মন্তব্য কলাম
কাদিয়ানীদের মালিকানায় প্রাণ গ্রুপসহ বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলো দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পথে বসানোর ষড়যন্ত্র করছে। অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। সরকারের আশু পদক্ষেপ কাম্য।
, ২১ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে কাদিয়ানীদের প্রাণসহ দেশের কিছু বড় শিল্প গ্রুপ। দেশের অনেকগুলো খাতের লাখো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে এখন প্রাণের মতো বড় শিল্প গ্রুপের দখলদারিত্ব চলছে। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রায় সব পণ্য এখন প্রাণের পণ্য তালিকায়। খাদ্যপণ্যে ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টের খাবার প্রাণের প্যাকেটে। এমনকি মাছের বাজারেও এখন প্রাণের বিনিয়োগ রয়েছে। এর ফলে বড় শিল্প গ্রুপের বিনিয়োগের প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ছোট খাতগুলোয় বড় শিল্প গ্রুপের আগ্রাসী বিনিয়োগ নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, বাজারে প্রাণ গ্রুপটির প্রায় ৬০ হাজার পণ্য রয়েছে। গত কয়েক বছরে তাদের ব্যবসার পরিধি আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। শুধু খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই নতুন পণ্য দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০০টি। প্রাণের বেকারি ব্র্যান্ড অলটাইমের কারণে বিপাকে পড়েছে বেকারি খাত। প্রায় ৫০-এর অধিক পণ্য রয়েছে এই ব্র্যান্ডের। যার মধ্যে নানা ধরনের বিস্কুট, রুটি, কেকসহ বিভিন্ন রকমের বেকারি পণ্য। পাড়া-মহল্লায় যেসব বেকারি রয়েছে, তাদের এখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। প্রাণের কারণে সেসব উদ্যোক্তারা ব্যবসা ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোই দেশের ভবিষ্যৎ। এই ক্ষুদ্র শিল্পগুলোই দেশের বড় শিল্পগুলোকে এগিয়ে নিতে সহযোগীতা করে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ৭২ লাখ শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯০ শতাংশ এসএমই খাতের। কৃষি খাতের বাইরে থাকা শ্রমশক্তির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের কর্মসংস্থান হয়েছে এ খাতে। বাংলাদেশের মোট দেশজ আয়ের ২৫ ভাগ আসছে এসএমই খাতের হাত ধরে। উৎপাদন খাতের ৪০ শতাংশ অবদান এসএমই খাতে। ক্ষুদ্র শিল্প খাতে চলতি অর্থবছর ৭ দশমিক ০২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের অর্থবছর এ খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এবার সার্বিক শিল্প খাতে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরমধ্যে মধ্যম ও বৃহৎ শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ দেশের প্রবৃদ্ধির পেছনে একটি বিশাল অবদান রয়েছে এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের।
অথচ ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও পর্যাপ্ত পুঁজির অভাবে বাংলাদেশর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত প্রত্যাশিত হারে বিকশিত হতে পারছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ঋণের প্রবাহ তুলনামূলক কম। পর্যাপ্ত জামানতের অভাবে এ খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে পারছেন না। তাছাড়া শিল্প খাতে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিতে চাইছে না ব্যাংকগুলো। এর বাইরে অবকাঠামো সমস্যা ও নীতি সহায়তার অভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশ ঘটছে না। সেইসাথে সরকারের শিল্পখাতের সমস্ত প্রকার সহযোগীতা পৃষ্ঠপোষকতা সবই বৃহৎ শিল্প খাতমুখী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো প্রতি সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপই নেই।