মন্তব্য কলাম
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ভারতের ভূ-রাজনীতি দেখতে চায় না দেশ প্রেমিক জনসাধারণ পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনাও এদেশীয় অর্থায়নেই সম্ভব ইনশাআল্লাহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা যথাযথ করতে পারলে এবং বাস্তবায়ন করলে দেশের উত্তারঞ্চল সোনালী সমৃদ্ধিতে আরো সমুজ্জল হবে ইনশাআল্লাহ
, ২৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৪ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
পরিবেশ, বন ও পানিবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেছে, প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে যে চুক্তিটা হয়েছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী চায়না একটি পরিকল্পনা দিয়েছিল। ওইটা যখন আবার চায়না সরকারকে পাঠানো হয়, তখন চায়না সরকার বলে, যেভাবে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে, তাতে স্থায়ী হবে না। এখন চায়না আবার আমাদের কাছে দুই বছরের সময় চেয়েছে। আমরা তাদের দুই বছরের সময় দিতে সম্মত হয়েছি।
তিনি উল্লেখ করেন, সেখানে দুটি শর্ত যোগ করা হয়েছে। শর্তদুটির মধ্যে একটি হলো, মহাপরিকল্পনায় যে বিষয়গুলো থাকবে এবং থাকবে না, তা তিস্তা পাড়ের মানুষের সাথে কথা বলে মতামত নিয়ে ঠিক করতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করতে হবে।
পদ্মাসেতু চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের যেমন যাত্রা শুরু হয়েছে, তেমনি হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গোটা উত্তরাঞ্চলের। কারণ, সেখানে ব্যাপক উন্নতির পথ সৃষ্টি হবে। ফলে দারিদ্র্য, মঙ্গা, বেকারত্ব ও মরু বিস্তার প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে দূর হবে। দেশের আঞ্চলিক বৈষম্যও দূর হবে। তাই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার অসংখ্য মানুষ বহু মিছিল-মিটিং, সংবাদ সম্মেলন করেছে। দেশের প্রখ্যাত পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাতও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভারতের যা নেওয়ার দরকার তার সব কিছুই নিয়েছে। বিগত সরকার তা দিয়ে দিয়েছি অবলীলাক্রমে। ফলে ভারতের এখন আর কোনো গরজ নেই তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু হবার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
নির্বাচনের পরে চীনের রাষ্ট্রদূত তার সেই আগ্রহ চাপা রাখেনি। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে এক বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ চাইলে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করার বিষয়ে তৈরি আছে চীন।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের দিক থেকে প্রকল্পের প্রস্তাব পেলে চীন সহযোগিতা দেবে।
কিন্তু তিস্তা নদীর উপর এ প্রকল্প নিয়ে ভারত এবং চীন পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের অনেককেই ধারণা করেন, ভারতের আপত্তির কারণেই চীনের সাথে এ প্রকল্প নিয়ে এগুতে পারছে না বাংলাদেশ।
মোদ্দা কথা হচ্ছে - তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প ভূ-রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিস্তা নিয়ে চীনের আগ্রহ কেন?
পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করেন, তিস্তা নিয়ে চীনের আগ্রহ মূলত কৌশলগত। এ প্রকল্পটিকে চীন ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে।
হিমালয়ে উৎপত্তির পর তিস্তা নদী ভারতের সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই এ নদী বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের আগ্রহী হয়ে ওঠার বড় কারণ হচ্ছে তাদের ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বা বিআরআই প্রজেক্ট।
বিআরআই প্রকল্পের মাধ্যমে চীন এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা মহাদেশকে একই সুতোয় গাঁথতে চাইছে। চীনের বিআরআই প্রকল্পের আওতাধীন বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর।
প্রস্তাবিত এই করিডোরের মাধ্যমে চীন তাদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইউনান প্রদেশকে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত করতে চায়। এজন্য তিস্তা বহুমুখী প্রকল্পকে চীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে।
২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে এলে দুই দেশের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ ২৭টি প্রকল্পের চুক্তি হয়। অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কাজ শুরু হলেও তিস্তা প্রকল্পটি ভারতের কারণে নানা জটে পড়ে। প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটি থেকে তিস্তা-যমুনার মিলনস্থল (ডালিয়া থেকে ফুলছড়ি) পর্যন্ত নদীর প্রস্থ কমিয়ে ৭০০ থেকে ১০০০ মিটারে সীমাবদ্ধ করা হবে। নদীর ভাঙন ঠেকাতে গভীরতা বাড়ানো হবে ১০ মিটার। নদী শাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হবে, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহন ক্ষমতা বাড়ানো হবে, নদীর দুই পাড়ে বিদ্যমান বাঁধের মেরামত করা হবে, নদীর দুই পাড়ে মোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হবে, ৫০টি গ্রয়েন স্থাপন করা