মন্তব্য কলাম
গাজায় যেখানে শিশুদেরও একবেলা খাবারেরও নিশ্চয়তা নাই প্রতি মুহুর্তেই মুহুর্মুহু বোমায় ঝলসে যাচ্ছে গাজাবাসী যেখানে সৌদি আরবে হচ্ছে ডিজে পার্টি আর কাতারে হচ্ছে আতশ বাজি প্রদর্শনী
, ২৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
সত্যিই গাজাবাসীদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহমর্মিতা প্রদর্শন না করা-
ইসরাইলীদের কিছু না বলা
যেনো কারবালার সীমারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে আরব দেশগুলো
ইসরাইলীদের পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধেও তীব্র আন্দোলন দরকার
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় কাজ করা ১২টি প্রধান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার নেতারা জানান, গাজার মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। খবর আল-জাজিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুরা দিনে একবেলারও কম খাবার পাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় চলমান ভয়াবহ ও নির্বিচার বোমাবর্ষণের কারণে সহায়তা পৌঁছানোও হয়ে উঠেছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে সেখানে কাজ করা ৪৩টি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংস্থার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশই কার্যক্রম স্থগিত অথবা সীমিত করে ফেলেছে।
ডক্টর্স উইদআউট বর্ডারস-এর গাজা অঞ্চলের জরুরি সমন্বয়কারী আমান্ডে বাজরোল বলেন, আমরা মানুষকে কষ্ট পেয়ে মারা যেতে দেখছি- যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অথচ আমাদের হাতে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ, খাদ্য কিংবা চিকিৎসাসামগ্রী।
তিনি আরও বলেন, এটা শুধুই মানবিক বিপর্যয় নয়, এটা রাজনৈতিকভাবে নির্ধারিত ও পরিকল্পিত অবরোধ, যা একটি জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানান, গাজা শহরে শিশুখাদ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের তীব্র ঘাটতির কারণে বহু শিশু ও নবজাতক অপুষ্টিতে ভুগছে। অনেকে চিকিৎসা বা খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে।
আল-আকসা হাসপাতালের সামনে সন্তান হারানো ফাদি আহমেদ জানান, আমার ছেলের ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল, শরীরে ছিল মারাত্মক অপুষ্টি। সপ্তাহখানেক হাসপাতালে থাকার পর সে মারা যায়।
এক দাদি ইনতিসার হামদান জানান, আমার নাতি তিন দিন ধরে এক ফোঁটা দুধ পায়নি। শেষে ক্ষুধায় মারা গেল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে উপত্যকায় ৬০ হাজারেরও বেশি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। এছাড়া, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি সহায়তা কর্মী এবং ১,৩০০ জনের বেশি চিকিৎসাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার অন্যতম ভয়াবহ পরিকল্পনার অংশ হলো চলমান ‘গণহত্যা’ যা দখলদার ইসরায়েল নির্মম প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে অব্যাহত রেখেছে।
১৯৫১ সালের গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশন অনুযায়ী গণহত্যা হলো, কোনো জাতীয়, নৃতাত্ত্বিক, গোষ্ঠীগত বা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কর্ম, যা নিম্নলিখিত যেকোনো কর্মকা- বোঝায়। যেমন-সম্প্রদায়ের সদস্যদের হত্যা করা, গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি সাধন করা, গোষ্ঠীর ওপর এমন জীবনযাপনের শর্ত আরোপ করা যা তাদের সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে শারীরিক ধ্বংস সাধনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত, গোষ্ঠীর মধ্যে জন্মহার প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া, গোষ্ঠীর শিশুদের জোরপূর্বক অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর করা।
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সিস বয়েলের মতে, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নীতিগুলো গণহত্যা কনভেনশনের সব শর্ত পূরণ করে। ’
এমন স্থানে এই গণহত্যা পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে নেই খাবার, ওষুধ, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি কিংবা বিদ্যুৎ। তার ওপর সেখানে চলছে অবিরাম বোমা হামলা, প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর আসছে। সম্ভবত এটিই হবে পৃথিবীর ইতিহাসে ‘গণহত্যা’র শেষ অধ্যায়- যেখানে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ নিহত হচ্ছে, যা শিগগির লক্ষাধিক প্রাণহানিতে পরিণত হতে পারে। অথবা, তাদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হবে, যাতে তারা কখনোই ফিরতে না পারে।
ইসরায়েলের উন্মত্ত গণহত্যা, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য এক দুঃস্বপ্ন, আর সেটাই কি বাস্তব হতে চলেছে? এখানে এসে পশ্চিমা জাতি, আইনের শাসন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং তথাকথিত সভ্যতার রক্ষকদের মুখোশ চিরতরে খুলে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের মিথ্যাচারও এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। যেমন- ইসরায়েল দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান চায়, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইন মেনে চলে, হামাস হাসপাতাল ও স্কুলগুলোকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে বলে শুধু সেগুলোতে বোমাবর্ষণ করা হয়, হামাস বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ আছে কারণ হামাস ট্রাকগুলো দখল করছে বা অস্ত্র পাচার করছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ হামাস ‘সন্ত্রাসী’ এবং হামাস অস্ত্র সংগ্রহ করছে ও নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করছে বলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গেছে-এসব শুধুই মিথ্যা বুলি, আর কিছুই নয়।
