মন্তব্য কলাম
গণমাধ্যমে ভারতের কুখ্যাত হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদীর বরাতে এসেছে “১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন” অথচ ভারতে অব্যাহতভাবে চলছে মুসলিম নির্যাতনের ভয়ঙ্কর আর পৈশাচিক সব কাহিনী প্রধান উপদেষ্টা “বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কোনো নির্যাতন হবেনা” পরিপূর্ণ আশ্বাস ও আস্থা দিয়েছে
কিন্তু ভারতে মুসলমানদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে কী? ভারতের মিডিয়া, হাজার হাজার হিন্দুত্ববাদী সংস্থা, ভারতীয় জণসাধারণ হিন্দুদের পক্ষে তোলপাড় তুলেছে কিন্তু ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী মিডিয়া, বুদ্ধিজীবি, ইসলামী মহল তথা বাংলাদেশী জনগণের সমস্বরে আওয়াজ কৈ? কোথায়?
, ২৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২০ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
তবে কী বাংলাদেশে হিন্দুরা জামাই আদরে থাকবে
আর ভারতের মুসলমানরা পৈশাচিক অত্যাচারে জর্জরিত থাকবে এবং নির্বিচারে শহীদ হবে? (নাউযুবিল্লাহ)
(তৃতীয় পর্ব)
গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে ভারতে যুবককে হত্যা বৃদ্ধকে মারধর
গরুর গোশত খাওয়ার সন্দেহে হরিয়ানায় এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং মহারাষ্ট্রে এক মুসলিম বৃদ্ধকে চরম নাজেহাল ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হরিয়ানায় গরুর গোশত ভক্ষণকারী সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃতের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। সাবির মল্লিক নামে যুবককে হরিয়ানায় তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার শ্যালক। সন্দেহের তির গো-রক্ষক কমিটির লোকজনের দিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি খালের ধার থেকে সাবিরের লাশ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানা পুলিশ এ হত্যাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
জানা গেছে, তিন বছর আগে হরিয়ানায় একটি কাজ পেয়ে সেখানে গিয়েছিল সাবির। তার সঙ্গে ছিলেন তার শ্যালক এবং পাড়ার এক যুবক। হরিয়ানায় তাদের সঙ্গে বাড্ডা থানা এলাকায় থাকত সাবির। ২৩ বছরের এ বাঙালি যুবক কাগজ কুড়ানোর কাজ পেয়েছিলেন ভিন রাজ্যে।
পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানার গো-রক্ষক কমিটির সদস্যরা সাবিরকে গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না সাবিরের।
হরিয়ানা পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া এফআইআর অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট সকালে কয়েকজন যুবক এসে সাবিরদের বস্তিতে চোটপাট শুরু করে। সাবিরকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, সাবির ছাড়াও অসমের বাসিন্দা আসিরুদ্দিন নামে আরেক পরিযায়ী শ্রমিককেও বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে দু'জনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পথচারীরা বাধা দিলে দু’জনকে মোটরসাইকেলে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সাবিরকে একটি খালের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আসিরুদ্দিনকে অন্য জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। বর্তমানে অসমের সেই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাবিরের শ্যালক সুজাউদ্দিন থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। সাবিরের মৃতদেহ বাসন্তীতে তার বাড়িতে আনা হয়েছে।
ভারতে সংখ্যালঘুদের সাথে দুর্ব্যবহারের আরেকটি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক জেলার কাছে একটি ট্রেনে। উগ্রপন্থীরা একজন বৃদ্ধকে গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে নির্যাতন করেছে।
উল্লেখ্য ভারতে মুসলমান শহীদ করার ঘটনা মাত্র ৩ দিন আগের। কিন্তু তার কোন প্রতিক্রিয়া ভারতীয় গণমাধ্যমেও নেই, বাংলাদেশী গণমাধ্যমেও নেই। ভারতীয় শাসকদের মধ্যেও নেই, বাংলাদেশীর শাসকদের মধ্যেও নেই। ভারতীয় ইসলামী মহলেও নেই। বাংলাদেশী ইসলামী মহলেও নেই। ভারতীয় সুশীল সমাজেও নেই। বাংলাদেশেও সুশীল সমাজেও নেই।
অথচ ৫ই আগস্টের পর ভারতীয় ও প্রবাসী হিন্দুরা গণহত্যা থেকে অসহায় বাংলাদেশি হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য আবেদনের বোমাবর্ষণ করেছে। অতি-ডানপন্থিরা মৃত বাংলাদেশি হিন্দুদের বিপুল পরিমাণ ছবি এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) ব্যবহার করে বিশ্ব হিন্দু সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের দিকে নজর রাখতে বলেছে। অতি-ডানপন্থি হিন্দু প্রবাসী সংগঠন, যাদের বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উপস্থিতিই নেই, তারা আমাদের বাংলাদেশি ভাই-বোনদের ভয়কে ব্যবহার করে পরামর্শ দিচ্ছে যে শেখ হাসিনাই একমাত্র বাংলাদেশি হিন্দুদের গণহত্যা থেকে রক্ষা করেছেন। একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট মুহাম্মদ ইউনূসকে অং সান সুচির সাথে তুলনা করেছে। সুচি বহু বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে রোহিঙ্গাদের গণহত্যায় সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের মিথ্যা কাহিনী রটনার জন্য দেশী-বিদেশী হিন্দুরা অবিরত, অবিরাম কু-প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। অথচ বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের মিথ্যা রমরমা কাহিনী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোনো প্রচারনা সমালোচনা নেই। আর ভারতে অব্যবহৃত, অব্যাহত মুসলিম নির্যাতন নিয়ে তো কোন কথাই নেই।
২২ জুন, ২০২৩ (বাসস) : দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো এক পত্রে বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট অভিহিত করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গত ২৫ মে তারিখের মার্কিন কংগ্রেসের ছয় প্রতিনিধির চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ জো বাইডেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেন, ‘এটি কেবল একটি অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন দাবিই নয়, বরং এটি একটি বিশাল ভুল ধারণাকেও চিত্রিত করেছে এবং আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো সেই পক্ষপাতদুষ্ট কংগ্রেসম্যানদের চিঠির মিথ্যা এবং বানোয়াট বক্তব্যকে যর্থাথত প্রত্যাখ্যান করছি। ’
