মন্তব্য কলাম
ক্ষুধাকে মারণাস্ত্র বানিয়েছে বিশ্ব কসাই বিশ্ব সন্ত্রাসী, স্বাধীন দেশ ডাকাত ইসরাইল ঘাস আর দূষিত পানিও শেষ হওয়ার পর গাজাবাসীর সামনে এখন খাওয়ার জন্য আছে শুধুই বালি গাজাবাসীর দুর্দশা, ক্ষুধা মৃত্যু- দেখে দেখে বিশ্ব মুসলিম কী এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে?
, ০১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
ঢাকায় আয়তন আর গাজার আয়তন প্রায় একই
খোদা না করুন, গাজার মত অবস্থা যদি ঢাকায় হতো তা হলে ঢাকাবাসীর কী কষ্ট হতো?
বা বিশ্বের অন্য মুসলিম শহরেও যদি হতো তাহলে তারাও কি কষ্ট পেতো
তখন প্রতিকারের জন্য কি করতো?
কি প্রচেষ্টা চালাতো?
সেই একই কষ্ট তারা গাজাবাসীর জন্য মুসলিম বিশ্ব পাচ্ছে না কেন?
একই প্রচেষ্টা গাজাবাসীর জন্য চালাচ্ছে না কেন?
কল্পনা করুন, ঢাকার উত্তরের প্রায় সব ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং দক্ষিণেও অর্ধেকের বেশি ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেগুলো বাকি রয়েছে, সেগুলোও নিরাপদ না। সড়কগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। চারদিকে যতদূর চোখ যায় কেবল ধ্বংসস্তূপ, আর সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা লাশের গন্ধে বাতাস ভারী।
ভেবে দেখুন, বোমা হামলা থেকে বেঁচে গেলেও যারা ধসে পড়া দালানের নিচে আটকে ছিলেন, তারাও একে একে মারা পড়লেন। শুরুতে চিৎকার, কান্নাকাটি, তারপর দালানের বাইরে থাকা প্রিয়জনদের কাছে নিজের শেষ শক্তিটুকু দিয়ে ফিসফিস করে জানানো বাঁচার আকুতি। এসব শুনেও সেই প্রিয়জনরা সরঞ্জামের অভাবে ভাঙা দালান সরিয়ে বের করে আনতে পারেননি কাউকেই। চোখের সামনে তারা দেখছেন ভালোবাসার মানুষগুলো একটু পানি চাইতে চাইতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছেন না।
এমন অবস্থা প্রত্যক্ষ করার পর কারো পক্ষে কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব? অথচ, গাজাবাসীর জন্য এটাই বাস্তবতা- যা ক্রমশ আরও খারাপ হচ্ছে- আর এই বাস্তবতার সঙ্গে গাজার প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।
আরেকটু কল্পনা করুন, ঢাকার সব হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন হামাস-সমর্থক হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভেবে দেখুন, পুরো ঢাকায় কোনো হাসপাতাল নেই যেখানে কোনো ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যাবে। কোনো হাসপাতালে ওষুধ নেই, চিকিৎসা উপকরণ নেই। আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রিয়জনের কোলেই বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে তারা।
ভাবুন যে খাদ্য, পানি ও নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর সরবরাহের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রয়েছে।
কয়েক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার পর সামান্য পরিমাণ খাদ্য ও নিত্যপণ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। যখন অভুক্ত ফিলিস্তিনিরা এই সামান্য খাবার সংগ্রহের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াল, তখন তাদের ওপর গুলি চালানো হলো। বোমা বর্ষণ করা হলো।
মিশর ও গাজা সীমান্তের একটি ছোট্ট শহর রাফার কথাই ধরুন। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ লাখই সেখানে জড়ো হয়েছেন। কিন্তু সেখানেও বিশ্বকসাই ইসরাইলের নৃশংস গণহত্যা।
রাফায় স্থল অভিযানের মানে কী? আবারও ঢাকার উদাহরণ দেওয়া যাক। শহরের কোনো এক কোণায় ১৫ লাখ অসহায়, গৃহহীন, অভুক্ত মানুষ খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করবে এমন এক বাহিনী, যারা বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস সেনাবাহিনীর অন্যতম। বলাই বাহুল্য, বিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে তাদের ওপর বৃষ্টির মতো প্রাণঘাতী বোমাও বর্ষণ করা হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টোকিও, লন্ডন, ড্রেসডেন ও ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার গ্রামগুলোতে বোমাবর্ষণ ও তার পরবর্তী দৃশ্যগুলো যদি ধরা হয়। কিন্তু সেগুলো ছিল যুদ্ধ এবং দুই বা ততোধিক সার্বভৌম দেশ অথবা সুপ্রতিষ্ঠিত গেরিলা সংগঠনের মধ্যে সেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেগুলো এমন ছিল না যে, একটি পক্ষ বেসামরিক ও নিরস্ত্র এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত একটি দেশ।
