মন্তব্য কলাম
গ্যাস জালানীখাতে জালেমশাহী তথা দুর্নীতির মা- হাসিনা সরকারের মতই আমদানীর ব্যাপকতায় ভাসছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার করছে আরো বেশী দুর্নীতি। লংটার্ম কন্ট্রাক্ট বাদ দিয়ে বেশি দামে স্পট মার্কেট থেকেই এলএনজি ক্রয় করছে
পেট্রোবাংলা ও আরপিজিসিএলকে না জানিয়ে বিনা টেন্ডারে মার্কিন কোম্পানী আর্জেন্ট থেকে বছরে ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানীর চুক্তিকে জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা দুর্নীতির মা- হাসিনা আমলের চেয়েও বড় অস্বচ্ছ মনে করছেন
, ২৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম

২০২৫-২০২৬ সালে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার এলএনজি আমদানী ক্রয় করা হবে
বিপরীতে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১৪ হাজার কোটি টাকা
অন্তর্বর্তী সরকার আর দুর্নীতির মা- হাসিনার সরকার
তফাৎ টা তাহলে কী?
গণ ভাবনা খুব বেশী দরকার!
দেশে দৈনিক ৩৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে।
দেশে একসময় দিনে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো। ২০১৮ সালের পর থেকে উৎপাদন কমতে থাকে। ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানীর দিকে ঝুঁকে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোয় তেমন জোর দেয়নি তারা। একই পথে হাটছে বর্তমান সরকারও। বরং বর্তমান সরকার এলএনজি নিয়ে আরো কেলেঙ্কারী করছে। গত বছরও দিনে গ্যাস উৎপাদিত হতো ২০০-২১০ কোটি ঘনফুট। উৎপাদন কমে এখন ১৯০ কোটি ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছে। আর আমদানী করা এলএনজি থেকে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ৯৫ কোটি ঘনফুট।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানীর ক্ষেত্রে ‘দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি’ বা লং-টার্ম কন্ট্রাক্ট আন্তর্জাতিক বাজারে একটি অতি পরিচিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতির বড় সুবিধা হলো, বাজারে স্বল্প মেয়াদে দাম ওঠানামা করলেও চুক্তিতে নির্ধারিত দামেই গ্যাস পাবে ক্রেতা। কিন্তু এই সুযোগ হেলায় ফেলে স্পট মার্কেট থেকে চার গুণ বেশি দামে এলএনজি আমদানী করছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। বেশি দামে এলএনজি কেনার প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে দেশের গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে।
বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সংকটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানী ব্যাহত হচ্ছে। তাই আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) এলএনজি কিনতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নিচ্ছে সরকার। ৩৫ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্পট মার্কেট থেকে বেশি দামে এলএনজি ক্রয়ের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়তে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট কমোডটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেসের আইসিআইএস এলএনজি গ্লোবাল সাপ্লাই অ্যান্ড ডিমান্ড আউটলুক প্রতিবেদনে।
এলএনজি ক্রয়েও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলের মতোই দুর্নীতি করছে
বছরে ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানী করতে মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বড় চুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, জ্বালানির বিশেষ বিধান বাতিলের পর টেন্ডার ছাড়া এরকম একটি চুক্তি করা ঠিক হয়নি সরকারের। পুরো প্রক্রিয়াটি শেখ হাসিনা সরকারের আমলের মতোই হয়ে গেছে। এতে কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। খোদ এলএনজির একক ক্রেতা পেট্রোবাংলা ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) চুক্তির বিষয়ে কিছুই জানে না। অথচ এলএনজির কোনো চুক্তি করতে হলে পণ্যটির একক ক্রেতার মতামত অবশ্যই নিতে হবে। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে চুক্তি করতে হলে উভয় পক্ষে সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকতে হয়। সরকার কখনো অন্য দেশের বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারে না। কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে হলে, উভয় দেশের কোম্পানি পর্যায়ে চুক্তি হতে হবে। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তা করেনি। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন এতে বড় ধরনের দূর্নীতি হয়েছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মতই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গ্যাস কূপ খননে বরাদ্দ দিচ্ছে একভাগ আর আমদানীতে ব্যায় করছে শতভাগেরও বেশী
দেশে গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ২০১৮ সাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানী শুরু করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বিগত সাত অর্থবছরে বিদেশ থেকে পণ্যটি আমদানী করতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। যদিও এই এলএনজি মোট সরবরাহকৃত গ্যাসের মাত্র ২০-২৫ শতাংশ। অন্যদিকে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে দুই যুগে মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সরকার।
