জবরদখলে থাকা সরকারি সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, খাস জমি অথবা রেলওয়ের বেহাত জমি। পরিত্যক্ত জমির হিসাব ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেই। উদ্ধারেও কোনো তৎপরতা নেই।
, ১৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
সরকারি জমি জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ মসৃণ করা দুরূহ কোনো বিষয় নয়। তবে এক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার এবং দলীয় সঙ্কীর্ণতা পরিহারসহ সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে দেশের মুহব্বতে কাজ করার মানসিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, পরিত্যক্ত ও খাস জমির মালিক সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে এসব জমির কোনো হিসাবই নেই। ফলে সরকারের মূল্যবান এসব জমি নানাভাবে বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এদিকে স¦াধীনতার ৪৬ বছর পরও পরিত্যক্ত সম্পত্তির কোনো তালিকা হয়নি। খাস জমির ক্ষেত্রেও রয়েছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। তবে পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য দু’বছর আগে ভূমি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলেও তা বিফলে যেতে বসেছে। এ বিষয়ে প্রায় সবক’টি জেলা তথ্য পাঠালেও ঢাকা ডিসি অফিস থেকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
স¦াধীনতা যুদ্ধের সময় পূর্ব-পাকিস্তানে বসবাসরত যেসব মুসলিম বিহারি জমিজমা ও সম্পত্তি ফেলে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান, দেশ স¦াধীনের পর তাদের সব সম্পত্তি সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে। ‘প্রেসিডেন্ট আদেশ নম্বর ১৬’ বা ‘পিও সিক্সটিন’ নামে পরিচিত এক আদেশের মাধ্যমে এধরনের ফেলে যাওয়া সম্পত্তিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তিভুক্ত করা হয়। এসব সম্পত্তির মূল মালিক ভূমি মন্ত্রণালয়।
সারা দেশে রেলওয়ের জমি রয়েছে ৬১ হাজার ৮৬০ দশমিক ২৮ একর। এরমধ্যে অপারেশনাল কাজে ব্যবহার হচ্ছে ৩১ হাজার ৫৬৮ দশমিক ৯৪ একর। বাকি জমির মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় পাঁচ হাজার একর। বর্তমানে রেলওয়ের তিন হাজার ৯৯১ দশমিক ৩৯ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে ৯২২ একর, ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে দুই হাজার ৯৭৮ দশমিক ২২ একর এবং ধর্মীয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে ৯০ দশমিক ৮৩ একর।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অবৈধ দখলকারীরা প্রশাসনের একশ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তার সহযোগিতায় জাল দলিল বানিয়ে নেয়। উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলে জাল দলিল নিয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়। মামলার কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো যায় না।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে সরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন, খাস, অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদফতর, পরিদফতর ও দফতরের মালিকানায় জমি রয়েছে। সরকারি যে প্রতিষ্ঠানের আওতায় এ সম্পত্তি থাকুক না কেন, ভূমি মন্ত্রণালয় এর বাৎসরিক খাজনা তথা ভূমি উন্নয়ন কর পাবে। কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কী পরিমাণ কোন শ্রেণীর সরকারি সম্পদ রয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েই পাওয়া যাচ্ছে না। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সবকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে হাজার কোটি টাকার ভূমি উন্নয়ন কর পাওনা রয়েছে দাবি করা হলেও মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো তা আমলেই নিচ্ছে না।
সংশি¬ষ্ট সূত্র জানায়, ভূমি ব্যবস্থাপনায় ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি আপিল বোর্ড, ভূমি সংস্কার বোর্ড এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে নেই কোনো সমন্বয়। সরকারি স্থাপনা নির্মাণ কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে অধিগ্রহণ করা সরকারি সম্পত্তিগুলোও রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে সরকারি সম্পত্তি চলে যাচ্ছে জবরদখলকারীদের নিয়ন্ত্রণে। আবার সেই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সরকার পক্ষ আদালতে মামলা করতে যাচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পর সেই সম্পত্তি উদ্ধারে মামলা করা হলেও যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীন আচরণে সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বরং তারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
রেলের দামি জমিতে প্রভাবশালী মহল ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কল-কারখানা, স্কুল-কলেজ, ক্লাব, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ইত্যাদি স্থাপন করে দখল বজায় রেখেছে। কয়েক হাজার কোটি টাকার এই ভূ-সম্পত্তি উদ্ধারে রেলের কার্যকর কোনো তৎপরতা নেই। উদ্ধার অভিযান চালাতে গেলেও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তা থমকে যাচ্ছে।
মূলত, রাজনৈতিক মদদেই মূল্যবান পরিত্যক্ত সম্পত্তিগুলো সরকারের হাতছাড়া হয়ে গেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব পরিত্যক্ত সম্পত্তি বেদখলে রয়েছে, তার বেশিরভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে। অবৈধভাবে সরকারি ক্ষমতার প্রভাব খাটানোর মধ্যেমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মূল্যবান এসব সম্পত্তি। যেহেতু কমবেশি সবগুলো বড় রাজনৈতিক দলের লোকেরাই এসব দখলবাজির সঙ্গে জড়িত, সে কারণে বেহাত হওয়া সম্পত্তিগুলো পুনরুদ্ধারে কার্যকর ও সমন্বিত কোনো পদক্ষেপ নেই।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি- যে দেশে ভূমিহীনদের সংখ্যা কোটির উপরে, সেদেশে এতো বিশাল ভূমি বেহাত হয়ে থাকতে পারে না এবং অব্যবহৃত হয়েও থাকতে পারে না। এসব ভূমি অবশ্যই অবিলম্বে সত্যিকার ভূমিহীনদের মাঝে বণ্টনে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