শুরুতে গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও হামলা হয়েছে। এরপর রাফার ১৫ লাখ অরক্ষিত শরণার্থীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত স্থলহামলা। এটা গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই না, যার মাধ্যমে গাজা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কবরস্থানে পরিণত হবে। এই হামলা পরিচালনা করবে এমন সব সেনারা, যারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি মোটেই সংবেদনশীল নয়। তাদের শেখানো হয়েছে ফিলিস্তিনিদের মানুষ হিসেবেই বিবেচনা না করতে। তাদের শেখানো হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা এমনই এক নিম্নগোত্রের প্রাণী, যারা মানুষ হিসেবে ন্যূনতম সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয়।
এখনো কি বিশ্ববাসী শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকবে, আর গৎবাঁধা কিছু বুলি আউড়ে যাবে? যখন সভ্যতার পরিচয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সব ধরনের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও আদর্শকে নেতানিয়াহুর রক্তপিপাসু সরকার ভূলুণ্ঠিত করতে থাকবে, আমরা কি তখনো নিশ্চুপ থাকব?
সংবাদ শিরোনাম হয়েছে-
‘ঘাস খাচ্ছে গাজার বাসিন্দারা, পান করছে দূষিত পানি’
প্রকাশ : মার্চ, ২০২৫
ইসরাইল-হামাসের দীর্ঘ সংঘাত গাজার মানবিক সংকটকে প্রকট করছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই যুদ্ধে গাজা উপত্যকা এখন দুর্ভিক্ষের কিনারে এসে পৌঁছেছে। ইসরাইলের হামলায় নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সব ফেলে এককাপড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ গাজাবাসী। আর উপত্যকাটির ২২ লাখের বেশি মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা হলো খাবার। তাদের সামনে খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানিও নেই। ক্ষুধা মেটাতে তাদের অনেকেই খাচ্ছেন ঘাস, পান করছেন দূষিত পানি।
খাবারের খোঁজে দিশেহারা গাজাবাসী, খাচ্ছে কচ্ছপের গোশত
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় খাদ্যের ব্যাপক অভাব দেখা দেওয়ায় কিছু হতাশ পরিবার শক্তির উৎস হিসেবে সামুদ্রিক কচ্ছপ খাওয়ার দিকে ঝুঁকছে। খোসা ছাড়ানোর পর গোশত কেটে, সেদ্ধ করে পেঁয়াজ, গোলমরিচ, টমেটো এবং মশলার মিশ্রণে এগুলো রান্না করে খাওয়া হচ্ছে।
আশ্রয় শিবিরে কাঠের আগুনে একটি পাত্রে লাল গোশতের টুকরোগুলোর দিকে নজর রাখতে রাখতে মাজিদা কানান বলছিলেন, বাচ্চারা কচ্ছপকে ভয় পেত, আর এখন আমরা তাদের বলেছি এটি বাছুরের মতোই সুস্বাদু! বাচ্চাদের মধ্যে কেউ কেউ খেয়েছিল, কিন্তু অন্যরা এটি খায়নি।
কয়েকদিন পর ‘আমরা হয়তো বালু খাব’: গাজায় নারীর আক্ষেপ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ৬০ দিন ধরে কঠোর অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এ সময়ের মধ্যে কোনো খাবার, জ্বালানি বা ওষুধ প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে গাজার বাসিন্দারা।
বর্তমানে গাজায় টিনজাত শাকসবজি, ভাত, পাস্তা ও মশুর ডাল খেয়েই বেঁচে আছে মানুষ। গোশত, দুধ, পনির ও ফল সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এমনকি রুটি ও ডিমও এখন দুষ্প্রাপ্য। বাজারে যেসব সামান্য পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর দাম এত বেশি যে বহু মানুষ তা কিনতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো জানিয়েছে, তারা এখন শিশুদের মুখেও খাবার তুলে দিতে পারছেন না। গত শুক্রবার মরিয়ম আল-নাজ্জার নামের এক নারী জানান, তার পরিবারের ১১ জন সদস্য সেদিন শুধু একবেলা ভাত, টিনজাত মটর দানা ও গাজর খেয়ে দিন কাটিয়েছেন, বাকি সময় তারা না খেয়েই ছিলেন।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে এই নারী বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের কাছে শুক্রবার একটি পবিত্র দিন। এদিন পরিবারগুলো গোশত, ভালো শাকসবজি এবং অন্যান্য খাবার খায়। কিন্তু এখন আমরা শুক্রবারে মটর দানা আর ভাত খাচ্ছি। আমরা এ যুদ্ধের আগে জীবনে কখনো টিনজাত সবজি খাইনি। এ যুদ্ধ আমাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন কোনো খাবার এখন পাই না যেগুলো আমাদের প্রোটিন ও পুষ্টি দেবে। ’
পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুমান করে তার শঙ্কা- দখলদার ইসরায়েল যেহেতু এখনো তাদের অবরোধ ও আগ্রাসন চালিয়ে রেখেছে তাতে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, খাবারের অভাবে ‘কয়েকদিন পর হয়তো আমরা বালু খাব। ’
বিশ্বে বৈষম্য, শোষণ, দমন ও হত্যার ভুরিভুরি উদাহরণ থাকলেও ইসরায়েলিরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে বর্বর আচরণ করে যাচ্ছে, বিশ্বের ইতিহাসে তার দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত নেই?