গ্যাস অনুসন্ধানে সীমিত এ বিনিয়োগে একদিকে যেমন গ্যাসের বড় কোনো মজুদ আবিষ্কার হয়নি, তেমনি কমানো যায়নি গ্যাসের সরবরাহ সংকট। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি আমদানীতে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি দেশে জ্বালানি নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলেছে। বাড়ছে এলএনজির দামও। এরই মধ্যে সরকার বিকল্প উৎস অনুসন্ধান শুরু করেছে। বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানীর বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্য। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েত থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল ও এলএনজি আমদানী করে বাংলাদেশ। এসব পণ্য আমদানী হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে এরই মধ্যে জাহাজ ও ট্যাংকারের ভাড়া ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। জাহাজ ভাড়া ও প্রিমিয়াম চার্জ দফায় দফায় বাড়াচ্ছে পণ্য পরিবহনকারী আন্তর্জাতিক জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। জাহাজের প্রিমিয়াম চার্জ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে পর্যবেক্ষণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে উপসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ জড়িয়ে পড়লে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানীর রুট পরিবর্তন করতে হলে দেশে জ্বালানির দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি আমদানী বন্ধ হয়ে গেলে তা দেশের জ্বালানি খাতের নিরাপত্তাকে তীব্র ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে বলে মনে করেন তারা।
গ্যাসের চাহিদা বিবেচনায় আমদানীর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তা এতটা বাড়ানো উচিত নয়, যা সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যুদ্ধের কারণে সরবরাহ সংকটের ঝুঁকির পাশাপাশি দামেও উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এলএনজি সরবরাহ কার্যক্রম প্রতি বছর ব্যাহত হচ্ছে। এত ঝুঁকি নিয়ে দেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা নিরাপদ রাখা চ্যালেঞ্জিং। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় গ্যাস খাতের সরবরাহ বড় আকারে বাড়ানোর পরিকল্পনা ও বিদেশী কোম্পানিগুলোকে দেশের গ্যাস খাতে টেনে আনার জোর চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
যদিও জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জ্বালানির স্থানীয় বিনিয়োগ ও গ্যাস পেতে জোরালো উদ্যোগ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমদানীর বহুমুখী উৎস তৈরি করতে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
২০১৮ সালে এলএনজি আমদানীর শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ছিল। বিশেষ করে আমদানীতে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এলএনজি আমদানী করতে গিয়ে অর্থ সংকটে পেট্রোবাংলাকে বিদেশী ঋণ, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) ব্যবহার করতে হয়েছে।
গত সাত অর্থবছরে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানী করা হলেও গ্যাস অনুসন্ধানে বড় কোনো অর্থ বিনিয়োগ করা যায়নি। বিশেষ করে এলএনজি আমদানীর ১০ শতাংশ অর্থ যদি গ্যাস খাতে বিনিয়োগ করা যেত তাহলে স্থানীয় গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদের বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যেত বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও খাতসংশ্লিষ্টরা।
দেশে বিদেশী তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানির হিসাব বাদ দিলে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন গ্যাস কোম্পানি বাপেক্স, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) মাধ্যমে গত দুই দশকের কিছু বেশি সময় ধরে মাত্র ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।
গ্যাস খাতের উৎপাদন, সরবরাহ পরিস্থিতি, গ্যাসকূপ খনন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গত বছরের ১৫ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে পেট্রোবাংলা। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরে দেশে গ্যাসকূপ খননে বিনিয়োগ হয়েছে ৬ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি কোম্পানির আওতায় মোট ৫৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছে। সীমিত এ অর্থে খননকৃত ১৮টি অনুসন্ধানমূলক কূপের ৫০ শতাংশেই গ্যাস পাওয়া গেছে। আর কূপ খনন করে যে গ্যাস পাওয়া গেছে তা বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে মোট ৩৩ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এ খাতে ৩৮৭ শতাংশ মুনাফা করেছে উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলো।
অন্যদিকে একই সময়ে বিদেশী তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি দেশে মোট আটটি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে। এর মধ্যে গ্যাস পেয়েছে কেবল দুটিতে। সে হিসেবে বিদেশী কোম্পানির সফলতার হার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির অর্ধেক, ২৫ শতাংশ।
‘প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ এলএনজি আমদানীতে ব্যয় করছে। অথচ এ আমদানীনির্ভরতার নানা ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ তীব্র ঝুঁকি নিয়ে আমদানীতে ভরসা রাখছে। আমাদের উচিত স্থানীয় গ্যাসে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং এর মাধ্যমে বৃহৎ আকারে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে গ্যাসের মজুদপ্রাপ্যতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বিভিন্ন সময় হচ্ছে। আগামীতেও এসব বাড়তে থাকবে। ফলে এসব অঞ্চলে আমাদের যে গ্যাস আমদানীর উৎস রয়েছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা হওয়া দরকার। নতুবা সামনে বড় ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। ’