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাদিয়ানীর প্রাণ গ্রুপ বাংলাদেশের জনগণকে স্বাস্থ্যগতভাবে পঙ্গু করার জন্য তাদের খাদ্যসামগ্রীকে অপদ্রব্য প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে। ইদানিংকালে পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, চানাচুর, জুসসহ তাদের বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীতে টিকটিকি, লোহা, পিন, তেলাপোকা, মাছিসহ সুই পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। জুসসহ তাদের বিভিন্ন পানীয়তে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। সদ্যগত ১০ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাওয়ে প্রাণের পানীয় খেয়ে মারাত্মকভাবে ২০ জন অসুস্থ হয়েছে। প্রাণ গ্রুপের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বহুদিনের। কিন্তু রহস্যজনককারণে মনিটরিং প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বিকার।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, কাদিয়ানীদের প্রাণ গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষতি করে গেলেও সরকার থেকে এই প্রাণ গ্রুপের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। উল্টো দেখা যাচ্ছে, কিছু প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দেশবিরোধী দালাল তাদেরকে উল্টো পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত তাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে।
প্রাণ-আরএফএল-এর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানও ঠিক নেই। এমনকি তা জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বিএসটিআই গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় যে ৩১ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের সিএম লাইসেন্স বাতিল করে, ওই তালিকায় প্রাণের ৮টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। প্রাণের কথিত কোমল পানীয়, জুস, মসলার গুণগত মান ঠিক নেই। এসব জনস্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ নয়। প্রাণের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্য প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু প্রচার-প্রসারে শীর্ষে রয়েছে কাদিয়ানিদের এ প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের সংবিধান মতে, সকল ধর্মের নাগরিকদের ধর্মপালনে স্বাধীনতা আছে, থাকবে। কিন্তু নিজ ধর্ম পরিচয় গোপন করে মানুষকে ইসলামের নামে ভিন্ন আরেকটি ধর্মের দিকে আহবান করার কোনো অধিকার নেই। বরং এধরনের কর্মকা- সুস্পষ্ট অসাংবিধানিক ও অন্যায়। মূলত এ অন্যায় কাজের জন্যই আমরা এদেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবী জানাই। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে। তারা যেহেতু নিজ পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেনা, বরাবরই ধোকার আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষের ঈমান নষ্ট করে চলছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হওয়া সময়ের দাবী। তাদের পণ্য গুলো আমাদের বয়কট করতে হবে মূলত এ জন্যই।
প্রসঙ্গত, কাদিয়ানী কোম্পানী প্রাণ, আর.এফ.এল এর বেশকিছু সিস্টার কনসার্ন রয়েছে।
প্রাণ, আর.এফ.এল এর কয়েকটি কমন সিস্টার কনসার্ন বা একই কোম্পানির মালিকানাধীন প্রোডাক্টগুলোর কিছু নাম এখানে দেয়া হলো-
১. অলটাইম (ফুড আইটেম)।
২. বিজলি (ইলেক্ট্রিক তার)।
৩. রংধনু (রঙ)।
৪. মিঠাই (মিস্টি)।
৫. টেস্টি ট্রিট (বেকারী আইটেম)।
৬. ক্লিক (ইলেক্ট্রিক প্রোডাক্ট)।
৭. জবমধষ (ফার্নিচার)।
৮. ইবংঃ ইুঁ (প্লাস্টিক আইটেম)।
৯. কসমিক (দরজা)।
১০. সেরা (ওয়াটার ট্যাংক)।
১১. ঝযরহব (স্যানিটারি প্রোডাক্ট)।
১২. গুডলাক (ষ্টেশনারী-কলম, পেন্সিল,ইরেজার ইত্যাদি)।
১৩. ডধষশবৎ ঋড়ড়ঃবিধৎ (জুতা)।
১৪. প্রাণ আপ (সফট ডিংক্স)।
১৫. প্রাণ জুস, প্রাণ ম্যাংগো জুস, প্রাণ লাচ্ছি,প্রাণ লিচি।
১৬. চষধু ঞরসব (খেলনা)।
উল্লেখ্য, ৫ ই ডিসেম্বর ২০২০ ইং কাদিয়ানীদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকীতে প্রাণ, আর.এফ.এল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা কাদিয়ানীদের পৃষ্ঠপোষক, অর্থায়নকারী। সুতরাং তাদের মালিকানাধীন প্রাণ, আর.এফ.এল গ্রুপের সকল পণ্য বয়কট করা মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।