গাজায় যা ঘটছে, তার চিত্র একটিবার মনের মধ্যে এঁকে দেখুন। গাজা উপত্যকা ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ছয় থেকে ১২ কিলোমিটার প্রশস্ত। এর মোট আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। ঢাকার আয়তন ৩০৬ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার হওয়ায় এর মাধ্যমে গাজার আয়তনের একটা তুলনামূলক আকার ধারণা করে নেওয়া সম্ভব, যদিও জনসংখ্যার তারতম্য অনেক।
এবার ভাবুন, ঢাকার উত্তরে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলা হলো দক্ষিণে চলে যেতে। এরপর সেখানে রাতদিন নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো হলো।
টেলিভিশনের সংবাদ যেন গাজার নিত্যদিনের বীভৎস হত্যা ও ধ্বংসকে পাশের রুমের ঘটমান চিত্র হিসেবে আমাদের সামনে হাজির করছে। এ যেন পাশের কক্ষে শব রেখে বা মৃত্যুপথযাত্রীকে রেখে দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে নেওয়ার ব্যাপার।
প্রশ্ন হলো, এভাবে গণমাধ্যমে ক্রমাগত অপরাধ ও নেতিবাচক খবর শুনতে শুনতে মানুষের চেতনা, সংবেদনা এবং বিবেক কি এসব সইতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে? তদুপরি সর্বাত্মক বাণিজ্যিকীকরণের এই কালে মানুষের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার জন্য রয়েছে বাজারের আকর্ষণ সৃষ্টির সার্বক্ষণিক তৎপরতা। একালের মানুষ সেই ফাঁদে পা না দিয়ে পারেনি। তাই মানুষ নিয়ে মানুষের অতৃপ্তি, অনুশোচনার শেষ নেই। সবার চোখের সামনে মানুষের এই পরিণতি ঘটে চলেছে।
এই হীন কাজটি ইসরায়েল একক শক্তিতে করছে না। তার অস্তিত্ব রক্ষার নৈতিক অধিকারের যুক্তি দেখিয়ে গাজায় আক্রমণ চালানোর জন্য নৈতিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। আপাতত তারা কেউই ইতিহাসের দায়, মানবাধিকার কিংবা নিছক বিবেকের দায়ের কথাও ভাবছে না।
গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী হামাস বীরদের ঝড়ে পর্যদুস্ত হওয়া দখলদার ইসরাইল নিজের পরাজিত চেহারাটা লুকানোর যে কাপুরুষোচিত পন্থা বেছে নিয়েছে এবং গাজা উপত্যকাজুড়ে একের পর এক যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে- ফিলিস্তিনের ঈমানদার জনগোষ্ঠী তাতে একটুও বিচলিত হয়নি। এটাই হল অর্জন। এখানেই তাদের জয় এবং দখলদারের পরাজয়। গাজার তা-বলীলার দিনগুলোতে শহীদদের স্বজনকে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদেরকেও বারংবার বলতে শোনা গেছে ‘হাসবুনাল্লাহ ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল। ’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাকই আমাদের জন্য যথেষ্ট। তিনিই উত্তম অভিভাবক।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












