মন্তব্য কলাম
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন
এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ২৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৫ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ৯ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম

সংবাদ শিরোনাম হয়েছে- “অনলাইন জুয়া ও মোবাইল গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছে কুড়িগ্রামের শিশু-কিশোররা”।
খবরে বলা হয়, অনলাইন জুয়া ও মোবাইল গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের শহর ও চরাঞ্চলের শিশু-কিশোররা। পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনের সিংহভাগ সময়ই তারা ব্যয় করছে গেমিংয়ের পেছনে। এছাড়া অনলাইনের বেটিং সাইটগুলোতেও রয়েছে তাদের অবাধ চলাচল। অনেকেই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে অল্প বয়সেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে জড়িয়ে পড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা নাশকতায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহর থেকে গ্রাম প্রায় সবখানেই কিশোরদের দলবেঁধে মোবাইলে ঝুঁকে থাকার দৃশ্য। যে বয়সে তাদের জীবন গঠন করার কথা, সেখানে তারা ডুবেছে মোবাইল গেমের নেশায়।
আরো সংবাদ শিরোনাম হয়েছে- “পাবনায় অনলাইন জুয়ার ছড়াছড়ি, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কিশোররা”।
খবরে আরো বলা হয়েছে, পাবনায় শহর, গ্রাম ও চরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া। বিশেষ করে এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। জুয়ার নেশায় পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা লাটে উঠছে, উল্টো হাজার হাজার টাকা নষ্ট হচ্ছে প্রতি মাসে। পুলিশ প্রশাসন কোনোভাবেই অনলাইন জুয়ার এই মহামারি ঠেকাতে পারছে না।
আরো সংবাদ শিরোনাম হয়েছে- “রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অনলাইন ক্যাসিনোতে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব ও তরুণসমাজ”।
খবরে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে, সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তির। এমন সর্বনাশা নেশায় সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন অনেকে। এ কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকমহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে ইমন (১৬), ইচ্ছে বৈমানিক হওয়ার। তাই নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিষয় বেছে নেয়া। অবসরে ইউটিউবে বিমান চালনার কৌশল দেখে সময় কাটে তার। এক দুপুরে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিল ইমন। গেম খেলে আয় করুন হাজার হাজার টাকা- বিজ্ঞাপন বার বার তার সামনে আসছিল। বিনা পরিশ্রমে লাখোপতি হওয়া যাবে এমন বিজ্ঞাপনের লোভে পড়ে ইমন। কৌতুহলবশত এমন এক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে সে। তাতেই ফাঁদে পড়ে ইমন; ঢুকে পড়ে অনলাইন ক্যাসিনো গেম ‘জিঙ্গা পোকার’ সাইটে। এক সময় নিজে একাউন্ট খুলে যুক্ত হয়ে যায়। এভাবেই ডিজিটাল ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে এই কিশোর। অনলাইন জুয়ার নেশায় পেয়ে বসে তাকে। কিন্তু বাবার পরিশ্রমের টাকা জুয়ায় হারতে হারতে এখন সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
ইমন গণমাধ্যম থেকে বলে, ‘প্রথমে অ্যাপই আমার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা দিল, যা দিয়ে চিপ কিনে খেলা শুরু করে দেই। টাকা হাতে দেয়নি, ছিল কোম্পানির একাউন্টেই। প্রথমে বেশ ভালোই লাভ হচ্ছিল। সপ্তাহখানেক পরেই টাকা হারাতে লাগলাম। যতই হারছিলাম, ততই জেদ চেপে যাচ্ছিল। জিততে তো হবেই, হেরে যাওয়া টাকাও ফিরিয়ে আনতে হবে। ৬ মাসে আমি অন্তত ৩৫ হাজার টাকা নষ্ট করেছি। এই পুরো টাকাই বিকাশে রিচার্জ করে খেলেছি, যা আমার মা বাবা কেউই জানতো না। ’
নবম শ্রেণির ছাত্র হয়ে কীভাবে ৩৫ হাজার টাকা হাতে এল- এমন প্রশ্নের জবাবে ইমন বলে, ‘আমার বাবা প্রবাসী, ব্যাংকে টাকা পাঠায় আমার মায়ের অ্যাকাউন্টে। রেমিট্যান্স বাবদ ব্যাংক কিছু টাকা কমিশন দিত। মা আমাকে তার কিছু টাকা আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে রাখতে দিত। যখন বাজিতে হারতে লাগলাম, তখন বাবার পাঠানো টাকা অল্প অল্প করে সরাতে শুরু করি। তা খেলায় চলে যেত। হেরে যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে আবার খেলতাম। এক কথায় নেশার জালে আটকে ছিলাম ছয়টা মাস। কিছুতেই বের হতে পারছিলাম না। মাকেও বলতে পারছিলাম না। এক বড়ভাইকে বিষয়টা জানাই। তিনি আমার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেন। অনেক কষ্ট হয়। বাসায় যদি জেনে যায়। ’