প্রাণ, আর.এফ.এল কোম্পানীর বর্তমান সিইও জনাব আহসান খান চৌধুরীর পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে একটু না বললেই নয়। তিনি কোম্পানীটির মালিক মেজর (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর পুত্র এবং নাটোরের প্রসিদ্ধ 'খানবাহাদুর' বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও কাদিয়ানী ধর্মমতের অনুসারী আবুল হাশেম খান চৌধুরীর প্রো-প্রৌত্র। মেজর আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, মারা যান ৮ জুলাই ২০১৫ সালে (বয়স ৭৫) আমেরিকায়। তার পিতার নাম ছিল আলী কাশেম খান চৌধুরী, দাদার নাম ছিল খান বাহাদুর আবুল হাশেম চৌধুরী, যিনি ১৯১৫ সালের জানুয়ারী মাসে ভারতের 'কাদিয়ান' (গুরুদাসপুর, পাঞ্জাব) গিয়ে কাদিয়ানী ধর্মমত গ্রহণ করে আসেন। প্রথম যখন ১৯১৩ সালে এই পূর্ব বাংলায় (বর্তমান-বাংলাদেশ) কাদিয়ানী জামাতের গোড়াপত্তন হয় তখন সেটির প্রধান (প্রেসিডেন্ট) নির্বাচিত হন বি-বাড়ীয়ার কথিত পীর সৈয়দ আব্দুল ওয়াহেদ (মৃত. ১৯২৬ খ্রি.) (সময়কাল ১৯১৩-১৯২৬), আর জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হন এ্যাড. মুন্সি দৌলত আহমদ খাঁ। পীর আব্দুল ওয়াহেদের মৃত্যুর পর পূর্ব বাংলার কাদিয়ানীদের প্রধান নিযুক্ত হন প্রফেসর আব্দুল লতিফ (সময়কাল ১৯২৬-১৯৩১), তারপর হেকিম আবু তাহের মাহমুদ আহমদ [মৃত্যু ০৭-০৯-১৯৩৭] (সময়কাল ১৯৩১-১৯৩৪)। তারপর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন খান বাহাদুর আবুল হাশেম খান চৌধুরী [মৃত্যু ১৭-০৬-১৯৪৬] (সময়কাল ১৯৩৪-১৯৪০)।
বলে রাখা দরকার যে, আবুল হাশেম খান চৌধুরী কাদিয়ানী হওয়ার পর পীর সৈয়দ আব্দুল ওয়াহেদের মেয়ে 'হোসনে আক্রার বানু'-কে বিয়ে করেন, যিনি ছিলেন মেজর আমজাদ খান চৌধুরীর দাদী, আর বর্তমান কাদিয়ানী ন্যাশনাল আমীর আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরীর নানী।
বশধঃঃড়ৎ.ড়ৎম সাইটে সাংবাদিক রুদ্র সাইফুল প্রাণ, আর.এফ.এল কোম্পানীর ইতিহাস নিয়ে লিখেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে পাকিস্তানে আটকে পড়া সাড়ে ৪ লাখ বাঙালির সাথে দেশে ফিরে ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটকে পড়া সেনা কর্মকর্তা’ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন আমজাদ খান চৌধুরী। জেনারেল শফিউল্লাহ ও জিয়ার সহযোগিতায় তিনি সেনাবাহিনীতে পদোন্নতি পেয়ে মেজর জেনারেল পর্যন্ত হয়েছেন। ১৯৮১ সালে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের জমি অধিগ্রহণের টাকা চুরির অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর পেয়ে সেই চুরির টাকায় ব্যবসায় নামেন তিনি। অবসরের পর ১৯৮১ সালে সেই চুরির টাকায় গড়ে তোলেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আর.এফ.এল)। ১৯৮৫ সালে গড়ে তোলেন এগ্রিকালচার মার্কেটিং কোম্পানি যার ব্র্যান্ড নাম প্রাণ। আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার যুদ্ধাপরাধী পরিচয়কে আড়াল করে তার ব্যবসায়ী পরিচয় সামনে রেখে গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পরিবেশন করা হয়।
প্রাণ, আর.এফ.এল কোম্পানী হচ্ছে বাংলাদেশের কাদিয়ানী জামাতের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী ডোনার (উঙঘঙজ)। তাই এখন মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে 'আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত'-এর উপর অবিচল থেকে, ইসলামের দুশমন, মুদা'ঈয়ে নবুওয়ত এবং কাট্টা কাফির ও কাজ্জাব মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর প্রতি অবিরত ঘৃণা প্রকাশার্থে কাদিয়ানীদের পণ্য সমূহ বয়কট করা। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, যেমন- যে যার সাথে সম্পর্ক রাখে, হাশর-নাশর তার সাথে হবে। (নাউযুবিল্লাহ)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












