সম্পাদকীয় (২)
চিকিৎসা না করে, সঞ্চয় ভেঙ্গে, ধার করে খাদ্যপণ্য কিনছে মানুষ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে চাহিদা ও যোগানের সঠিক পরিসংখ্যান আগে করতে হবে
, ২৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
কোন দ্রব্যের দাম বাড়ছে না? এ প্রশ্ন এখন অর্থহীন বরং কোন বর্ধিত মূল্য আবারো বাড়ছেনা? এবং তারপরেও আবারো বাড়ছে না এ প্রশ্নই এখন প্রতিদিন নতুন করে করতে হচ্ছে এর উত্তরে।
অর্থনীতিবিদরা মাথা ঘামাবেন আর সরকারি মহল গলার জোরে বলবে, কোন দেশে দাম বাড়েনি বলেন? আমরা না থাকলে যে কী হতো, এখন তো বাজারে জিনিস পাচ্ছেন, সেটাও পেতেন না। এই কথায় গুরুত্বহীন সাধারণ মানুষেরা আরও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন আর খরচ কমানোর পথ খুঁজতে থাকেন। মানুষের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর সাময়িক প্রভাব যতটা দীর্ঘ, মেয়াদি প্রভাব তার চেয়ে বেশি এবং ভয়াবহ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর গত বছরের এপ্রিলে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বা দ্রব্যমূল্য নাকি সরকারের এক নম্বর এজেন্ডা। এ বিষয়ে সরকারপ্রধান নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু বাজারে তার প্রভাব বিপরীতমুখী। চলতি অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতিকে ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। কিন্তু নানা পদক্ষেপ নিয়েও তা কোনোভাবেই ৯ শতাংশের নিচে নামাতে পারেনি। বরং টানা ২৩ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
বিবিএস যেসব পণ্যমূল্য নিয়ে জরিপ করে, সে তালিকায় খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, মাছ, গোশত, তেল, চিনিসহ ১২৭টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।
বিশ্ব-খাদ্য কর্মসূচির চলতি মাসের প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের খাদ্য কেনার খরচ ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য কেনার খরচ এত বাড়লেও মানুষের আয় কিন্তু বাড়েনি। অনেকের আয় বরং কমেছে। অনেকে কর্মহীন বা বেকারে পরিণত হয়েছে। সংসারে যে ব্যয় বেড়েছে, অর্থের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে অনেকে অন্যান্য খরচ কমিয়ে দিয়েছে। এমনকি ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। ৪৩ শতাংশ মানুষ বাকিতে খাবার কিনছে। ২২ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা ব্যয় কমিয়েছে। ১৩ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে।
সরকারের তরফে বড় গলা করে বলা হয়। দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাছ, গোশত, ডিম, দুধেও পিছিয়ে নেই। ফলমূল, শাকসবজি, তরিতরকারিও প্রচুর উৎপাদিত হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে উৎপাদন মওসুমেও চালের দাম বাড়ে কেন? আটার দাম বাড়ে কেন? কেনই বা বিপুল পরিমাণ চাল-গম আমদানি করতে হয় ফি বছর? গবাদিপশুর সংখ্যা বার্ষিক চাহিদার তুলনায় বেশি বলে দাবি করা হলেও গোশতের দাম বাড়ে কেন? মুরগির দাম, ডিমের দাম বাড়ে কেন? মাছের দামই বা কেন বাড়ে? কেন ভর মওসুমেও শাকসবজি, তরিতরকারির দাম লাগামের বাইরে চলে যায়? এসব প্রশ্নের যুক্তিগ্রাহ্য কোনো জবাব নেই। এই বৈপরীত্যের একটি কারণ এই হতে পারে যে, সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয় বা দাবি করা হয়, তা সঠিক নয়। দেশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলু উৎপাদিত হয়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও এখন একই কথা প্রযোজ্য। তাহলে আলু-পেঁয়াজের দাম এত বাড়ে কীভাবে? কেনই বা আলু-পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিতে হয়? চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে নিশ্চয়ই গড়মিল আছে।
এজন্য চাহিদার পরিসংখ্যান সঠিক হতে হবে। সে অনুযায়ী উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এভাবে উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হলে সিন্ডিকেটবাজদের দৌরাত্ম্য আপনাআপনিই কমবে। বাজারের ওপর সরকারের নজরদারি তো থাকতেই হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ সক্ষমতাও থাকতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