বাবার আইডি দিয়ে জুয়ার অ্যাকাউন্ট
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু ইমন একা নয়, ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী অন্তত পাঁচজন কিশোর ফেঁসে আছে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে। কেউ স্পোর্টস বেটিং সাইটে, কেউ ক্রেজি টাইম নামে অনলাইন লাইভ গেমে, আবার কেউবা লুডুর জুয়ায় আসক্ত। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৮ বছর নয় এমন বহু কিশোর এই অনলাইন জুয়ায় সব হারাচ্ছে। এটা প্রচলিত জুয়ার চাইতে আলাদা হওয়ায় প্রথমে কেউ বুঝতেই পারে না। তবে যতক্ষণে বুঝতে পারে, ততক্ষণে আটকে যায় টাকার নেশায়। জুয়া খেলে লাভবান হয়েছে- এমন তথ্য দিতে পারেনি তাদের কেউই।
নারায়ণগঞ্জ শহরের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশতিয়াক মায়ানের (১৭) প্রিয় খেলা ফুটবল। মেসির বর্তমান ক্লাব ইন্টার মিয়ামির খেলা টিভিতে না দেখালেও, কোন সাইটে খেলা দেখা যাবে তা সে ভালোই জানে। অনলাইন দুনিয়ায় এক্সপার্ট হয়ে ওঠা মায়ানও জড়িয়েছে ওয়ানএক্স নামের স্পোর্টস বেটিং সাইটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন থেকেই এই সাইটে যুক্ত সে। বাবার আইডি কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। ‘ম্যাচ প্রেডিকশন’ বেটিংয়ে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকারও বেশি নষ্ট করেছেন। পরিবারে জানাজানি হওয়ার পর বিব্রত এই কিশোর। মা-বাবার সামনে কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সামনে জুয়াড়ি হিসেবে কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে মায়ানের।
মায়ানের পরিবার বেশ স্বচ্ছল। তার চাহিদা মেটাতে চাইলে ২/৩ হাজার টাকা দিতে দ্বিধাবোধ করতো না কেউ। সিগারেট কিংবা প্রকাশ্য বাজে অভ্যাস না থাকায় পরিবার বিশ্বাস করতো তাকে। কিন্তু অনবরত বাজিতে টাকা হারাতে থাকায় ঘর থেকে টাকা সরাতে শুরু করে সে। বিষয়টি তার মা টের পেতেই বেরিয়ে আসে অনলাইন বেটিংয়ে আসক্তির বিষয়টি।
গোপনে চলছে যে খেলা
অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে। মূলত হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে মেন্টরের অধীনে ভারত, দুবাই, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম থেকে ক্যাসিনো গেম পরিচালিত হয়। এক মেন্টরের অধীনে কয়েক হাজার প্লেয়ার অংশ নেয়। এসব মেন্টর মূলত অংশগ্রহণকারীদের আস্থা সৃষ্টির জন্য লাইভ স্ট্রিমিং গেম পরিচালনা করে থাকে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের নাগরিকদের উপস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
স্পোর্টস কেন্দ্রীক বেটিংই বেশি জনপ্রিয়। সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে - ওয়ানএক্স বেট, লাইনবেট, মেলবেট, বেট ৩৬৫, বেট উইনার, মেগাপারি। এদের মধ্যে বেট ৩৬৫ ছাড়া বাকি সাইটগুলোর ডিজাইন একই রকমের। ওয়ানএক্স বেট সাইপ্রাস থেকে পরিচালিত। মেলবেট, মেগাপারি বেটিং সাইটে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলা ভাষার অস্তিত্ব দেখা যায়। যদিও বাংলাদেশে অনলাইন বেটিং সাইট পরিচালনার অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
দেখা দিচ্ছে মানসিক বিপর্যয়
তবে অনলাইন জুয়া কেবল অনলাইন লেনদেনের উপর নির্ভরশীল নয়। অনলাইন লুডু খেলতে গিয়ে বাজি ধরা এবং ক্যাশ লেনদেনেও জড়িয়ে পড়েছে অপ্রাপ্ত বয়স্করা। শহরের হোসিয়ারি কারখানায় শ্রম দেয়া ১৫/১৬ বছরের কিশোররাও অবসর সময়ে এসব অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। সারা মাস কাজ করে যা আয় করছে তার বড় একটি অংশ নষ্ট হচ্ছে জুয়ায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেটিং সাইটগুলোর টাকার লোভনীয় বিজ্ঞাপন আকর্ষিত করছে অপ্রাপ্তবয়স্কদের। বিজ্ঞাপনের বাইরেও বন্ধুদের মাধ্যমে অনেকে বেটিংয়ে জড়িয়ে পরে। শুরুর দিকে সাইটগুলোতে গ্রাহকরা লাভের মুখ দেখলেও দ্রুতই তা পরিবর্তন হতে থাকে। হারিয়ে ফেলা টাকা উদ্ধারে আরও বেশি বেটিংয়ে যুক্ত হয়। এর ফলাফল শেষ পর্যন্ত শুধুই লোকসান। কোনো আয় ছাড়া বড় অংকের টাকা ব্যয় হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে কিশোররা। অপরাধবোধে ভুগতে থাকে প্রতিনিয়ত।
