মন্তব্য কলাম
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ জনই কর্মক্ষম। এবং ইন্দোনেশিয়া নয়, বাংলাদেশই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৪৫ কোটিরও উপরে। (সুবহানাল্লাহ)
যথাযথ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত দেশীয় শ্রমিক স্বদেশে তো ফিরবেই পাশাপাশি বিদেশি কর্মশক্তি বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে। সরকারের উচিত, এই বোনাসকাল অপচয় না করে এর প্রকৃত সুফল দেশবাসীর হাতে তুলে দেয়া।
, ১৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (উবসড়মৎধঢ়যরপ উরারফবহফ) বলতে বোঝায়, কোনো একটি দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন শ্রমশক্তিতে পরিণত হয়। অর্থাৎ পরনির্ভরশীল জনসংখ্যার চেয়ে কর্মক্ষম জনসংখ্যার হার বেশি হয়।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি) মতে, ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি মানুষের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ বয়সি মানুষ তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আর বাংলাদেশের এখন বেশিরভাগ মানুষ (৬৮ শতাংশ) কর্মক্ষম। জনমিতির হিসেবে বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মতো সুবর্ণ সময় পার করছে, যা ২০৪০ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে।
একটি দেশের কর্মক্ষম হিসেবে বিবেচিত জনসংখ্যার মোট পরিমাণ কর্মক্ষম নয়, এমন জনসংখ্যার (শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠী) তুলনায় বেশি হলে তখন সেই অবস্থাটাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনমিতিক লভ্যাংশ বলে।
অর্থনীতির ভাষায়, দেশের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ যদি কর্মক্ষম হয় তাহলে দেশটি ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ বা জনমিতিক বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ পাওয়ার অবস্থায় রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ অর্জনের পর্যায়ে রয়েছে।
দেশে কর্মক্ষম মানুষের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করছে বিবিএসও। সম্প্রতি সমন্বয় প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান সচিব বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বয়সী জনগোষ্ঠী ৩২.৮৪ শতাংশ। এরাই আমাদের আগামী দিনের শক্তি। তাদের কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব তথ্য প্রকাশ করা। সরকারের অন্য সংস্থাগুলো এদের নিয়ে কাজ করলে, গবেষণা করলে আগামী দিনে ইতিবাচক ফল পাবে। এদের এখনই কাজে লাগাতে হবে। কারণ এরা প্রোডাক্টিভ। এদের নিয়ে ভাবা উচিত। ’
বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। এখন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হয়ে গেলে অনেক বাজার সুবিধা থাকবে না। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা করতে হবে দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার ভিত্তিতে। তিনি বলেন, ‘দেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি বা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। সেখানে কোন ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। প্রতি বছর ২১ লাখের মতো শ্রমবাজারে আসে, এর বড় একটি অংশ বাইরেও চলে যায়। সেখানেও কোনো ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে সেটা লক্ষণীয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অনেক ধরনের নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। সেবা খাত, কেয়ারিং সার্ভিস, মেডিকেল টেকনিশিয়ানসহ অনেক চাকরি। বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা যদি স্কিলগুলো দিতে পারি তাহলে কাজে লাগবে; বিশেষ করে বাজারে যত বেশি যুবক, তত বেশি আনইমপ্লয়মেন্ট। ’
‘বাজারের চাহিদা আগামীতে কী হবে, সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সঙ্গে সার্টিফিকেশন, রিকগনিশন বা যেসব জায়গায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যাবে তাদের সঙ্গে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং করা। এসব জায়গায় নজর দেওয়ার সময় এখন। বৈদেশিক বাজার, অভ্যন্তরীণ বাজার দুটোরই চাহিদা রয়েছে। দেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ অনেক জায়গায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এমওইউ স্বাক্ষরও করেছে, তারা সেখানে কী ধরনের ইনভেস্ট করছে, সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যোগাযোগ বাড়াতে হবে। যেমন আমাদের এখন নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে, সেখানে এক্সপার্টদের লাগবে আগামী ৫০ বছর। এখানকার সুযোগগুলো বের করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে কর্মক্ষম লোকের পরিমাণ ছিল মাত্র ২০-২২ শতাংশ। স্বাধীনতার প্রায় ৩৬ বছর পরে ২০০৭ সালে আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬১ শতাংশের বয়স এই সীমার মধ্যে উপনীত হয়, বর্তমানে যা প্রায় ৭৫ শতাংশ। এমন সম্ভাবনা যা কোনো জাতির জীবনে একবার কিংবা কয়েক শ বছরে একবার আসে। চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এসব দেশ এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। শূন্য থেকে ১৪ ও ৬৪ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে নির্ভরশীল বলে ধরা হয়। সে হিসাবে দেশে বর্তমানে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৭.৭৭ শতাংশ। এরা সবাই দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল। ’
