জাতিগতভাবেই মুসলমানরা শরাফত, ভদ্রতার অধিকারী কিন্তু ঠিক তার বিপরীত বিধর্মীরা
, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

(১)
পবিত্র দ্বীন ইসলামে ছেলে-মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হলে বিবাহ দেয়া, বিবাহ করানোর নির্দেশ রয়েছে। একজন পুরুষ তার প্রয়োজনে চারটি বিবাহ করতে পারবে- যদি সে সমতা রক্ষা করতে পারে। একজন মহিলার স্বামী ইন্তেকাল করলে সে অন্যত্র বিবাহ বসতে পারে।
অপরদিকে অনেকের হয়তো জানা রয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এদের যারা পাদ্রী, ঠাকুর, ভিক্ষু রয়েছে এরা জীবনে কখনো বিয়ে করতে পারে না। কারণ তাদের ধর্মে নিষেধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে- এই ভিক্ষু ঠাকুর, পাদ্রীগুলো তাদের জৈবিক চাহিদা মিটাতে প্রতিদিন গির্জা, মন্দিরে অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে- তার হাজারো নজির পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। এই ঠাকুর, পাদ্রী ভিক্ষু কর্তৃক শিশুরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এবার চিন্তা করুন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অর্থাৎ সমস্ত বিধর্মীরা কতটুকু নোংরা। এখন আসুন হিন্দুদের সতীদাহ প্রথা সম্পর্কে আলোচনা করি। পবিত্র দ্বীন ইসলামে স্বামী ইন্তেকাল করলে স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ বসতে পারে। কিন্তু হিন্দুদের স্বামী ইন্তেকাল করলে স্ত্রীকে মৃত স্বামীর সাথে হাত-পা বেঁধে জীবন্ত আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে ছাই করে ফেলা হয়। এ থেকেই স্পষ্ট প্রমাণিত হয় হিন্দুরা কত নিষ্ঠুর ও যালিম প্রকৃতির। এখন অনেকে বলতে পারেন সতীদাহ প্রথা আইন করে তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বলার বিষয় হচ্ছে- হিন্দুদের বইয়েতো সেটা নির্দেশ রয়েছে। ভারতের অনেক প্রদেশে গোড়া হিন্দুদের মধ্যে এখনো সতীদাহ প্রথা চালু রয়েছে।
(২)
একজন মুসলমানকে ইস্তিঞ্জা করতে হলে বসে করতে হয়। ইস্তিঞ্জা শেষে ঢিলা-কুলুখ কিংবা টিস্যু নিয়ে পানি ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সময় মুসলমানগণ পাঁচবার ওযূ করে থাকেন ইত্যাদি। অপরদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান তথা সমস্ত বিধর্মীরা পুরুষ-মহিলা উভয়ে দাঁড়িয়ে ইস্তিঞ্জা করে। পশ্চিমা সাদা চামড়ার লোকেরা পায়খানা করার পর পানির পরিবর্তে শুধুমাত্র টয়লেট টিস্যু ব্যবহার করে। দুর্গন্ধ এড়াতে বডি স্প্রে ব্যবহার করে। এজন্য তারা প্রতি বছর হাত ধোয়া দিবস পালন করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
মূলত, সমস্ত বিধর্মীরা জাতিগতভাবে নোংরা বা নাপাক এরা তাদের ওযূ-গোসল, পাক-ছাফ, কিছুই জানত না। এরা যা শিখেছে তা মুসলমানদের সংস্পর্শে এসে শিখেছে।
কাজেই, মুসলমানদের সবকিছু রয়ে গেছে, মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদের অনুসরণ করার কোনোই প্রয়োজন নেই। বিধর্মীরা যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের কাছ থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞান, পাক-পবিত্রতা শিখেছে। এখনো শিখছে।
-মুহম্মদ আশিকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযা ভঙ্গের কারণ (১১)
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৬)
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কথিত স্বজন-পরিজন হলেও কাফিরদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এই উপমহাদেশে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের ঈমান-আমলের ক্ষতিসাধনে দেওবন্দীদের কার্যক্রম এবং তাদের ভ্রান্ত ফতওয়া (৪)
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযা ভঙ্গের কারণ (১০)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৫)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)