মন্তব্য কলাম
গণমাধ্যমে ভারতের কুখ্যাত হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদীর বরাতে এসেছে “১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন” অথচ ভারতে অব্যাহতভাবে চলছে মুসলিম নির্যাতনের ভয়ঙ্কর আর পৈশাচিক সব কাহিনী প্রধান উপদেষ্টা “বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কোনো নির্যাতন হবেনা” পরিপূর্ণ আশ্বাস ও আস্থা দিয়েছে কিন্তু ভারতে মুসলমানদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে কী?
ভারতের মিডিয়া, হাজার হাজার হিন্দুত্ববাদী সংস্থা, ভারতীয় জণসাধারণ হিন্দুদের পক্ষে তোলপাড় তুলেছে কিন্তু ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী মিডিয়া, বুদ্ধিজীবি, ইসলামী মহল তথা বাংলাদেশী জনগণের সমস্বরে আওয়াজ কৈ? কোথায়? তবে কী বাংলাদেশে হিন্দুরা জামাই আদরে থাকবে আর ভারতের মুসলমানরা পৈশাচিক অত্যাচারে জর্জরিত থাকবে এবং নির্বিচারে শহীদ হবে? (নাউযুবিল্লাহ)
, ২৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম

(দ্বিতীয় পর্ব)
২৮ আগস্ট ২০২৪, গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে, “মুসলমানদের ইতিহাস মুছে দেয়ার চেষ্টা! ৮ স্টেশনের নাম বদল উত্তরপ্রদেশে”
বর্তমানে কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপির মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর যেন নাম পরিবর্তনের প্রতিযোগিতা চলছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের (আল্লাহাবাদ) এলাহাবাদের মুসলিম নাম পরিবর্তন করে প্রেয়াগরাজ রাখা হয়েছে। এলাহাবাদ উত্তর প্রদেশের উত্তরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক শহর। ১৬শ শতাব্দীতে দিল্লীর মুগল সম্রাটরা এই শহরের নাম রেখেছিলো এলাহাবাদ। প্রায় দশ লক্ষ লোকের বাস এই শহরে। এভাবে নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার শত শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।
এবার রাতারাতি ৮ স্টেশনের নাম বদলে গেল কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। যে স্টেশনগুলির নাম বদল করা হয়েছে তার বেশিরভাগই মুসলমানদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কট্টর হিন্দুত্ব নীতির জেরেই এ পদক্ষেপ। পরিষেবার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে এই রেলের এই নাম বদল নীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব।
গত পরশু ২৭ আগস্ট ২০২৪, মঙ্গলবার উত্তর রেলের লখনউ রেলওয়ে বিভাগের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮টি রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। কাসিমপুর হল্ট স্টেশনের নাম বদলে হয়েছে জয়স সিটি, জয়স রেল স্টেশন হয়েছে গুরু গোরক্ষনাথ ধাম, মিসরৌলি হয়েছে মা কালিকান ধাম, বাণী স্টেশনের নাম বদলে হয়েছে স্বামী পরমহংস, নিহালগড় বদলে হয়েছে মহারাজা বিজলি পাসি, আকবরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে মা অহর্ব ভবানী ধাম, ওয়ারিশগঞ্জ হল্টের নাম বদলে রাখা হয়েছে অমর শহিদ ভালে সুলতান। ফুরসাতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে তপেশ্বরনাথ ধাম।
অবশ্য বিজেপি জমানায় নাম বদলের রাজনীতি এই প্রথমবার নয়, এর আগে একাধিকবার বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, জায়গা ও শহরের নাম বদল হয়েছে। এলাহাবাদের নাম হয়েছে প্রয়াগরাজ, মোঘলসরাই জংশনের নাম বদলে হলে গিয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। দিল্লিতেও কয়েকটি রাস্তার নাম বদল হয়েছে।
ভারতের রাজস্থানে আটটি গ্রামের মুসলিম নাম বদলে রাতারাতি হিন্দু নাম দেয়া হয়েছে। রাজ্যের বড়মে জেলার ‘মিয়া কা বড়া’ নামের একটি গ্রামের নাম বদল করে করা হয়েছে ‘মহেশপুর’। অন্য দিকে রাজ্যের অপর একটি গ্রাম ‘ইসমাইলপুর’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘পিচানবা খুর্দ’।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এমন আরো ছয়টি গ্রামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে রাজস্থানে। যেগুলোর বেশির ভাগ ছিল মুসলিম নাম। কয়েক মাস আগে রাজ্যের বেশ কিছু গ্রামের নাম বদলের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজস্থান সরকার। গত ১ জুন সেই গ্রামগুলোর মধ্যে আটটি গ্রামের নাম পরিবর্তন আবেদন মঞ্জুর করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতে মুসলিম নাম ‘আহমেদাবাদ’ পরিবর্তন করে করা হচ্ছে অ্যামদাবাদ। * ভারতের আসাম রাজ্যের বাংলাভাষী বরাক উপত্যকা। বছর কয়েক আগে সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, নাম আসাম ইউনিভার্সিটি। শিলচর শহর থেকে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার দূরে যে স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত তার নাম দরগাকুনা। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে কোন একজন দরবেশ ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছিলো। এ কারণে, তার স্মৃতিধন্য এলাকাটির নাম হয়েছে দরগাকুনা। এলাকার ডাকঘরের নামও রাখা হয়েছে দরগাকুনা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকঘরটির নাম ছিল দরগাকুনা। প্রায় ২০-২২ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এলাকাটির যখন গুরুত্ব বেড়ে গেল, তখন ডাকঘরটির নামও পাল্টে গেল। ‘দরগাকুনা’ এবার হয়ে গেল ‘দুর্গাকুনা’। ডাকঘর কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। কাজেই এটা পরিষ্কার যে কাজটি করা হয়েছে সরকারিভাবে। কাগজ-পত্রে বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ার পর স্থানীয় লোকগণ যখন ডাকঘরটির নাম-বিকৃতির প্রতিবাদ করলো, তখন বলা হলো, এটা ভুলে হয়ে গিয়েছে, সংশোধন করা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভুলটি আর সংশোধন করা হয়নি বা হবার কোন উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে না।
প্রাচীন মুসলিম ঐতিহ্যের শহর আওরঙ্গবাদ। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগীরের নাম অনুসারে এ ঐতিহাসিক শহরের নামকরণ করা হয়। এটি মহারাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবেও পরিচিত। এবার মুসলিম ঐতিহ্যের এ শহরের নাম পরিবর্তন করে শম্ভুজিনগর করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর আগে মুসলিম ঐতিহাসিক শহর এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে ‘প্রয়াগরাজ’ রেখেছিল। তাদের নেতৃত্বেই ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে সমূলে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ভারতে হিন্দু উগ্রপন্থীরা মুসলিম পরিচয় ও নাম সম্বলিত শহর ও অঞ্চলগুলির নাম পরিবর্তন করার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন ভারত রাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে হিন্দুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে ভারতকে মুসলমানেরা প্রায় সাত'শ বছর শাসন করেছিল। সেই ভারতে মুসলমানেরা এখন সংখ্যালঘু ও নির্যাতিত। বর্তমানে ভারত জুড়ে মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য মুছে ফেলার চূড়ান্ত আয়োজন চলছে। এই প্রক্রিয়া ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পূর্বে অদৃশ্য ছিল। বাবরি মসজিদে উগ্র হিন্দুদের হামলার পর তা প্রকাশ্যে আসে। এখন গো রক্ষার নামে মুসলমানদের হত্যা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ভারত ছাড়া করা বিজেপি সরকারের রীতিমতো কর্মসুচী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত এখন পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হতে চায়। ভারতে হিন্দু ছাড়াও বৌদ্ধ খ্রিস্টানরা নাগরিকত্ব পাবে ও স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু মুসলমানেরা সেদেশে থাকতে পারবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু হিন্দুরা ইচ্ছে করলে যখন তখন ভারতের নাগরিকত্ব নিতে পারবে এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবে। এ লক্ষ্যে বিজেপি সরকার নতুন নাগরিক আইন করার কাজে হাত দিয়েছে। তাদের মডেল হবে ইহুদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের মতো, যেদেশে পৃথিবীর যেকোনো দেশের ইহুদিরা বিনাবাঁধায় প্রবেশ ও নাগরিকত্ব পেতে পারে।
বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত ১২শ’ বছরের প্রাচীন মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ভবনের বাগানের নাম ‘মুঘল গার্ডেন’ থেকে বদলে করা হলো অমৃত উদ্যান। মোঘল গার্ডেন প্রেসিডেন্ট ভবনের মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৫ একর জমির ওপর রয়েছে এই পুষ্পকানন। এটি আসলে অনেক ছোট ছোট বাগানের সমাহার যার একেকটা একেক আকারের। বহু বিরল ফুল এই মুঘল গার্ডেনে পাওয়া যায়। কাশ্মিরের মুঘল গার্ডেন এবং তাজমহলের বাইরের বাগানের আদলে এটি প্রেসিডেন্ট ভবনে তৈরি করা হয়। সে কারণেই এর নাম মুঘল গার্ডেন রাখা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের গোড়া থেকেই মূল লক্ষ্য ভারতকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু-মুক্ত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ পরিণত করা। সেই মনোভাবই নামবদলের রাজনীতির মধ্যেও সমানভাবে সক্রিয় রয়েছে। ভারতের ইতিহাসবিদদের অনেকেই মনে করেন, দেশের মুসলিমদের কোণঠাসা করার জন্য এটা একটা সুপরিকল্পিত নীলনকশারই অংশ। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে দেশকে ‘হিন্দুকরণ’-এর প্রক্রিয়া। সমাজতাত্ত্বিক সঞ্জয় ডয়েচে ভেলেকে জানান, ‘এই নামবদল আসলে দেশের বহুমুখী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটা চ্যালেঞ্জ। বিজেপি দেশের গোঁড়া হিন্দু ভোটারদের তোয়াজ করতেই এমন কাজ করছে। কিন্তু এসবের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে যে বার্তা পৌঁছাচ্ছে, তা সঙ্কট তৈরি করবে।’ বিজেপির আদর্শ হলো, হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএস। ১৯২৫ সালে মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠাই আরএসএস-এর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।
দেশের ইতিহাসবিজড়িত জনপদের নাম ভারতীয় সংস্কৃতির কথা মনে রেখে পরিবর্তন করা হোক। সে জন্য গঠন করা হোক একটি নাম বদল কমিশন।’ এ আরজি জানিয়ে করা এক জনস্বার্থ মামলা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি এম ভি নাগরিকত্ব আবেদনকারীকে জানিয়ে দিতে ভোলেননি যে, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সুপ্রিম কোর্টও ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এমন দেশে ধর্মান্ধতার আশ্রয় নিয়ে ঐতিহাসিক শহর, নগর, জনপদ বা রাস্তার নাম বদলের জন্য কমিশন গঠনের প্রশ্নই ওঠে না। আবেদনকারী বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায়কে নিশানা করে সারা দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলবেন না। অতীত খুঁড়তে যাবেন না। এমন কিছু করবেন না, যা বৈষম্য সৃষ্টি করবে। বিচারপতিরা বলেন, ‘আমাদের দেশে বারবার বিদেশী শক্তি হানা দিয়েছে। এটা সত্যি। কিন্তু সেটাও ইতিহাসের অঙ্গ। সেই ইতিহাস জনপদ, রাস্তা বা সৌধের নাম পাল্টে মুছে ফেলা যায় না।’ বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘আমাদের দেশে কি আর কোনো সমস্যা নেই?’
বিবিসি জানায়, ভারতের রাজধানী দিল্লির বুকে মুঘল সম্রাট আকবরের নামাঙ্কিত একটি প্রধান রাস্তার নাম জোর করে বদলে দিয়ে সমসাময়িক রাজপুত হিন্দু রাজা বীর মহারানা প্রতাপের নামে রাখার চেষ্টা হয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি ও কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন বজরং দলের বেশ কিছু সদস্য আকবর রোডের নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করেন। আকবর রোড দিল্লির একটি আইকনিক রোডই শুধু নয়, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদর দফতরও এই রাস্তার ওপরেই। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে হলদিঘাটের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট আকবরের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন চিতোরের রাজা মহারানা প্রতাপ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এর আগেই বলেছেন, কেন্দ্রীয় দিল্লিতে ৩৫ শতাংশ রাস্তাই না কি মুসলিম শাসকদের নামে, যা অবিলম্বে পাল্টানো দরকার।’
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে বিএসএফের পুশইন চলছেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, বিজিবি মহাপরিচালক- সবার কণ্ঠে কেবলই নরম সুর। নেই শক্ত ও কঠোর প্রতিবাদ। নেই বীরোচিত পদক্ষেপ।
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
১৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিবছর বেকার হয় ১০ লাখ তরুণ প্রতিবছর শ্রমবাজারে তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রবেশ করে ২৪ লাখ তরুণ। প্রতি বছর সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১ লাখেরও কম সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিলের জন্য উপদেষ্টা সরকার গঠন হলো। আর সে উপদেষ্টা সরকার ৩৪ লাখ কর্মজীবির আশ্রয়স্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা ব্যবসাকে অন্তর্বর্তী সরকার দিন দিন অন্তরহীন করে যাচ্ছে।
১২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন ক্ষতিকারক এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফারাক্কা বাঁধের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল বিভিন্ন বাঁধ, ব্যারেজ আর ড্যাম তৈরী করে বাংলাদেশকে পানিশুন্য করার জোরদার পাঁয়তারা করছে ভারত মরণ ফাঁদ ফারাক্কার বিরুদ্ধে তীব্র জনমত ও জাতীয় ঐক্য তৈরী করে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কার্যকর কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)