অভিজ্ঞমহল আরো মনে করেন, ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে হলে ওয়ার্কিং ফোর্স কাজে লাগাতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। অ্যাগ্রিকালচার থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং বা ইন্ডাস্ট্রি বা ফরমাল সার্ভিস সেক্টরে আসতে হবে। তাহলেই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে। আমি যদি গ্রামে থাকি তাহলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আসবে না। অথবা যদি রিকশাও চালাই তাহলেও এই ডিভিডেন্ড আসবে না। তবে আইটি খাত হলে ঠিক আছে, এটি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে, ভ্যালু এডিশনেও ভূমিকা রাখে। এ ধরনের ট্রান্সফরমেশন দরকার, শুধু জনসংখ্যা বাড়ালেই তো হবে না। তাদের এমপ্লয় করতে হবে। প্রোডাক্টিভলি এমপ্লয় করতে হবে। গত এক দশকে দেশে শিল্পে কোনো কর্মসংস্থান হয়নি। ’
‘তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সবচেয়ে বেশি। এদের যদি কাজে লাগানো না যায় তাহলে তো ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাব না। সমস্যা হলো, এদের মধ্যে আনএমপ্লয়মেন্ট কতখানি। যেটা আমরা ধারণা করি, শিক্ষিতদের মধ্যে আনইমপ্লয়মেন্ট কত। এখন প্রশ্ন হলো তাদের কর্মসংস্থান কোথায় হবে। তারা যদি অ্যাগ্রিকালচারে হয় তাহলে লাভ হবে না। ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের আসার কথা, কিন্তু এ চ্যালেঞ্জটা রয়ে গেছে এখনো। ’
বলার অপেক্ষা রাখে না, এইসকল মহাসম্ভাবনা বিকাশের জন্য প্রয়োজন উন্নত ও দক্ষ মানবসম্পদ গঠন। এজন্য চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি জেলা শহরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মেরিন টেকনোলজি ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা প্রয়োজন। যদিও দেশে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার ১১৬টি। বর্তমানে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষার অধীনে শিক্ষা গ্রহণরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৭ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ জাপানে এ ধরনের শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল ৬০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪০ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ায় ৪২ শতাংশ। তাই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কর্মক্ষম জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
এজন্য সরকারিভাবে উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার, শিল্পপতি, সব রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং বিশেষ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন কতটুকু অর্জিত হয়েছে এবং এর পথে কী কী অন্তরায়, সেই বিষয়ে বিশদ পর্যালোচনা করতে হবে এবং সার্বিকভাবে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এর নিয়মিত মূল্যায়ন করতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে যথাযথভাবে এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড একটি অপার সম্ভাবনাময় সময়। এ সময় কর্মক্ষম মানুষের আধিক্য থাকায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা অত্যন্ত সহজ হয়ে থাকে। এ সময়কে কাজে লাগিয়েই জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বহু দেশ সমৃদ্ধি লাভ করেছে। সমৃদ্ধির জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালকে কাজে লাগাতে হলে শিক্ষা, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে সুনজর দিতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি করে বরাদ্দ ও সরকারের সুনজর দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়নমূলক খাতগুলোয় সরকারের সুদৃষ্টি পড়লে গড়ে উঠবে সুখী, সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ।
আবার, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে না পারলে এর পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে থাকে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সময় যে বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠী কর্মক্ষম ছিল, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পর দেখা যায়, সেই বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠী বার্ধক্যে উপনীত হয়ে কর্মে অক্ষম হয়ে গেছে। তখন এই বিশাল জনগোষ্ঠীর পেনশন ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে রাষ্ট্রকে বহু অর্থ ব্যয় করতে হবে। যদি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়, তাহলে এই ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। অন্যথায় এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে (নাউযুবিল্লাহ)।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












