মন্তব্য কলাম
জাতিসংঘের আদিবাসী ঘোষণাপত্র ২০০৭- স্বাক্ষর করেনি বাংলাদেশ। পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা যে আদিবাসী নয় তাও ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। নতুন করে শুরু হচ্ছে আদিবাসী অপপ্রচার।
সরকারের উচিত, এক্ষুনি এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া। (দ্বিতীয় পর্ব)
, ২৩ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৯ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম

আদিবাসী শব্দটি গত এক একযুগ ধরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য, বাংলাদেশের অখন্ডতার জন্য, বাংলাদেশী জনগণের জন্য চরম স্পর্শকাতর বিষয়। গভীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়।
এর একটি বড় কারণ হচ্ছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে জাতিসংঘের একটি ঘোষণাপত্র।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬১তম অধিবেশনে ২০০৭ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়।
সেখানে ১৪৪টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ, ভুটান এবং রাশিয়া সহ ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এছাড়া আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। পরবর্তীতে এই চারটি দেশ তাদের অবস্থান বদল করে এই ঘোষণাপত্রকে সমর্থন দেয়।
সেই ঘোষণাপত্রে ১২টি ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাতিসংঘ। যার মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত অধিকারগুলোই ছিল মুখ্য। সে ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে:
অনুচ্ছেদ-৩৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর, বিশেষত যারা আন্তর্জাতিক সীমানা দ্বারা বিভক্ত হয়েছে তারা অন্য প্রান্তের নিজস্ব জনগোষ্ঠী তথা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংক্রান্ত কার্যক্রমসহ যোগাযোগ, সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখার ও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে।
যদিও ৪৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের অখ-তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, আদিবাসীর দাবি এমন একটা জনগোষ্ঠী থেকে উচ্চারিত হচ্ছে, যারা প্রায় ৫০ বছর ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। কৌশলগত কারণে তারা স্বায়ত্তশাসনের কথা যতোটা উচ্চকিত করে স্বাধীনতার কথা ততোটা নয়। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই রাষ্ট্রবিরোধী এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়।
তাই আজকের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, মিয়ানমার ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের দিকে তাকিয়ে আদিবাসী ইস্যুটি আইএলও কনভেনশন-১৬৯ ও আদিবাসী বিষয়ক জাতিসংঘ চার্টারের ভিত্তিতে এ অঞ্চলকে ঘিরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা পরিকল্পনা ও নীলনকশাগুলো বিচার করি, তাহলে বুঝতে পারবো, এটি কোনো মামুলি শ্রুতিমধুর শব্দের স্বীকৃতির দাবি নয়। এর পেছনে নানা অভিসন্ধি রয়েছে, যা আঞ্চলিক সমস্যায় রূপ নেবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন ফেনমেননা কুকি-চিন। এই কুকি-চিন জাতিভুক্ত ৬টি জনগোষ্ঠীর ৭৬ হাজার মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলা অর্থাৎ প্রায় ৫৬% ভূমিতে তাদের নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২০২২ সাল থেকে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু এদের মূলজনগোষ্ঠী রয়ে গেছে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড প্রভৃতি এবং মিয়ানমারের চিন, রাখাইন ও অন্যান্য রাজ্যে। কুকিদের দাবি মোট ৫০টি জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৩ মিলিয়ন জনগোষ্ঠী সেখানে বসবাস করে। তারা ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও নৃতাত্ত্বিকভাবে একই জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর সদস্যরা এখন তাদের পূর্বের কল্পিত রাষ্ট্র ‘গ্রেটার কুকিল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে কুকি জাতীয়তাবাদের পুনর্জাগরণ ঘটাতে তৎপর। বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও সেভেন সিস্টার্সের কুকি অধ্যুষিত রাজ্যগুলোর সাম্প্রতিক বিদ্রোহ ও সহিংসতাকে উক্ত ধারণার ভিত্তিতে বিবেচনা করলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে জুম্ম জাতীয়তাবাদের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি মূলত চাকমা অধ্যুষিত। এ ছাড়াও তাদের সাথে মারমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গা প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর একটি অংশ সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী চাকমা, সেভেন সিস্টার্সের মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, আসাম ও অরুণাচলে বিস্তৃত হয়ে বসবাস করছে। মিয়ানমারের আরাকানে চাকমাদের একটি অংশ রয়েছে। সেখানে তারা সাংমা নামে পরিচিত। অনেকের মতে, মিয়ানমারই চাকমাদের আদি নিবাস। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মারমাদের আদিনিবাস মিয়ানমার। সেখানে তাদের বৃহৎ অংশ এখনো বসবাস করে। ত্রিপুরাদের আদি নিবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এভাবে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল উপজাতিদের আদিনিবাস ভারত ও মিয়ানমার। কিন্তু এসব উপজাতিরা বাংলাদেশে আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করলেও ভারত ও মিয়ানমারে তারা আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃত নয় এবং তারা সেখানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য তাদের জোরালো কোনো আন্দোলন পরিলক্ষিত হয় না।
কুকি জনগোষ্ঠী ভারতের মনিপুরে বর্তমানে যে আন্দোলন করছে তা তাদের প্রাপ্য তফসিলি বা ট্রাইবাল স্টাট্যাস এককভাবে সংরক্ষণের জন্য। তারা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি জনগোষ্ঠীকে ট্রাইবাল বা তফসিলি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিরোধিতা করছে। অর্থাৎ কুকিরা সেখানে আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করছে না। এখন পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ১৩টি উপজাতি যদি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি আদায় করে নিতে সক্ষম হয় তাহলে তাদের জনগোষ্ঠী মূল অংশ বসবাসকারী ভারত ও মিয়ানমারেও তাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির যৌক্তিকতা প্রমাণিত হবে। তখন তারা এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করবে এবং আন্তর্জাতিক মহলও চাপ সৃষ্টির সুযোগ পাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে তাদের খ-িত অংশ যদি আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পায়, তাহলে ভারতের সমগ্র সেভেন স্টিস্টার্স রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা এবং মিয়ানমারের বিপুল এলাকা আদিবাসী ল্যান্ড স্বীকৃতি পাওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। একই সাথে সীমান্তের উভয়পাড়ের অভিন্ন জনগোষ্ঠী যদি অভিন্ন রাজনৈতিক, অভিন্ন সরকার কাঠামো গঠন কিংবা স্বাধীনতার দাবি তোলে তা আঞ্চলিক সমস্যায় রূপ নেবে। ইতিহাসে দেখা যায়, আলোচিত অঞ্চলে একটি ক্রিশ্চিয়ান বাফার স্টেট সৃষ্টির জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা পশ্চিমা পৃথিবীতে সক্রিয় রয়েছে। এই সকল পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ক্রাউন কলোনী, গ্রেটার কুকিল্যান্ড ও নিউ জেরুজালেম প্রভৃতি। আদিবাসী তত্ত্বের মাধ্যমে বা এ অঞ্চলে আদিবাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে।
বাংলাদেশের উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবিতে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ ও অর্থায়নের বিষয়টি দেশবাসীর মাঝে উক্ত পরিকল্পনার প্রামাণ্য দলিল হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের একার পক্ষে এই চাপ উপেক্ষা করা সহজসাধ্য নয়। তাই বাংলাদেশের উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি এবং এ দাবি আদায়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপ ও তাদের গোপন অভিসন্ধির বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার সরকারের দৃষ্টিগোচর করতে পারে। তাদের বোঝাতে পারে যে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উল্লিখিত অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে পারবে, যা ৪২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদান স্বাধীনকরণে জাতিসংঘের ভূমিকা বিশ্বের দেশপ্রেমিক জনগণকে আতঙ্কিত করেছে। অধুনা পশ্চিম পাপুয়া নিউগিনিতেও জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতি শুধু বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, বরং এটা একই সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সমস্যা এবং আঞ্চলিক শিরপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে যদি বাংলাদেশ সরকার ভারত ও মিয়ানমার সরকারের সাথে মিলে সমন্বিত পরিকল্পনা করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে এই আদিবাসী স্বীকৃতি নামক রাষ্ট্রঘাতী ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা সহজতর হবে। এছাড়াও আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে এ অঞ্চলে পশ্চিমা মদদপুষ্ট কোনো রাষ্ট্র যদি গঠিত হয়, তাহলে তার অন্যতম লক্ষ্য হবে এ অঞ্চলে চায়নার স্বার্থ ও প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করা, যাতে অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে। তাই এই নীলনকশা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি চায়নাকেও সহযোগী হিসেব পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারে।
অন্যদিকে বিশ্বরাজনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়ন। এই কৌশলে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে পাশে পেতে অত্যন্ত আগ্রহী সেটা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে। স্বাধীনতার পরে এই দেশে ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র কখনো এতোটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের এই জনপ্রিয়তা অক্ষুণœ রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ইন্ধনে আদিবাসী স্বীকৃতির আড়ালে ‘ক্রাউন কলোনী’ সৃষ্টি বা অন্য কোনো নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা এই জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে পারে। বরং স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় অখ-তা বিরোধী তৎপরতার কোনো ধরনের আশঙ্কা বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে, যাতে লাভবান হতে পারে প্রতিপক্ষ। সে কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাথে এই দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করতে পারে, তাতে অতীতে কোনোকালে যদি এ অঞ্চলে ক্রাউন কলোনী প্রতিষ্ঠার পশ্চিমা কোনো পরিকল্পনা থেকেও থাকে তা থেকে সরে গিয়ে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে। কেননা, এ অঞ্চলে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ইন্দো-প্যাসিফিক লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এদেশের মানুষ কোনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আধিপত্য বিস্তারের মল্লভূমিতে বাংলাদেশকে পরিণত করতে দিতে চায় না।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে বিএসএফের পুশইন চলছেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, বিজিবি মহাপরিচালক- সবার কণ্ঠে কেবলই নরম সুর। নেই শক্ত ও কঠোর প্রতিবাদ। নেই বীরোচিত পদক্ষেপ।
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
১৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিবছর বেকার হয় ১০ লাখ তরুণ প্রতিবছর শ্রমবাজারে তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রবেশ করে ২৪ লাখ তরুণ। প্রতি বছর সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১ লাখেরও কম সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিলের জন্য উপদেষ্টা সরকার গঠন হলো। আর সে উপদেষ্টা সরকার ৩৪ লাখ কর্মজীবির আশ্রয়স্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা ব্যবসাকে অন্তর্বর্তী সরকার দিন দিন অন্তরহীন করে যাচ্ছে।
১২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন ক্ষতিকারক এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফারাক্কা বাঁধের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল বিভিন্ন বাঁধ, ব্যারেজ আর ড্যাম তৈরী করে বাংলাদেশকে পানিশুন্য করার জোরদার পাঁয়তারা করছে ভারত মরণ ফাঁদ ফারাক্কার বিরুদ্ধে তীব্র জনমত ও জাতীয় ঐক্য তৈরী করে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কার্যকর কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্যটক নিষিদ্ধের পর এখন চলছে- খোদ নারিকেল দ্বীপ বাসীকে উৎখাতের গভীর এবং নির্মম ও নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র। চালানো হচ্ছে ক্ষুধার মারনাস্ত্র। তৈরী করা হচ্ছে দুর্ভিক্ষ এবং কুকুরের অভয়ারণ্য।
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গত ৩রা মে হেফাজতের সমাবেশে ব্লাসফেমী আইন চাওয়া হয়েছে ব্লাসফেমী আইন- ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে বৈধতা বিচার ও একটি অর্šÍভেদী বিশ্লেষণ (২য় পর্ব)
০৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)