেশার মেপে দেখা যায় কোনও পরিবর্তন আছে কি না? সেখানে দেখা গেলো সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার তথা ব্লাড প্রেসারের ওপরের সংখ্যাটা কমেছে সাত মিলিমিটার মার্কারি আর দ্বিতীয় সংখ্যাটি কমেছে তিন মিলিমিটার মার্কারি। (পারদস্তম্ভের মিলিমিটারের এককে রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়)।
ভারত, পাকিস্তান, কাতারসহ অন্যান্য দেশের আরও ৩২টি গবেষণা একত্র করে দেখা গেছে রমাদ্বান শরীফের রোযায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে উন্নতি আসে ওজন না কমলেও। ইফতার ও সাহরিতে বেশি বেশি ফলমূল খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা আরও সহজ হবে। (প্রবন্ধ : ঊভভবপঃ ড়ভ জবষরমরড়ঁং ঋধংঃরহম রহ জধসধফধহ ড়হ ইষড়ড়ফ চৎবংংঁৎব: জবংঁষঃং ঋৎড়স খঙজঅঘঝ (খড়হফড়হ জধসধফধহ ঝঃঁফু ধহফ ধ গবঃধ অহধষুংরং)
সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রোযা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তুরস্কের গবেষকরা ইরান, মিসর, কুয়েতসহ আরও কয়েকটি দেশের করা ১৬টি গবেষণা একত্র করে দেখেছেন যে, রোযা রাখার পর নারী-পুরুষ উভয়ের রক্তে সুগারের মাত্রা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। আরেকটি আলাদা গবেষণায় ইন্দোনেশিয়ার গবেষকরা ২৮টি গবেষণা একত্র করে দেখেছেন, রমাদ্বান শরীফের রোযা রাখার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উন্নতি হয়েছে।
দীর্ঘদিন একইভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণ করলে শরীরে তা অতিরিক্ত মেদ হিসেবে জমা হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে ক্ষতিকারক টক্সিনের মাত্রাও। কিন্তু দীর্ঘ একটি মাস রোযা রাখলে এ সমস্যা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়। এ বিষয়ে এক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী বলেছেন, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোটিন, চর্বি, শর্করাজাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর ক্ষতি নয়; বরং পুষ্টি বিধান হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, রোযাদার পেপটিক আলসারের রোগীরা রোযা রাখলে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এতে তাদের শরীর অনেকটাই ফিট থাকে। হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যও রোযা উপকারী। কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও রোযা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, রোযা রাখলে কিডনিতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়।
তার পেপটিক আলসার নামক গবেষণামূলক বইয়ে তিনি লিখেছেন: ভারত, জাপান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ নাইজেরিয়ায় অন্যসব এলাকার তুলনায় মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় পেপটিক আলসার রোগের প্রকোপ অনেক কম। কারণ, তারা সিয়াম পালন করতে দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখেন।
এক বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী মনে করেন, রোযা মনস্তাত্ত্বিক ও মস্তিষ্ক রোগ নির্মূল করে দেয়। কারণ, রোযা শারীরিক সক্ষমতা তৈরির পাশাপাশি এনে দেয় মানসিক প্রশান্তিও।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












