মন্তব্য কলাম
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ৩০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
সংবাদ শিরোনাম হয়েছে- “অনলাইন জুয়া ও মোবাইল গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছে কুড়িগ্রামের শিশু-কিশোররা”।
খবরে বলা হয়, অনলাইন জুয়া ও মোবাইল গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের শহর ও চরাঞ্চলের শিশু-কিশোররা। পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনের সিংহভাগ সময়ই তারা ব্যয় করছে গেমিংয়ের পেছনে। এছাড়া অনলাইনের বেটিং সাইটগুলোতেও রয়েছে তাদের অবাধ চলাচল। অনেকেই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে অল্প বয়সেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে জড়িয়ে পড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা নাশকতায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহর থেকে গ্রাম প্রায় সবখানেই কিশোরদের দলবেঁধে মোবাইলে ঝুঁকে থাকার দৃশ্য। যে বয়সে তাদের জীবন গঠন করার কথা, সেখানে তারা ডুবেছে মোবাইল গেমের নেশায়।
আরো সংবাদ শিরোনাম হয়েছে- “পাবনায় অনলাইন জুয়ার ছড়াছড়ি, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কিশোররা”।
খবরে আরো বলা হয়েছে, পাবনায় শহর, গ্রাম ও চরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া। বিশেষ করে এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। জুয়ার নেশায় পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা লাটে উঠছে, উল্টো হাজার হাজার টাকা নষ্ট হচ্ছে প্রতি মাসে। পুলিশ প্রশাসন কোনোভাবেই অনলাইন জুয়ার এই মহামারি ঠেকাতে পারছে না।
আরো সংবাদ শিরোনাম হয়েছে- “রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অনলাইন ক্যাসিনোতে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব ও তরুণসমাজ”।
খবরে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে, সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তির। এমন সর্বনাশা নেশায় সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন অনেকে। এ কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকমহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে ইমন (১৬), ইচ্ছে বৈমানিক হওয়ার। তাই নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিষয় বেছে নেয়া। অবসরে ইউটিউবে বিমান চালনার কৌশল দেখে সময় কাটে তার। এক দুপুরে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিল ইমন। গেম খেলে আয় করুন হাজার হাজার টাকা- বিজ্ঞাপন বার বার তার সামনে আসছিল। বিনা পরিশ্রমে লাখোপতি হওয়া যাবে এমন বিজ্ঞাপনের লোভে পড়ে ইমন। কৌতুহলবশত এমন এক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে সে। তাতেই ফাঁদে পড়ে ইমন; ঢুকে পড়ে অনলাইন ক্যাসিনো গেম ‘জিঙ্গা পোকার’ সাইটে। এক সময় নিজে একাউন্ট খুলে যুক্ত হয়ে যায়। এভাবেই ডিজিটাল ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে এই কিশোর। অনলাইন জুয়ার নেশায় পেয়ে বসে তাকে। কিন্তু বাবার পরিশ্রমের টাকা জুয়ায় হারতে হারতে এখন সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
ইমন গণমাধ্যম থেকে বলে, ‘প্রথমে অ্যাপই আমার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা দিল, যা দিয়ে চিপ কিনে খেলা শুরু করে দেই। টাকা হাতে দেয়নি, ছিল কোম্পানির একাউন্টেই। প্রথমে বেশ ভালোই লাভ হচ্ছিল। সপ্তাহখানেক পরেই টাকা হারাতে লাগলাম। যতই হারছিলাম, ততই জেদ চেপে যাচ্ছিল। জিততে তো হবেই, হেরে যাওয়া টাকাও ফিরিয়ে আনতে হবে। ৬ মাসে আমি অন্তত ৩৫ হাজার টাকা নষ্ট করেছি। এই পুরো টাকাই বিকাশে রিচার্জ করে খেলেছি, যা আমার মা বাবা কেউই জানতো না। ’
