খাদ্য-দ্রব্যের হালাল হারাম নিয়ে কিছু কথা
, ২৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কোনো কিছুর উৎস হারাম হলেও যদি পরিবর্তিত হয়ে এমন একটি উপাদানে পরিবর্তিত হয় যাতে মূল উপাদানের কোনো লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে না, তবে সে উপাদানটি হালাল হয়। এর স্বপক্ষে লবণের খনিতে পড়ে যাওয়া বিড়াল বা কুকুরের উদাহরণ দেয়া যায়। কোনো লবণের খনিতে পড়ে যাওয়া বিড়াল যদি পুরোপুরি লবণে পরিণত হয়, তবে তা হালাল। কিন্তু এর পরেও অনেকে যুক্তি তালাশ করতে পারে। তাই তাদের ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত বিষয়টি জানা জরুরী।
ভাত খাওয়া হয় জীবনধারণের জন্য, কিন্তু সে ভাত থেকে যদি শরাব তৈরি করা হয় তবে তা হারাম। প্রধান কারণ শরাব পবিত্র কুরআন শরীফ অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
কিন্তু কোনো হালাল পশু যেমন গরু, খাসী বা উটকে যদি শরাব পান করানো হয়, তবে সেই প্রাণীটি যবেহ করার পর তার গোশত খাওয়া কিন্তু জায়িজ। কারণ পশুটির গোশতে শরাবের কোনো উপস্থিতি নেই।
একইভাবে কোনো হারাম প্রাণী থেকে সংগ্রহীত কোনো উপাদানকে যদি এমনভাবে পরিবর্তন করা হয় যার মধ্যে সেই হারাম প্রাণীর বৈশিষ্ট্য বজায় না থাকে, তবে তা খাওয়া বা ব্যবহার হালাল। এই পরিবর্তন হতে পারে দুইভাবে- (১) প্রাকৃতিকভাবে (২) কৃত্রিমভাবে।
১) প্রাকৃতিকভাবে: গাছে গোবর দিলে গোবর নাপাক হলেও সেই গোবরে বড় হওয়া সব্জি পাক এবং খাওয়া জায়িয।
হালাল পশু হারাম কিছু খেলেও তার গোশত হালাল।
(২) কৃত্রিমভাবে: মদ হারাম কিন্তু তার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে প্রস্তুত সিরকা হালাল। একইভাবে হারাম পশুর কোলাজেন (চর্বি জাতীয় উপাদান যা থেকে জিলাটিন প্রস্তুত করা হয়) হারাম কিন্তু সেখান থেকে উৎপন্ন জিলাটিন হালাল।
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট হওয়া উচিত তা হচ্ছে জিলাটিন হালাল এটা ফতওয়া। কিন্তু তাক্বওয়া হচ্ছে পরিহার করা। কারণ যেখানে হালাল যবেহকৃত প্রাণীর বা ভেষজ বস্তু থেকে প্রস্তুত জিলাটিন পাওয়া যাবে সেখানে শূকরের জিলাটিন বা যবেহ ছাড়া গরুর হাড় থেকে প্রস্তুতকৃত জিলাটিন ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কারণ হারাম প্রাণী থেকে প্রস্তুতের ফলে বদ-তাছীরের বিষয়টিকে উপেক্ষা করা যাবে না।
-ফার্মাসিস্ট মুহম্মদ হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