আজ এখানে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংস্থা বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ইসকন) এবং শ্রীশ্রী অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচয় কমিটি, চট্টগ্রাম এই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ২০ জুন পৃথক চিঠি লিখেছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ চিঠিতে লিখেছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের নিপীড়নের দাবিগুলোর সবই ভিত্তিহীন মিথ্যা ও বানোয়াট।
জো বাইডেনকে লেখা চিঠিতে তারা জানায়, ‘আমরা আপনাকে জানাতে লিখছি যে সেই পক্ষপাতদুষ্ট ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের আনা দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি আপনাকে জানানোর জন্য যে চিঠিতে করা দাবিগুলো ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের দাবিকে সত্যের অপলাপ হিসাবে বিবেচনা করা উচিৎ এবং এটি বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিনষ্ট করার জন্যই এটা করা হয়েছে। ’
চিঠিতে নেতৃবৃন্দ লিখেছে, ২০০৮ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্প্রীতিতে বসবাস করছে। এমনকি এই সরকারের আমলে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটলেও সরকার অবিলম্বে সেগুলো মোকাবেলায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
নেতৃবন্দ বাইডেনকে লিখেছে, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গোষ্ঠী সম্পর্কে সেই মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যায়নের তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দু জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে-এমন দাবির কোন সত্যতা নেই।
অপরদিকে ভারতে প্রধানমন্ত্রী মোদির এক দশকের শাসনামলে দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ক্রমশ কমে আসছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ মুসলিমবিরোধী। দেশটির একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে মোদি সরকার। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণ করেছে। একাধিক রাজ্যে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো কোনো রাজ্যে প্রকাশ্যে মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগি করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে মুঘল আমলের বিভিন্ন ঐতিহ্যের নাম ও স্মৃতিচিহ্ন। ঘর ওয়াপসির নামে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের জোর করে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। ফ্রিজে গরুর গোশত আছে, এমন অজুহাতেও ভারতের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অনেক জায়গায় অত্যাচার করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হিসেবে সেখানকার মুসলিমরা প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। নাগরিকপঞ্জির নামে আসামে লাখ লাখ মুসলমানকে উন্মুক্ত কারাগারে রাখা হয়েছে। তাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মুসলমানদের নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারাও চলছে। তারপরও মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য বা উসকানি বন্ধ করেননি মোদি এবং তার দল বিজেপি নেতৃবৃন্দ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদির ৬৩ শতাংশ ভাষণই ছিল ঘৃণা উদ্রেককারী। গত ১৬ মার্চ নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া ১৭৩টি বক্তব্য বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ১১০টি (৬৩ শতাংশ) ভাষণে মোদি ‘ইসলামভীতি’ তথা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন।
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর 'ব্যাপক নির্যাতন' হচ্ছে বলে সামাজিক মাধ্যমে যে ভুয়া পোস্টগুলো ছড়িয়েছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছিল বলে বিবিসি বাংলার ফ্যাক্ট-চেকাররা নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামের কাছাকাছি মন্দিরে হামলা হয়েছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিবিসি বাংলার ফ্যাক্ট চেকার বিভাগ 'বিবিসি ভেরিফাই' এর অনুসন্ধানে দেখা যায়, আদতে সেখানে কোনো হামলা হয়নি।
মন্দিরটি পাহারা দিচ্ছিলো চট্টগ্রামের এক বিক্ষোভকারী মইনুল। সে ফ্যাক্ট চেকারদের হামলার খবরটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করে। সে মনে করে, এসব পোস্ট বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
ভারত থেকে ছড়ানো ভুয়া খবর
শেখ হাসিনার পতনের উদ্ভূত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে, ভারতের অতি-দক্ষিণপন্থী 'ইনফ্লোয়েন্সর'রা সুযোগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর ভিডিও শেয়ার করতে শুরু করে, যেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে বলা হতে থাকে।
এ ছাড়া, ছাত্র-বিক্ষোভকারীদের 'ইসলামি কট্টরপন্থী' বলে প্রচার করেও গুজব ছড়ানো হয়।
'ব্র্যান্ডওয়াচ' অ্যাপ, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নজর রাখে, জানিয়েছে যে ৪ আগস্টের পর থেকে ভুয়া কাহিনিগুলো একটি নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ছড়ানো হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যম 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) সাত লাখবার মেনশন করা হয়েছে।
এতে আরও জানা গেছে, ট্রেন্ডিং পোস্টগুলোর প্রায় সবই ভারতের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে করা হয়েছে।
বাংলাদেশভিত্তিক ফ্যাক্ট-চেকাররাও সাম্প্রতিক সামাজিক মাধ্যম বিশ্লেষণ করে একই ধরনের তথ্য পেয়েছেন। তাদের মতে, মূলত ভারতের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকেই হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