নবম শ্রেণির ছাত্র হয়ে কীভাবে ৩৫ হাজার টাকা হাতে এল- এমন প্রশ্নের জবাবে ইমন বলে, ‘আমার বাবা প্রবাসী, ব্যাংকে টাকা পাঠায় আমার মায়ের অ্যাকাউন্টে। রেমিট্যান্স বাবদ ব্যাংক কিছু টাকা কমিশন দিত। মা আমাকে তার কিছু টাকা আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে রাখতে দিত। যখন বাজিতে হারতে লাগলাম, তখন বাবার পাঠানো টাকা অল্প অল্প করে সরাতে শুরু করি। তা খেলায় চলে যেত। হেরে যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে আবার খেলতাম। এক কথায় নেশার জালে আটকে ছিলাম ছয়টা মাস। কিছুতেই বের হতে পারছিলাম না। মাকেও বলতে পারছিলাম না। এক বড়ভাইকে বিষয়টা জানাই। তিনি আমার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেন। অনেক কষ্ট হয়। বাসায় যদি জেনে যায়। ’
বাবার আইডি দিয়ে জুয়ার অ্যাকাউন্ট
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু ইমন একা নয়, ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী অন্তত পাঁচজন কিশোর ফেঁসে আছে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে। কেউ স্পোর্টস বেটিং সাইটে, কেউ ক্রেজি টাইম নামে অনলাইন লাইভ গেমে, আবার কেউবা লুডুর জুয়ায় আসক্ত। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৮ বছর নয় এমন বহু কিশোর এই অনলাইন জুয়ায় সব হারাচ্ছে। এটা প্রচলিত জুয়ার চাইতে আলাদা হওয়ায় প্রথমে কেউ বুঝতেই পারে না। তবে যতক্ষণে বুঝতে পারে, ততক্ষণে আটকে যায় টাকার নেশায়। জুয়া খেলে লাভবান হয়েছে- এমন তথ্য দিতে পারেনি তাদের কেউই।
নারায়ণগঞ্জ শহরের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশতিয়াক মায়ানের (১৭) প্রিয় খেলা ফুটবল। মেসির বর্তমান ক্লাব ইন্টার মিয়ামির খেলা টিভিতে না দেখালেও, কোন সাইটে খেলা দেখা যাবে তা সে ভালোই জানে। অনলাইন দুনিয়ায় এক্সপার্ট হয়ে ওঠা মায়ানও জড়িয়েছে ওয়ানএক্স নামের স্পোর্টস বেটিং সাইটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন থেকেই এই সাইটে যুক্ত সে। বাবার আইডি কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। ‘ম্যাচ প্রেডিকশন’ বেটিংয়ে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকারও বেশি নষ্ট করেছেন। পরিবারে জানাজানি হওয়ার পর বিব্রত এই কিশোর। মা-বাবার সামনে কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সামনে জুয়াড়ি হিসেবে কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে মায়ানের।
মায়ানের পরিবার বেশ স্বচ্ছল। তার চাহিদা মেটাতে চাইলে ২/৩ হাজার টাকা দিতে দ্বিধাবোধ করতো না কেউ। সিগারেট কিংবা প্রকাশ্য বাজে অভ্যাস না থাকায় পরিবার বিশ্বাস করতো তাকে। কিন্তু অনবরত বাজিতে টাকা হারাতে থাকায় ঘর থেকে টাকা সরাতে শুরু করে সে। বিষয়টি তার মা টের পেতেই বেরিয়ে আসে অনলাইন বেটিংয়ে আসক্তির বিষয়টি।
গোপনে চলছে যে খেলা
অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে। মূলত হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে মেন্টরের অধীনে ভারত, দুবাই, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম থেকে ক্যাসিনো গেম পরিচালিত হয়। এক মেন্টরের অধীনে কয়েক হাজার প্লেয়ার অংশ নেয়। এসব মেন্টর মূলত অংশগ্রহণকারীদের আস্থা সৃষ্টির জন্য লাইভ স্ট্রিমিং গেম পরিচালনা করে থাকে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের নাগরিকদের উপস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
