মন্তব্য কলাম
গণমাধ্যমে ভারতের কুখ্যাত হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদীর বরাতে এসেছে “১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন” অথচ ভারতে অব্যাহতভাবে চলছে মুসলিম নির্যাতনের ভয়ঙ্কর আর পৈশাচিক সব কাহিনী প্রধান উপদেষ্টা “বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কোনো নির্যাতন হবেনা” পরিপূর্ণ আশ্বাস ও আস্থা দিয়েছে কিন্তু ভারতে মুসলমানদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে কী?
ভারতের মিডিয়া, হাজার হাজার হিন্দুত্ববাদী সংস্থা, ভারতীয় জণসাধারণ হিন্দুদের পক্ষে তোলপাড় তুলেছে কিন্তু ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী মিডিয়া, বুদ্ধিজীবি, ইসলামী মহল তথা বাংলাদেশী জনগণের সমস্বরে আওয়াজ কৈ? কোথায়? তবে কী বাংলাদেশে হিন্দুরা জামাই আদরে থাকবে আর ভারতের মুসলমানরা পৈশাচিক অত্যাচারে জর্জরিত থাকবে এবং নির্বিচারে শহীদ হবে? (নাউযুবিল্লাহ)
, ২৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
(দ্বিতীয় পর্ব)
২৮ আগস্ট ২০২৪, গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে, “মুসলমানদের ইতিহাস মুছে দেয়ার চেষ্টা! ৮ স্টেশনের নাম বদল উত্তরপ্রদেশে”
বর্তমানে কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপির মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর যেন নাম পরিবর্তনের প্রতিযোগিতা চলছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের (আল্লাহাবাদ) এলাহাবাদের মুসলিম নাম পরিবর্তন করে প্রেয়াগরাজ রাখা হয়েছে। এলাহাবাদ উত্তর প্রদেশের উত্তরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক শহর। ১৬শ শতাব্দীতে দিল্লীর মুগল সম্রাটরা এই শহরের নাম রেখেছিলো এলাহাবাদ। প্রায় দশ লক্ষ লোকের বাস এই শহরে। এভাবে নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার শত শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।
এবার রাতারাতি ৮ স্টেশনের নাম বদলে গেল কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। যে স্টেশনগুলির নাম বদল করা হয়েছে তার বেশিরভাগই মুসলমানদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কট্টর হিন্দুত্ব নীতির জেরেই এ পদক্ষেপ। পরিষেবার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে এই রেলের এই নাম বদল নীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব।
গত পরশু ২৭ আগস্ট ২০২৪, মঙ্গলবার উত্তর রেলের লখনউ রেলওয়ে বিভাগের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮টি রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। কাসিমপুর হল্ট স্টেশনের নাম বদলে হয়েছে জয়স সিটি, জয়স রেল স্টেশন হয়েছে গুরু গোরক্ষনাথ ধাম, মিসরৌলি হয়েছে মা কালিকান ধাম, বাণী স্টেশনের নাম বদলে হয়েছে স্বামী পরমহংস, নিহালগড় বদলে হয়েছে মহারাজা বিজলি পাসি, আকবরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে মা অহর্ব ভবানী ধাম, ওয়ারিশগঞ্জ হল্টের নাম বদলে রাখা হয়েছে অমর শহিদ ভালে সুলতান। ফুরসাতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে তপেশ্বরনাথ ধাম।
অবশ্য বিজেপি জমানায় নাম বদলের রাজনীতি এই প্রথমবার নয়, এর আগে একাধিকবার বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, জায়গা ও শহরের নাম বদল হয়েছে। এলাহাবাদের নাম হয়েছে প্রয়াগরাজ, মোঘলসরাই জংশনের নাম বদলে হলে গিয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। দিল্লিতেও কয়েকটি রাস্তার নাম বদল হয়েছে।
