ডলফিন থাকলে নদী ও সমুদ্রের সৌন্দর্য্য ও সম্পদ এমনকী মাছও বৃদ্ধি পায়
হুমকীর মুখে পড়া ডলফিন রক্ষায় তাই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ২২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১০ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির হিসাব অনুযায়ী, গত সাড়ে পাঁচ বছরে হালদা নদীতে অন্তত ৪৩টি ডলফিন এবং ২৫ থেকে ৩০টি বড় মা মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ মৃত্যুই ছিল অস্বাভাবিক। মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর পেছনে গবেষণাগারটিতে যেসব কারণ শনাক্ত করা হয়, এর মধ্যে রয়েছে আঘাত, শ্বাসকষ্ট ও দূষণ।
গত পরশু ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ডলফিন জরিপের ফলাফল ঘোষণা করেছেন বন কর্মকর্তারা। তাদের সমীক্ষার ফলাফলে প্রায় ৬৩৬টি দল বা ১৩৫২টি গাঙ্গেয় ডলফিনের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়।
ডলফিন পানিজ পরিবেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। যে নদীতে ডলফিন থাকে সেই নদীতে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং নদীর পরিবেশ সুস্থ থাকে। এদের উপস্থিতি পানির গুণগত মান বা অবস্থা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। পরিবেশগত প্রভাব বোঝার নির্দেশক এই ডলফিন বর্তমানে ভালো নেই। বাংলাদেশে এরা বিপন্ন প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত। দিনের পর দিন সংখ্যা কমে আসছে। অপরিকল্পিত বাঁধ তৈরি, মিঠাপানির প্রবাহ কমে যাওয়া, নির্বিচারে হত্যা, মাছ ধরার জালে আটকে মৃত্যুর কারণে এদের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে।
ডলফিন বা শুশুক নদী ও সমুদ্রের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে এক অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। ডলফিন আমাদের পরিবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ সূচক। পানিজ বাস্তুসংস্থানের স্বাস্থ্য ও স্থিতিশীলতা নির্ভর করে এ প্রজাতির ওপর। বিশেষ করে মিঠা পানির ডলফিন পানিজ প্রাণীদের খাদ্যশৃঙ্খল সুরক্ষিত রাখে। পানিবায়ু পরিবর্তন ও দূষণ যখন আমাদের নদী, হ্রদ ও সাগরকে বিপর্যস্ত করে তুলছে, তখন ডলফিন এক ধরনের প্রাকৃতিক ‘সতর্ক বার্তা’ দেয়। যদি ডলফিনের সংখ্যা কমতে থাকে বা তাদের মধ্যে রোগ দেখা দেয়, তা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে দূষণ বা অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। ডলফিনের সংরক্ষণ সামুদ্রিক জীবনের অন্যান্য প্রজাতির জন্যও উপকারী, কারণ তাদের অনুপস্থিতি বা সংখ্যার হ্রাস সামুদ্রিক পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।
বন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আমাদের দেশে যে দুটি নদীর ডলফিন আছে তা হলো শুশুক ডলফিন আর ইরাবতী ডলফিন। আইইউসিএনের গ্লোবাল রেড লিস্ট ক্যাটাগরিতে দুটিই ঝুঁকিপূর্ণ ‘এন্ডেঞ্জার্ড অ্যানিমেল’। ইরাবতীদের বাস আমাদের ৭২০ কিমি উপকূলীয় নদী কিংবা সাগরমুখে আর শুশুক ডলফিন বিচরণ করছে দেশে বিদ্যমান ৭০০ নদীর ২৪ হাজার কিমির একটি বড় অংশজুড়ে। যদিও বর্ষা মৌসুম ব্যতিরেকে শুষ্ক মৌসুমে এদের আবাসস্থল কমে বেশ সংকুচিত হয়ে যায়। এ নদীর ডলফিন সংরক্ষণে বিশ্বের ডলফিন রেঞ্জ দেশগুলোর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপ কিন্তু অনেকটাই অগ্রগামী। আশার কথা হলো, আমাদের ডলফিনের আবাসের জন্য বিস্তীর্ণ পানিরাশি রয়েছে। আমাদের প্রমত্তা পদ্মা, যমুনা, মেঘনাসহ, ব্রহ্মপুত্র, হালদা, বলেশ্বর, গড়াই-মধুমতী, ডাকাতিয়া প্রভৃতি নদীই রিভার ডলফিনের উপযুক্ত আবাসস্থল।
ডলফিন আমাদের জীববৈচিত্র্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের রক্ষা করা আমাদের পরিবেশগত দায়িত্ব। ডলফিন সংরক্ষণে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। জনসচেতনতা, সরকারের কঠোর উদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব আচরণের মাধ্যমে আমরা ডলফিনদের রক্ষা করতে পারি। আমাদের নদী ও সাগরের এ অমূল্য প্রজাতিকে রক্ষা করে আমাদের পরিবেশকে নিরাপদ ও সমৃদ্ধ রাখার জন্য। সরকারী ও বেসরকারীভাবে সমন্বিত ও সক্রিয় প্রচেষ্ট চলবে এটাই প্রত্যাশা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামের ভয়ঙ্কর ড্রাগ আতঙ্কে সারাদেশ একান্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা এবং জনগণের সচেতনতা দরকার
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধী তৈরি করে, যা মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
১০ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিষ্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক শহীদদের সাথে প্রতারণা পরিবেশ উপদেষ্টার সম্যক উপলব্ধি প্রয়োজন।
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভুগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কম হলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না লবণচাষীরা মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
লাখ লাখ মটর আমদানী করে দিলেন, লাখ লাখ পার্টস কিনতে দিলেন, হাজার হাজার ওয়ার্কশপ হতে দিলেন, লাখ লাখ অটো রিকশা তৈরি করতে দিলেন, চার্জের কারেন্ট দিলেন, রাস্তায় নামতে দিলেন, অনেকে ঋণ করে অটো রিকশা কিনেছে তাও জানলেন এখন ইচ্ছে হলো আর অটো রিকশা বন্ধ করে দিলেন? দিচ্ছেনা? দিবেনা? এই স্বৈরাচারিতা আর স্বেচ্ছাচারিতা এবং দায়িত্বহীনতা ও দায়বদ্ধতাহীণতার সরকার ব্যবস্থা চলবেনা, চলতে পারে না।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাদ্য উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট হাসিনার কায়দায়ই বাংলাদেশে ৬০ লাখ টন গম আমদানির কথা বললো। আমাদের প্রশ্ন, গম আমদানি কেন? উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ গম রপ্তানীও করতে পারবে ইনশাআল্লাহ!
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্যবসার ওপর আরও চাপ আসছে, সরকারের ন্যূনতম কর প্রায় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এতে ক্রেতা-বিক্রেতা তথা গোটা দেশের ব্যবসা হবে ধ্বংসপ্রাপ্ত আর জনগণ হবে ভয়াবহ দুর্দশাগ্রস্ত এবং চরম দরিদ্র। সার্বভৌমত্ব হবে বিপন্ন। সঙ্গতকারণেই এখনই এর অবসান হওয়া দরকার ইনশাআল্লাহ।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)