তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
, ১৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশীদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশের ব্যাংক হিসাব রয়েছে। বাংলাদেশে ঋণ ও আমানতের সুদের হারের ব্যবধান ৫ দশমিক ২ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্ক ২ দশমিক ৩ শতাংশ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ লাখ ৪০ হাজার ধর্মপ্রাণ বিত্তশালী লোক ধর্মীয় কারণে ব্যাংকে যান না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ০.২ শতাংশ উপজাতির ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার শুধু তৎপরই নয়; বরং বদ্ধপরিকর। সেক্ষেত্রে যারা ধর্মীয় কারণে ব্যাংক সেবা নিচ্ছে না, তাদের সংখ্যা ৪.৫ শতাংশ হওয়ার পরও তাদের ধর্মীয় অনুভুতির প্রতি সরকারের পদক্ষেপ কোথায়?
বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে যে ‘তথাকথিত ইসলামী ব্যাংক’ রয়েছে তা সম্মানিত ইসলামী ভাবধারায় পরিচালিত নয় বিধায় তাকে প্রকৃতপক্ষে ‘ইসলামী ব্যাংক’ বলা যায় না। বরং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নাম ভাঙ্গিয়ে এখানে সুদের ব্যবস্থা আরো বেশি করা যায় বলে এখন শুধু বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীরাই নয়, ইউরোপ-আমেরিকার বিধর্মীরাও তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকিংয়ে নেমেছে।
কুচক্রী ইহুদীদের পরিচালিত কয়েকটি ব্যাংক ‘তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকিং’ চালু করেছে, এটাকে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে? প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি যারা ইসলামী ব্যাংকিং করছে, তারা মানুষের সঙ্গে মারাত্মক প্রতারণা করছে।
বিশেষ করে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে সচল রয়েছে জামাতে মওদুদী পরিচালিত ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’। এ ব্যাংক ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক বলে দাবি করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্মানিত ইসলামী শরিয়াহ উনার নিয়ম অনুসরণ করছে না। বরং মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বাণিজ্যিকীকরণ করছে। জানা গেছে, ব্যাংকটির প্রায় ৭০ শতাংশ মালিকানা বিদেশীদের হাতে। আর ওইসব বিদেশীর মধ্যে ইহুদী ও অমুসলিমও রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
‘ইসলামী ব্যাংক বংলাদেশ লিমিটেড’ প্রচলিত সুদী ব্যাংকের চেয়েও বেশি সুদ আদায় করছে- এ অভিযোগ এখন সবার মুখে মুখে। পাশাপাশি সব তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকেরই কার্যত একই অবস্থা। কোনো লোকসানগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের লোকসান তারা মেনে নিয়েছে এমন নজির নেই। বরং ইসলামী খোলসের অন্তরালেই কার্যতঃ চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের প্রয়োগ ঠিকই করছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সুদের হার উল্লেখ না করলেও সেবা মাস ঘোষণা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো ব্যানার এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে ‘মুদারাবা মাসিক মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় কিংবা মুদারাবা আমানত হিসেবে মুনাফা অর্জনের অমিত সম্ভাবনা’ প্রভৃতি স্কীমের ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালায়।
উল্লেখ্য যে, শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ‘লাভ-লোকসানের ব্যাংকিং’। এই লাভ-লোকসানটা শরীয়াভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থায় আগেই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ‘নিশ্চিত মুনাফা’ সুদেরই নামান্তর। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে ঋণ দিয়ে নির্ধারিত হারে মুনাফা আদায়কে সুদ বলা হয়। তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো পরোক্ষভাবে এই সুদকে লভ্যাংশ কিংবা মুনাফা বলে দাবি করে।
ইসলামী আর্থিক ব্যবস্থার মূল উপাদান হলো, প্রচলিত সুদী ব্যবস্থার মতো পূর্বনির্ধারিত সুদ (ওহঃবৎবংঃ) বলে কোনো কিছুই ইসলামী ব্যবস্থায় থাকতে পারবে না। ইসলামী ব্যবস্থায় গ্রাহকদেরকে মুনাফার অংশীদার করতে হয়। এ ধারণা বা বিশ্বাস মুসলমানগণ উনাদের মধ্যে এসেছে সম্মানিত ইসলামী অনুশাসন থেকে- যে ঐশী বিশ্বাস ও অনুশাসন তাদেরকে সুদ নেয়া ও দেয়া থেকে দূরে থাকতে বলেছে। মূলত, ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ধারণা খুবই সহজ ও বাস্তবসম্মত এবং সম্পূর্ণ যুক্তিভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত। ফলে অমুসলিমদের পক্ষেও সুদবিহীন ‘আর্থিক প্রডাক্টস’ তৈরি করতে কোনো অসুবিধা হয়নি। আজকে সুদবিহীন আর্থিক প্রডাক্টসের ক্রেতা বিধর্মীরাও।
কাজেই সুদবিহীন ও পূজিবাদবিরোধী সম্মানিত ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ- ‘বাংলাদেশ’কে জোরদারভাবে অনুধাবন করতে হবে। বিশেষ করে যারা ধর্মপ্রাণ মুসলমান, যারা সুদকে অত্যন্ত ঘৃণা করেন ও বর্জন করেন, উনাদের জন্য সুদমুক্ত অর্থনীতির ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে হবে। ০.২ উপজাতির সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় যদি সরকার নিবেদিত হতে পারে, তবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ উনাদের জন্যও সুদমুক্ত অর্থনীতি তথা ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সুদমুক্ত অর্থনীতির সুফল পেতে হলে আমাদেরকে অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ তথা পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে হবে। এলক্ষ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমান্বিত জীবনী মুবারক আলোচনা তথা সুদের ভয়াবহতা ও কঠোরতা সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরও অনুসরণ করতে হবে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয, তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশকে বাঁচানোর দেশকে আগানোর কারিগর রেমিটেন্স যোদ্ধাদের- “অতিরিক্ত ব্যায়, সুরক্ষার অভাব সহযোগিতার অভাব” এসব অভিযোগ আর কত শুনতে হবে? অকৃতজ্ঞ সরকার কৃতঘœ তকমাই পছন্দ করবে?
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারতের- এন-সার্কেল অন্তর্বর্তী সরকারের অন্ত:সারশূণ্যতা শুধু হতাশারই নয় বরং ঘোর অমানিশার।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দিন দিন বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ মারাত্মক সব অপরাধ এসব অপরাধের মূলে থাকছে কারখানা বন্ধ আর বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সরকারের গৃহীত ভূল অর্থনীতি সরকারের টনক নড়বে কবে?
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