বেটিং সাইটে লোকসান দেখার পরেও কেন দ্রুত সরে আসে না ভুক্তভোগীরা? কিশোরদের ভাষ্য, সাইটগুলোতে একসাথে ১০/১৫টা বাজি ধরার সুযোগ থাকে। ১৫টির মধ্যে পাঁচটিতে জয় পাওয়া গেল, ১০টিতে লোকসান হয়। এরপর মনে হয় কয়েকটি প্রেডিকশনে জয় পাওয়া খুবই সহজ, কিংবা রিস্ক বেটিং করলে হারানো টাকা উদ্ধারসহ কয়েকগুণ লাভ আসবে- এই লোভ থেকেই ফাঁদে জড়িয়ে বার বার টাকা হারাচ্ছেন আসক্তরা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা অনলাইন জুয়ার বাজি ধরার ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ক্যাসিনো, সাধারণ জুয়ার মতো অপরাধ কা- অনলাইন জুয়ার অপরাধের কাছে এগুলো শিশু অপরাধ।
সারা দেশে এই ডিজিটাল অপরাধ অনলাইন জুয়া শহর থেকে ছড়িয়েছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই এই অনলাইন জুয়ায় বাজি ধরার অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে করে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগের কারণ হয়ে গেছে। অনলাইন জুয়ার বাজি ধরার অপরাধ সমাজে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
কৌতূহলী তরুণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছেন বিভিন্ন জুয়ার সাইটে।
অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার রোধসহ সব ধরনের অর্থপাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না।
জুয়া বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নানা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে। জুয়া বন্ধে ইসলামী মূল্যবোধের ব্যাপক বিস্তার করলে এবং বাস্তবায়ন করলেই মূলত সফলতা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললে বাংলাদেশ এত বড় হতে পারে যে বর্তমান ৪০ থেকে ৫০ কোটি জনসংখ্যার পরও বাংলাদেশেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লোক আসবে ইনশাআল্লাহ!
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও অবমূল্যায়নের কারণে দেশ ছাড়ছে মেধাবী বিজ্ঞানীরা। অথচ তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নে বাংলাদেশ হতে পারে তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল খাতে এশিয়ার সুপার পাওয়ার। দেশের গবেষক-বিজ্ঞানীদের মূল্যায়ন না করলে দেশ কোনোসময়ই উন্নত হবেনা, আর উন্নয়নের দাবীও করা যাবেনা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও অবমূল্যায়নের কারণে দেশ ছাড়ছে মেধাবী বিজ্ঞানীরা। অথচ তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নে বাংলাদেশ হতে পারে তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল খাতে এশিয়ার সুপার পাওয়ার। দেশের গবেষক-বিজ্ঞানীদের মূল্যায়ন না করলে দেশ কোনোসময়ই উন্নত হবেনা, আর উন্নয়নের দাবীও করা যাবেনা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শুধু অর্থনৈতিক উন্নতিই মুসলমানদের জন্য উন্নয়ন হিসেবে গৃহীত হতে পারেনা। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ নয়; নিদেন পক্ষে মধ্যম ত্বাকওয়ার মুসলমানের দেশ চাই।
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বাধীনতা উত্তর এ পর্যন্ত কখনও জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি অন্তবর্তী সরকারের ২০২৫ সালের জাতীয় দিবস ঘোষণার পরিপত্রেও তা ছিলো না। হঠাৎ করে ৯ই এপ্রিল জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা হলো কিভাবে? মাদরাসায় চৈত্র সংক্রান্তি পালনের নির্দেশের অর্থ হলো মুসলমানদের ইসলাম ত্যাগ করার নির্দেশ। মুসলমানদের হিন্দু ও উপজাতি হওয়ার নির্দেশ। মুসলমানদের হরেক রকমের পূজা করার নির্দেশ।
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্বাধীনতা উত্তর এ পর্যন্ত কখনও জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি অন্তবর্তী সরকারের ২০২৫ সালের জাতীয় দিবস ঘোষণার পরিপত্রেও তা ছিলো না। হঠাৎ করে ৯ই এপ্রিল জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা হলো কিভাবে?
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুঃখজনক হলেও সত্য অধিকাংশ সাধারণ মুসলমান এখনো জানে না পবিত্র ফিলিস্তিন ভূমি- শীর্ষ সন্ত্রাসী ইসরায়েলিদের দ্বারা জঘণ্য বর্বর, নিকৃষ্ট জবরদখলের ইতিহাস তথাকথিত সভ্য রাষ্ট্র দাবীদার আমেরিকা, ব্রিটেনের নির্মম নিষ্ঠুর আঁতাতের ইতিহাস
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সঠিক পরিসংখ্যান ও জরিপের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া শুধু অর্থনীতিই নয় কোনো খাতেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সম্ভব নয় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত জরিপ তথা পরিসংখ্যা
০৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)