ভারতের রাজস্থানে আটটি গ্রামের মুসলিম নাম বদলে রাতারাতি হিন্দু নাম দেয়া হয়েছে। রাজ্যের বড়মে জেলার ‘মিয়া কা বড়া’ নামের একটি গ্রামের নাম বদল করে করা হয়েছে ‘মহেশপুর’। অন্য দিকে রাজ্যের অপর একটি গ্রাম ‘ইসমাইলপুর’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘পিচানবা খুর্দ’।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এমন আরো ছয়টি গ্রামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে রাজস্থানে। যেগুলোর বেশির ভাগ ছিল মুসলিম নাম। কয়েক মাস আগে রাজ্যের বেশ কিছু গ্রামের নাম বদলের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজস্থান সরকার। গত ১ জুন সেই গ্রামগুলোর মধ্যে আটটি গ্রামের নাম পরিবর্তন আবেদন মঞ্জুর করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতে মুসলিম নাম ‘আহমেদাবাদ’ পরিবর্তন করে করা হচ্ছে অ্যামদাবাদ। * ভারতের আসাম রাজ্যের বাংলাভাষী বরাক উপত্যকা। বছর কয়েক আগে সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, নাম আসাম ইউনিভার্সিটি। শিলচর শহর থেকে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার দূরে যে স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত তার নাম দরগাকুনা। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে কোন একজন দরবেশ ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছিলো। এ কারণে, তার স্মৃতিধন্য এলাকাটির নাম হয়েছে দরগাকুনা। এলাকার ডাকঘরের নামও রাখা হয়েছে দরগাকুনা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকঘরটির নাম ছিল দরগাকুনা। প্রায় ২০-২২ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এলাকাটির যখন গুরুত্ব বেড়ে গেল, তখন ডাকঘরটির নামও পাল্টে গেল। ‘দরগাকুনা’ এবার হয়ে গেল ‘দুর্গাকুনা’। ডাকঘর কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। কাজেই এটা পরিষ্কার যে কাজটি করা হয়েছে সরকারিভাবে। কাগজ-পত্রে বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ার পর স্থানীয় লোকগণ যখন ডাকঘরটির নাম-বিকৃতির প্রতিবাদ করলো, তখন বলা হলো, এটা ভুলে হয়ে গিয়েছে, সংশোধন করা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভুলটি আর সংশোধন করা হয়নি বা হবার কোন উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে না।
প্রাচীন মুসলিম ঐতিহ্যের শহর আওরঙ্গবাদ। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগীরের নাম অনুসারে এ ঐতিহাসিক শহরের নামকরণ করা হয়। এটি মহারাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবেও পরিচিত। এবার মুসলিম ঐতিহ্যের এ শহরের নাম পরিবর্তন করে শম্ভুজিনগর করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর আগে মুসলিম ঐতিহাসিক শহর এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে ‘প্রয়াগরাজ’ রেখেছিল। তাদের নেতৃত্বেই ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে সমূলে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ভারতে হিন্দু উগ্রপন্থীরা মুসলিম পরিচয় ও নাম সম্বলিত শহর ও অঞ্চলগুলির নাম পরিবর্তন করার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন ভারত রাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে হিন্দুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে ভারতকে মুসলমানেরা প্রায় সাত'শ বছর শাসন করেছিল। সেই ভারতে মুসলমানেরা এখন সংখ্যালঘু ও নির্যাতিত। বর্তমানে ভারত জুড়ে মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য মুছে ফেলার চূড়ান্ত আয়োজন চলছে। এই প্রক্রিয়া ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পূর্বে অদৃশ্য ছিল। বাবরি মসজিদে উগ্র হিন্দুদের হামলার পর তা প্রকাশ্যে আসে। এখন গো রক্ষার নামে মুসলমানদের হত্যা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ভারত ছাড়া করা বিজেপি সরকারের রীতিমতো কর্মসুচী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত এখন পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হতে চায়। ভারতে হিন্দু ছাড়াও বৌদ্ধ খ্রিস্টানরা নাগরিকত্ব পাবে ও স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু মুসলমানেরা সেদেশে থাকতে পারবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু হিন্দুরা ইচ্ছে করলে যখন তখন ভারতের নাগরিকত্ব নিতে পারবে এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবে। এ লক্ষ্যে বিজেপি সরকার নতুন নাগরিক আইন করার কাজে হাত দিয়েছে। তাদের মডেল হবে ইহুদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের মতো, যেদেশে পৃথিবীর যেকোনো দেশের ইহুদিরা বিনাবাঁধায় প্রবেশ ও নাগরিকত্ব পেতে পারে।
বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত ১২শ’ বছরের প্রাচীন মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ভবনের বাগানের নাম ‘মুঘল গার্ডেন’ থেকে বদলে করা হলো অমৃত উদ্যান। মোঘল গার্ডেন প্রেসিডেন্ট ভবনের মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৫ একর জমির ওপর রয়েছে এই পুষ্পকানন। এটি আসলে অনেক ছোট ছোট বাগানের সমাহার যার একেকটা একেক আকারের। বহু বিরল ফুল এই মুঘল গার্ডেনে পাওয়া যায়। কাশ্মিরের মুঘল গার্ডেন এবং তাজমহলের বাইরের বাগানের আদলে এটি প্রেসিডেন্ট ভবনে তৈরি করা হয়। সে কারণেই এর নাম মুঘল গার্ডেন রাখা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের গোড়া থেকেই মূল লক্ষ্য ভারতকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু-মুক্ত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ পরিণত করা। সেই মনোভাবই নামবদলের রাজনীতির মধ্যেও সমানভাবে সক্রিয় রয়েছে। ভারতের ইতিহাসবিদদের অনেকেই মনে করেন, দেশের মুসলিমদের কোণঠাসা করার জন্য এটা একটা সুপরিকল্পিত নীলনকশারই অংশ। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে দেশকে ‘হিন্দুকরণ’-এর প্রক্রিয়া। সমাজতাত্ত্বিক সঞ্জয় ডয়েচে ভেলেকে জানান, ‘এই নামবদল আসলে দেশের বহুমুখী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটা চ্যালেঞ্জ। বিজেপি দেশের গোঁড়া হিন্দু ভোটারদের তোয়াজ করতেই এমন কাজ করছে। কিন্তু এসবের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে যে বার্তা পৌঁছাচ্ছে, তা সঙ্কট তৈরি করবে।’ বিজেপির আদর্শ হলো, হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএস। ১৯২৫ সালে মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠাই আরএসএস-এর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।
দেশের ইতিহাসবিজড়িত জনপদের নাম ভারতীয় সংস্কৃতির কথা মনে রেখে পরিবর্তন করা হোক। সে জন্য গঠন করা হোক একটি নাম বদল কমিশন।’ এ আরজি জানিয়ে করা এক জনস্বার্থ মামলা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি এম ভি নাগরিকত্ব আবেদনকারীকে জানিয়ে দিতে ভোলেননি যে, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সুপ্রিম কোর্টও ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এমন দেশে ধর্মান্ধতার আশ্রয় নিয়ে ঐতিহাসিক শহর, নগর, জনপদ বা রাস্তার নাম বদলের জন্য কমিশন গঠনের প্রশ্নই ওঠে না। আবেদনকারী বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায়কে নিশানা করে সারা দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলবেন না। অতীত খুঁড়তে যাবেন না। এমন কিছু করবেন না, যা বৈষম্য সৃষ্টি করবে। বিচারপতিরা বলেন, ‘আমাদের দেশে বারবার বিদেশী শক্তি হানা দিয়েছে। এটা সত্যি। কিন্তু সেটাও ইতিহাসের অঙ্গ। সেই ইতিহাস জনপদ, রাস্তা বা সৌধের নাম পাল্টে মুছে ফেলা যায় না।’ বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘আমাদের দেশে কি আর কোনো সমস্যা নেই?’
বিবিসি জানায়, ভারতের রাজধানী দিল্লির বুকে মুঘল সম্রাট আকবরের নামাঙ্কিত একটি প্রধান রাস্তার নাম জোর করে বদলে দিয়ে সমসাময়িক রাজপুত হিন্দু রাজা বীর মহারানা প্রতাপের নামে রাখার চেষ্টা হয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি ও কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন বজরং দলের বেশ কিছু সদস্য আকবর রোডের নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করেন। আকবর রোড দিল্লির একটি আইকনিক রোডই শুধু নয়, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদর দফতরও এই রাস্তার ওপরেই। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে হলদিঘাটের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট আকবরের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন চিতোরের রাজা মহারানা প্রতাপ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এর আগেই বলেছেন, কেন্দ্রীয় দিল্লিতে ৩৫ শতাংশ রাস্তাই না কি মুসলিম শাসকদের নামে, যা অবিলম্বে পাল্টানো দরকার।’
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












