সম্পাদকীয়-১
তাগুতী সরকারের মত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ছিটমহলবাসীদের প্রতি বৈষম্য করছে। গত ১০ বছরে মানচিত্রের অন্তর্ভূক্তি ছাড়া ছিটমহলবাসীর জীবন জীবিকার কিছুই উন্নয়ন হয়নি। ছিটমহলে আলাদা ইউনিয়ন ও উন্নয়নে নজর দিন।
, ১১ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৭ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৬ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
স্থলসীমান্ত চুক্তি (ছিটমহল বিনিময়) ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। সে হিসেবে এ চুক্তির ১০ বছর পূর্ণ হলো। বাংলাদেশ পায় লালমনিরহাটে ৫৯টি, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, কুড়িগ্রামে ১২টি, নীলফামারীতে ৪টিসহ মোট ১১১টি ছিলমহল বা ১৭১৬০.৬৩ একর জমি এবং প্রায় এক লাখ লোক। ভারত পায় কুচবিহারে ৪৭টি, জলপাইগুড়িতে ৪টিসহ মোট ৫১টি ছিটমহল বা ৭১১০.০২ একর জমি এবং জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখের উপরে।
ছিটমহলগুলো নাগরিকত্ব, এনআইডি, ভোটাধিকার- সবই মিলেছে, তবু জীবনব্যবস্থায় পরিবর্তনের ছোঁয়া নেই। ছিটমহলবাসীর ভাষায়, ‘মানচিত্রে ঠাঁই হলেও বাস্তবে আমাদের কষ্টের ঠিকানা বদলায়নি। ’
দাশিয়ার ছড়া ছিটমহল ঘুরে দেখা যায়, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে একাধিক সড়ক, ব্রিজ ও সরকারি স্থাপনা। কিন্তু বাস্তবে এসবের অনেকটাই অকার্যকর বা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ হলেও সেখানে নেই কোনো প্রশিক্ষক, নেই কর্মসূচি- ভবনটি তালাবদ্ধ পড়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। একইভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হলেও নেই চিকিৎসক, নেই ওষুধ। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে পাশের ইউনিয়ন বা উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরকারিভাবে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হলেও বাস্তবতা করুণ। অধিকাংশ বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ, কোথাও নেই শৌচাগার বা বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। শিক্ষক সঙ্কটও প্রকট। স্থানীয় যুবক-যুবতীরা শিক্ষিত হলেও তাদের এমপিওভুক্ত স্কুলে নিয়োগ না হওয়ায় বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে।
এখনো রাস্তা কাঁদায় ডুবে থাকে, হাসপাতালে গেলে ওষুধ নেই। ” ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও তারা রাষ্ট্রের সব সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ’
ছিটমহলবাসী আজ বাংলাদেশের নাগরিক হলেও, বাস্তবে তারা এখনো প্রান্তিক ও বঞ্চিত। উন্নয়নের কয়েকটি দৃষ্টান্ত থাকলেও মৌলিক চাহিদাগুলো রয়ে গেছে অপূর্ণ।
দশ বছরেও যদি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান নিশ্চিত না হয়- তবে স্বাধীনতার স্বাদ শুধু নথিতে সীমাবদ্ধ থাকে।
সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি ছিটমহলবাসীর একটাই আবেদন-“আমাদের কষ্টটা দেখুন, প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ দিন। ”
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় কমিটির সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, “সড়ক ও বিদ্যুৎ খাতে কিছু উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও অধিকাংশ উন্নয়ন আজও ফাইলের স্তূপে চাপা পড়ে আছে। প্রতিশ্রুতি অনেক দেয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়েছে সামান্যই। ভূমি জরিপ করা হলেও তা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। বহু জমি ভুলভাবে রেকর্ড করা হয়েছে, ফলে মানুষ এখন জমির মালিক হয়েও আইনগতভাবে নিজস্বতা প্রমাণ করতে পারছে না। এতে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। ”
ছিটমহলবাসী জানান, এক হাজার ৬৪৩ দশমিক ৪৪ একর আয়তনের সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়াকে তিন ভাগ করে ফুলবাড়ী সদর, ভাঙ্গামোড় ও কাশিপুর ইউনিয়নের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। “ছিটমহলটিকে একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের দাবি বহুদিনের। এতে প্রশাসনিক সেবা যেমন সহজ হবে, তেমনি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও গতি আসবে। কিন্তু এ দাবি আজও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ”
বিগত তাগুতী সরকার বৈষম্যের সরকার ছিলো বলে, এ বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সংস্কারের দাবীদার অন্তর্বর্তী সরকার ছিটমহল সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্ধ, বধির এবং বোবা কেন? তাদের এ উদাসীনতা ও নিস্ক্রিয়তা ছিটমহলবাসীদের প্রতি চরম বৈষম্য। যা জুলাই অভ্যুত্থান তথা বৈষম্য বিরোধী চেতনার সাথে এবং উপদেষ্টাদের শপথের সাথে সাংঘর্ষিক। নিজেদের ক্ষমতার বৈধতার স্বার্থেই অন্তর্বর্তী সরকার ছিটমহলবাসীর উন্নয়নে শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে এখন জনপ্রত্যাশা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












