মন্তব্য কলাম
তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন এগিয়ে আসায় এবার ভারত নূতন রূপে বিরোধীতায় মেতেছে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে জনৈক উপদেষ্টার কুখ্যাত পরিবেশবাদী সংগঠন থেকে আরম্ভ করে অখ্যাত রাম-বাম পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এখন তিস্তা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে
প্রসঙ্গত পদ্মাসেতুর বাংলাদেশে তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন-ভারত কারোরই দরকার নাই বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ১৭ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ৩ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
তিস্তা প্রকল্পে শুরু থেকেই বাগড়া দিচ্ছে ভারত। ভারত মনে করে, তাদের শিলিগুড়ি করিডরের ‘চিকেন নেকের’ এত কাছাকাছি তিস্তা প্রকল্পে কয়েক শ বা হাজারের বেশি চীনা নাগরিকের অবস্থানকে ভারত মেনে নেবে না। অতএব, বাংলাদেশকে এই প্রকল্প থেকে সরে আসতে বলা হচ্ছিল। বলা হয়েছিল, ভারতের নিরাপত্তা-সম্পর্কীয় উদ্বেগকে আমলে নিয়ে সীমান্ত-নিকটবর্তী ১৬ কিলোমিটার নদীর খনন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে করবে।
বিশেষজ্ঞদের তখন কিছু তথাকথিত সুশীলের অনুরোধ ছিল, যেহেতু ভারতের ‘শিলিগুড়ি চিকেন নেক’ এবং ‘সেভেন সিস্টার্সের’ ভূরাজনৈতিক নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার অভিযোগ তুলে চীনের অর্থায়নের ব্যাপারে ভারত প্রকল্পের বিরোধিতা করছে, তাই মহাপরিকল্পনার বিভিন্ন ডাইমেনশনকে কাটছাঁট করে শুধু নদী খনন, ভূমি উদ্ধার, নদীপারের দুই পাশের পরিবর্তে আপাতত একপাশে মহাসড়ক নির্মাণ, নগরায়ণ ও শিল্পায়ন সুবিধা গড়ে তোলা পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দিয়ে বর্তমান পর্যায়ে শুধু জলাধার নর্মাণ, ব্যারাজ নির্মাণ, সেচখাল খনন ও সেচব্যবস্থা চালু করার বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে, প্রকল্পের রি-ডিজাইন করে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন অবিলম্বে শুরু করা হোক।
তবে অভিজ্ঞমহল মন্তব্য করেছিলেন, আমরা যদি প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বব্যাংককে দাঁতভাঙা জবাব দিতে পারি, তাহলে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মতো দেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত পাঁচটি জেলার এক কোটির বেশি মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে করতে পারব না কেন? রিভাইজড ডিজাইনে প্রকল্পের খরচ এক-তৃতীয়াংশের মতো কমে আসত। ভারতের দাদাগিরির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
কিন্তু চীনকে এই প্রকল্প থেকে বের করার উদ্দেশ্যে ভারত আগ বাড়িয়ে তিস্তা প্রকল্পে তাদের অর্থায়ন ও অংশগ্রহণের প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকারকে গছানোর জন্য জোরেশোরে হাত-মোচড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। (শেখ হাসিনার ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সবগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে ভারতকে একতরফা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত নগ্নভাবে ধরা পড়েছে বলে আমি মনে করি। রেলওয়ে ট্রানজিট, ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন সম্পর্কে দুই বছর আগে থেকেই আলোচনা শুরু, ফারাক্কা ও তিস্তা প্রকল্প সম্পর্কে দু-দুটো টেকনিক্যাল টিম পাঠানোর ভারতীয় একতরফা-প্রস্তাব, নেপাল থেকে ভারত হয়ে বিদ্যুৎ আমদানি-প্রতিটি ব্যাপারে ভারতের স্বার্থরক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে)।
তিস্তা নদী ঐতিহাসিকভাবেই অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং খামখেয়ালি আচরণের একটি নদী, যার বন্যার কবলে পড়ে প্রায় প্রতিবছর বর্ষায় বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল একাধিকবার বিধ্বস্ত হয়ে চলেছে। আবার শুষ্ক মৌসুমে তুলনামূলকভাবে খরাগ্রস্ত এই এলাকার মানুষ তিস্তা নদীর পানিস্বল্পতাহেতু সেচসুবিধা থেকেও বঞ্চিত থাকে। তিস্তা নদীর উজানে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায় ভারত একতরফাভাবে বাঁধ নির্মাণ করে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানি সম্পূর্ণভাবে আটকে দেওয়ার পর তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশ বছরের বেশির ভাগ সময় প্রায় পানিশূন্য থাকছে। ২০২৪ সালেও তিস্তার পানিস্বল্পতার ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়, এলাকার জনগণের জীবন ও জীবিকার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ তিস্তা নদী। বাংলাদেশ বন্ধুরাষ্ট্র হলেও একটি আন্তর্জাতিক নদীর উজানে এহেন একতরফা বাঁধ নির্মাণ কিংবা খাল খননের আগে ভারত একবারও বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন বোধ করেনি; বরং দীর্ঘ তিন দশকের কূটনৈতিক আলোচনার পথ ধরে যখন ২০১১ সালে দুই দেশ তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার অন্যায়-আবদারের কাছে নতি স্বীকার করে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন চুক্তি স্বাক্ষর থেকে পিছিয়ে গিয়েছিলো।