স্পোর্টস কেন্দ্রীক বেটিংই বেশি জনপ্রিয়। সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে - ওয়ানএক্স বেট, লাইনবেট, মেলবেট, বেট ৩৬৫, বেট উইনার, মেগাপারি। এদের মধ্যে বেট ৩৬৫ ছাড়া বাকি সাইটগুলোর ডিজাইন একই রকমের। ওয়ানএক্স বেট সাইপ্রাস থেকে পরিচালিত। মেলবেট, মেগাপারি বেটিং সাইটে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলা ভাষার অস্তিত্ব দেখা যায়। যদিও বাংলাদেশে অনলাইন বেটিং সাইট পরিচালনার অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
দেখা দিচ্ছে মানসিক বিপর্যয়
তবে অনলাইন জুয়া কেবল অনলাইন লেনদেনের উপর নির্ভরশীল নয়। অনলাইন লুডু খেলতে গিয়ে বাজি ধরা এবং ক্যাশ লেনদেনেও জড়িয়ে পড়েছে অপ্রাপ্ত বয়স্করা। শহরের হোসিয়ারি কারখানায় শ্রম দেয়া ১৫/১৬ বছরের কিশোররাও অবসর সময়ে এসব অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। সারা মাস কাজ করে যা আয় করছে তার বড় একটি অংশ নষ্ট হচ্ছে জুয়ায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেটিং সাইটগুলোর টাকার লোভনীয় বিজ্ঞাপন আকর্ষিত করছে অপ্রাপ্তবয়স্কদের। বিজ্ঞাপনের বাইরেও বন্ধুদের মাধ্যমে অনেকে বেটিংয়ে জড়িয়ে পরে। শুরুর দিকে সাইটগুলোতে গ্রাহকরা লাভের মুখ দেখলেও দ্রুতই তা পরিবর্তন হতে থাকে। হারিয়ে ফেলা টাকা উদ্ধারে আরও বেশি বেটিংয়ে যুক্ত হয়। এর ফলাফল শেষ পর্যন্ত শুধুই লোকসান। কোনো আয় ছাড়া বড় অংকের টাকা ব্যয় হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে কিশোররা। অপরাধবোধে ভুগতে থাকে প্রতিনিয়ত।
বেটিং সাইটে লোকসান দেখার পরেও কেন দ্রুত সরে আসে না ভুক্তভোগীরা? কিশোরদের ভাষ্য, সাইটগুলোতে একসাথে ১০/১৫টা বাজি ধরার সুযোগ থাকে। ১৫টির মধ্যে পাঁচটিতে জয় পাওয়া গেল, ১০টিতে লোকসান হয়। এরপর মনে হয় কয়েকটি প্রেডিকশনে জয় পাওয়া খুবই সহজ, কিংবা রিস্ক বেটিং করলে হারানো টাকা উদ্ধারসহ কয়েকগুণ লাভ আসবে- এই লোভ থেকেই ফাঁদে জড়িয়ে বার বার টাকা হারাচ্ছেন আসক্তরা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা অনলাইন জুয়ার বাজি ধরার ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ক্যাসিনো, সাধারণ জুয়ার মতো অপরাধ কা- অনলাইন জুয়ার অপরাধের কাছে এগুলো শিশু অপরাধ।
সারা দেশে এই ডিজিটাল অপরাধ অনলাইন জুয়া শহর থেকে ছড়িয়েছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই এই অনলাইন জুয়ায় বাজি ধরার অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে করে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগের কারণ হয়ে গেছে। অনলাইন জুয়ার বাজি ধরার অপরাধ সমাজে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
কৌতূহলী তরুণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছেন বিভিন্ন জুয়ার সাইটে।
অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার রোধসহ সব ধরনের অর্থপাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না।
জুয়া বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নানা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে। জুয়া বন্ধে ইসলামী মূল্যবোধের ব্যাপক বিস্তার করলে এবং বাস্তবায়ন করলেই মূলত সফলতা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