দেশে গত দুই দশকে বিভিন্ন সরকার অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে কিন্তু সেই কার্যক্রম গ্যাস চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য। স্থল ভাগে আরো বড় আকারে অনুসন্ধানের সুযোগ ও সময় ছিল।
‘স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে বাপেক্সের নিজস্ব কিছু কার্যক্রম সবসময় ছিল। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। সুযোগ ছিল স্থলভাগে বাপেক্সের পাশাপাশি বিদেশী কোম্পানি এনে বৃহৎ আকারে অনুসন্ধান জরিপকাজ চালানো। কিন্তু সেটি আইনি কিছু জটিলতার কারণে করা যায়নি। অথচ আমরা বাপেক্সের সক্ষমতার কাজ বিদেশী ঠিকাদার দিয়ে করিয়েছি। দেশে গ্যাস চাহিদার বিবেচনায় এলএনজি আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানটাও জোরালো হওয়া উচিত ছিল।
পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৩ কার্গো এলএনজি আমদানী করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৯৫ কার্গো আসবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ১০৫ থেকে ১০৯ কার্গো এলএনজি আমদানীর পরিকল্পনা রয়েছে। ধীরে ধীরে এলএনজি আমদানীর পরিমাণ বাড়ছে।
উল্লেখ্য এক কার্গো এলএনজি কিনতে ব্যায় হয় প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে ১০৯ কার্গো আমদানী করতে ব্যায় হবে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।
বিপরীতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে তিন হাজার ৮২৭ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরে সাত প্রকল্প অনুমোদনের পর এ খাতে আরো আটটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার বেশি।
অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ফ্যাসিস্ট হাসিনার মতই দেশে গ্যাস অনুসন্ধান এবং বাপেক্সকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী এবং আমদানীতে তথা অনিয়ম আর অস্বচ্ছতা তথা দুর্নীতিতে সোৎসাহী। জনগণের সোচ্চার হওয়া দরকার ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রকৃত অর্থে মূল্যস্ফীতি কী কাঙ্খিতভাবে কমেছে? মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জন্য সম্যক ধারণা সহজ করা হয় না কেন? মূল্যস্ফীতি কতভাবে মানুষের পকেট কাটে তা সর্বজনবিদিত নয় কেন?
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন ক্ষতিকারক এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দেশবিরোধী স্টারলিঙ্কের হাতে ইন্টারনেট-এর গোপনীয়তা এবং এর বাণিজ্য তুলে দেয়া হয়েছে। এবার মোবাইলের মালিকানা ৮০ ভাগ পর্যন্ত পছন্দের বিদেশী কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। দেশের ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত করে বিদেশী বেনিয়াদের প্রতিষ্ঠা করা তথা নতুন ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী খোলাই কী এই সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা এজেন্টদের উদ্দেশ্যে?
০৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
২০৫০ সালের মধ্যেই মুসলমানের সংখ্যা সারা বিশ্বে প্রথম হবে হিন্দুত্ববাদী ভারতেও দিন দিন হিন্দুদের সংখ্যা কমে, মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে তবে হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হতো আরো বহুগুণ হিন্দুত্ববাদী ভারতে জোর করে মুসলমানদের বন্ধ্যা করে দেয়া হয়
০৬ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কেবল জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলাই নয়, প্রথমেই এর দূত হিসেবে আত্মস্বীকৃত সমকামীকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ।
০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
০৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাংবাদিক মহল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সমালোচক মহল সবাই প্রধান উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ভয়াবহ মিথ্যাবাদী ও ষড়যন্ত্রকারী বলে প্রচার করছে। ‘অন্তর্বর্তী সরকার বেকায়দায় পড়লে- ‘না’ করে আর সুযোগ বুঝে ঠিকই মার্কিনী এজেন্ডা তথা দেশ ও ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে’ বলে অভিযোগ উঠেছে
০২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা গবেষণার দিকে আগ্রহী না হয়ে বিসিএস পরীক্ষায় আগ্রহী হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তহবিল বা অর্থায়ন আসার প্রক্রিয়াটি সরকারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক স্থাপন হয়নি সব বাধা দূর করে জীবন-জীবিকা বান্ধব সমৃদ্ধ গবেষণার জন্য যথাযথ তৎপরতা ও প্রচেষ্টা একান্ত দরকার
০১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফকির- ‘আমেরিকার’ প্রকৃত ঋণ শত ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশী দেউলিয়া আমেরিকা, ঋণ করেই যুদ্ধের জুয়া খেলছে আর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম শাসকরা আমেরিকান রিকন্ডিশন অস্ত্র কিনে তার জুয়ায় রসদের, যোগান দিয়েই চলছে (নাউযুবিল্লাহ)
৩০ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পানিবায়ু তহবিল: জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগই শেষ কথা না বরং আই.এম.এফ এবং চীনা ঋণের ফাঁদের মতই এটা এক মহা প্রতারণাযুক্ত ফাঁদ এ সম্পর্কে চাই জোরদার সচেতনতা
২৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তথা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ আর দেশীয় প্রথম আলো গং প্রচারণা চালাচ্ছে এবং প্রেক্ষাপট তৈরীর চেষ্টা করছে- “আরাকান আর্মির সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে এবং তথাকথিত মানবিক করিডোর দিতে” বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, মুসলমান তথা রোহিঙ্গাদের স্বার্থ তাদের কাছে তুচ্ছ, ফেলনা।
২৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)