তিস্তা নদীতে নেমে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে তৈরি তারা। সে বলেছে, তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ বোঝে চীন। সরকারের গ্রীন সিগন্যাল পেলেই তিস্তা নিয়ে কাজ শুরু হবে। তিস্তা নদীকে ঘিরে প্রকল্প শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাড়া পেতে দুই বছর ধরে অপেক্ষায় ছিল চীন। এই কথা বলে মানুষের কষ্ট লাগবে দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজে নেমে পড়ার উপর গুরুত্ব দেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াওয়েন।
তিস্তা প্রকল্পে নদীটির উপকূল ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াও, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রীস্মকালে পানি সংকট দূর করতে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল বিবিসি।
প্রকল্পের আদ্যপান্ত তুলে ধরে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা অনেক বছর ধরে আলোচনা করেছি। তবে আমাদের মূল্যায়নে এটা বিশাল প্রকল্প। এ কারণে আমরা বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছি ধাপে ধাপে করার জন্য। প্রথম ধাপ হিসেবে বন্যা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা প্রকল্পের পরামর্শ দিয়েছিল চীন।
আমরা ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ফিডব্যাক দিয়েছি। এরপর দু বছর পার হলেও বাংলাদেশের দিক থেকে প্রতি উত্তর না পাওয়ার তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, সুতরাং আমরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের বিষয়ে উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
এতদ্বপ্রেক্ষিতে এখন ইন্ডিয়ার চিহ্নিত দালাল এনজিওগুলো আবার মাঠে নেমেছে। এবার তারা চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে আত্মঘাতী আখ্যা দিয়ে মানববন্ধন করে সে প্রকল্প বন্ধের দাবি তুলেছে। আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদী তীরে আয়োজিত মানববন্ধনে নদ-নদী ও খাল দখল-দূষণ মুক্ত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বুড়িগঙ্গা নদী সরজমিনে পরিদর্শনে বসিলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে নদীর দুপাশের বর্তমান দখল ও দূষণের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করা হয়। তথাকথিত এই পরিবেশবাদীদের মূল এজেন্ডা তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঠেকানো। ভারতের অর্থায়নে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. হালিম দাদ খান বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। গঙ্গা-বহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর পলিমাটি দিয়ে গঠিত একটি ব-দ্বীপ ভূমি। একাদশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। নদীগুলো ছিল প্রশস্ত, গভীর ও পানিতে টইটুম্বুর, বর্ষাকালে প্রমত্তা। সারা বছর নাব্যতা থাকে তেমন নদীর সংখ্যা আজ সব মিলিয়ে ২৩০টি। আমরা আর কোনো নদীকে মরতে দিতে পারি না।
নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বুড়িগঙ্গা নদী সরেজমিনে পরিদর্শন কর্মসূচিতে অংশ নেয় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, বাদাবন সংঘ, বারসিক, ক্যাপস, সিডাব্লিএফ, সিডিপি, ক্লিন রিভার বাংলাদেশ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা, গ্রীন সেভার্স, হাওর অঞ্চলবাসি, নাগরিক উদ্যোগ, নদী যাত্রিক, নোঙ্গর ট্রাস্ট, নদীপক্ষ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট), রিভারাইন পিপল, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নবাব বাগিচা সামাজিক উন্নয়ন কল্যাণ পরিষদ, পরিবেশ উদ্যোগ ও গ্রীন ভয়েস।
মানবন্ধন থেকে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসে ১১ দাবি ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়, তিস্তা নদীকে জীবন্ত ও আইনি সত্তা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের ঘোষিত রায়ের বিধান মেনে চলায় সকলকে বাধ্য করতে হবে। আত্মঘাতী তিস্তা মহাপরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে।
তিস্তাপাড়ের লাখ লাখ মানুষ যখন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন করছে। ভারত নানাভাবে দিল্লি অনুসারি আমলাদের মাধ্যমে হাসিনার শাসনামলে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ বন্ধ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে যখন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন দিল্লি বিপুল অর্থ খরচ করে বাংলাদেশের কিছু এনজিওকে নদী বাচায়ের নামে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঠেকানোর লক্ষ্যে মাঠে নামিয়েছে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, পদ্মাসেতুর বাংলাদেশে তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন-ভারত কারোরই দরকার নাই।
বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