এসব মিথ্যার আড়ালে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়েছে, যা এর মধ্যেও প্রমাণিত হয় যে, তারা উত্তর গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া মাধ্যমে, যেখানে ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসস্তূপে আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
আগুন-রক্ত-ধ্বংসের বিভীষিকায় রূপ নিয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটি। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বোমার আঘাতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ধ্বংসস্তূপে প্রিয়জনদের মরদেহ হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছেন অনেকে। স্বজন হারানোর আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে আকাশ।
গাজায় এখন একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে ছোট্ট শিশুরা। নেই খাবার পানি, বিদ্যুৎ, প্রয়োজনীয় কাপড়। চিকিৎসা নেয়ার জন্য যেই হাসপাতাল প্রয়োজন, তাও গুঁড়িয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর সেনারা। বোমার আঘাতে ধ্বংস করা হয়েছে উপত্যকাটির মসজিদগুলো।
নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর এমন বর্বরতায় নীরব ভূমিকার জন্য কঠিন তীব্র সমালোচিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ হচ্ছে, তখন আরব দেশগুলোতে চলছে নাচ-গান আর আতশবাজি উৎসব।
চলতি সপ্তাহেই সৌদি আরবের আল-উলা’র জাবাল আল-ফিলে আয়োজন করা হয় ডিজে পার্টির। বিখ্যাত এলিফ্যান্ট রকের সামনে পাশ্চাত্য সুরে রাতভর নাচ-গানে মেতেছে তরুণ-তরুণীরা। সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছে নেটিজেনরা।
এর আগে, চলতি মাসেই উৎসবের আলোয় আলোকিত হয় কাতারের আকাশ। ইসরাইলি বোমার আঘাতে যখন ফিলিস্তিন জ্বলছে, ঠিক তখন আতশবাজি প্রদর্শনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশটি। লুসাইল শহরের এই উৎসবে অ্যাক্রোবেটিক শো, আতশবাজি ও রাতের আকাশে ড্রোনের সাহায্যে বিভিন্ন আলোর খেলা দেখানো হয়।
ডিসেম্বর ২০২১-এর আগে রিয়াদের বৃহত্তর ‘মিউজিক স্ট্রম কনসার্ট’ পর্যন্ত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত রিয়াদের এ কনসার্টটিতে পুরো পৃথিবীর নামকরা ‘তারকা’দের আমন্ত্রণ করা হয়। ব্যয় করা হয়েছে শত শত কোটি ডলার। পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এটি ছিল সর্ববৃহৎ নারী-পুরুষ মিশ্রিত ‘বিনোদন’ আয়োজন। সাত লাখের বেশি মানুষ সেখানে অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ সৌদিআরব এক্ষেত্রে দুবাই, আবুধাবী এবং আগে থেকেই অনেকটা খোলামেলা পরিবেশে থাকা অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। এটি সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান হলেও এ ধরনের অনুষ্ঠান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদিআরবের বড় বড় নগরী রিয়াদ, জেদ্দাসহ অন্যান্য নগরীতে নিয়মিতই আয়োজন হচ্ছে।
নাচ-গানের এসব আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে লাখ লাখ লোকের অবাধ সমাগম হলেও পবিত্র মক্কা-মদীনায় কিন্তু এখনো প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত। মসজিদে যেতে ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপ, রওজা শরীফে সালাম পেশ করার পূর্বোনুমতিগ্রহণ, এরপর দীর্ঘ লাইন, মসজিদুল হারামের শুধু দোতলা ও ছাদে নিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকার, হাজরে আসওয়াদ-হাতীম নিষিদ্ধ, কাবা শরীফের আশপাশে ঘেঁষতেও মানা, আবার সকল জায়গায় মাস্কের বাধ্যবাধকতা তো আছেই। কিন্তু নাচ-গানের বেলায় মহা সমাগমে কোভিডের কোনো ভয় নেই!
এ ধরনের অশ্লীল আয়োজন কিন্তু সৌদিআরবের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ, সে দেশে রয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র দুটি স্থান মক্কা মুকাররমা ও মদীনা মুনাওয়ারা। পুরো বিশ্বের মুসলিমদের হৃদয়ের সম্পর্ক এ স্থানগুলোর সাথে। এ স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ সৌদি সরকার নিজের হাতেই রেখেছে। এমনকি সৌদিআরবের বাদশাহগণ নিজেদের রাজকীয় খেতাব হিসেবে ‘খাদিমুল হারামাইনিশ শারীফাইন-দুই পবিত্র হারামের সেবক’ বাক্যটিও গ্রহণ করেছেন।
সৌদি আরব এবং তার ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বা ‘এমবিএস’-এর উপর গাজায় ইজরায়েলি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট চাপ রয়েছে এবং ইজরায়েলি পদক্ষেপের ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মারা গিয়েছেন। যাই হোক, রাখঢাক করে হলেও সৌদি নেতৃত্বের একাংশ স্বীকার করে নিয়েছে যে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের সন্ত্রাসবাদী হামলা উল্লেখযোগ্য বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ না হলেও এই অঞ্চলের বেশ কিছু আরব রাষ্ট্র হামাসের বিলুপ্তি দেখতে চায়। ৭ অক্টোবরের হামলার আগে - হামাস সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত ইজরায়েলিদের আটক করে রেখেছে- সৌদিরা ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা চালিয়ে এসেছে। আরও বিস্তৃত রিয়াধ-ওয়াশিংটন নিরাপত্তা চুক্তির বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিটির ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ)
গাজাবাসীদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহমর্মিতা প্রদর্শন না করা। ইসরাইলীদের কিছু না বলা। যেনো কারবালার সীমারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে আরব দেশগুলো। ইসরাইলীদের পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধেও তীব্র আন্দোলন দরকার।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