হবে, ড্রেজিংয়ের মাটি ভরাট করে নদীর দুই পাড়ে ১৭০ বর্গকিলোমিটার ভূমি উদ্ধার করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবিত তিস্তা নদীর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ৯৮৩ মিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, জমি উদ্ধার, নৌ-চলাচল বৃদ্ধিসহ তিস্তাপাড়ে কৃষি অঞ্চল, শিল্প-কারখানা, আবাসন প্রকল্প, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে এবং তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা হবে। চিলমারী বন্দর থেকে ডালিয়ায় তিস্তা বাঁধ অংশে তিনটি নৌ-টার্মিনাল তৈরি করা হবে। নদীর দুই পাড়ে হাইওয়ে তৈরি করা হবে, যার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হবে। তখন আর তিস্তা নদীর পানির জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তির প্রয়োজন পড়বে না।
এ প্রকল্প নিয়ে উত্তরাঞ্চলের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। বিশেষ করে চীনের অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ করায় সবার ধারণা ছিল প্রকল্প বাস্তবায়ন হবেই। কিন্তু বাগড়া দেয় ভারত। ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনা বার বার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। সে জন্য ভারতের বিরোধিতা করার সক্ষমতা হাসিনা হারিয়ে ফেলে। এমনকি চীন সফরে যেতে হলেও শেখ হাসিনাকে ভারতের অনুমতি নিতে হয়।
চীন নদীভাঙন ও বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে তিস্তা প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়। হোয়াংহো নদীকে একসময় বলা হতো চীনের দুঃখ। প্রতি বছর ওই নদীর পানি ভাসিয়ে দিত দেশটির শত শত কিলোমিটার জনপদ। ভেঙে নিয়ে যেত বহু গ্রাম-পথ-ঘাট জনপদ। সেই সর্বনাশা হোয়াংহো নদী শাসন করায় (পরিকল্পিত ড্রেজিং) চীনের মানুষের দুঃখ ঘুচেছে। হোয়াংহো এখন হয়ে গেছে চীনের কৃষকদের জন্য ভালাই। সেই হোয়াংহোর মতোই চীন এখন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ড্রেজিং করে কোটি মানুষের দুঃখ ঘোচানোর পরিকল্পনা করেছে।
মূলত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্যা, নদীভাঙন বন্ধ হবে। উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলার মানুষের ভাগ্যের চাকা খুলে যাবে। ২০১১ সালে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বণ্টনের লক্ষ্যে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। সে সময় ভারতের মোদি ঢাকা সফরে এলেও চুক্তি আটকে যায়। তখন থেকে ভারত তিস্তা চুক্তির মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে। অথচ এক সপ্তাহের নোটিশে ফেনী নদীর পানি চ্ুিক্ত করে ভারত ত্রিপুরার মানুষের জন্য ফেনী নদীর পাতি তুলে নিচ্ছে। চীনের তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভারত থেকে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত পানি তথা তিস্তা চুক্তির আর প্রয়োজন পড়বে না।
চীনের বিশেষজ্ঞ দল ও বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষজ্ঞরা একাধিকবার সরেজমিন পরিদর্শন করে তিস্তা মহাপরিকল্পনার নকশা তৈরি করেন। জানা গেছে, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দু’পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর, নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি সেচব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন নামে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশন থেকে ইআরডিতে পাঠানো হয়েছিল। চায়না পাওয়ার কোম্পানি দুই বছর থেকে তিস্তাপাড়ে নির্মিতব্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নকশা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করেছে। তিস্তাপাড়ের জেলাগুলো নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধায় চায়নার তিনটি প্রতিনিধিদল কাজ করে।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ মোচনে চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু ২০২৪ সালের জুন মাসে ভারত সফর করে দিল্লি থেকে ফিরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই তিস্তা মহাপ্রকল্প ভারতই করুক’। শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে উত্তরের ডালিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণের চিলমারী বন্দর পর্যন্ত তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। কর্মসূচিতে তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
মূলত তিস্তা প্রকল্প আশু বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু সংবাদ সম্মেলন, সভা, সেমিনার হয়েছে। রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা সংবাদদাতারা জানান, প্রতিদিন তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। নদীপাড়ের মানুষ চায় তিস্তা প্রকল্পের কাজ এখনই শুরু করা হোক। কারণ নদীভাঙা ও বন্যা থেকে বাঁচতে চায় মানুষ। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে সে প্রত্যাশায় মানুষ প্রকল্পের কাজের শুরু দেখতে মুখিয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমরা তিস্তা নিয়ে টানাটানি দেখতে চাই না। ভারত না চীন কে অর্থ দেবে তা নদীপাড়ের মানুষ বোঝে না। দুই কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ খেলার অধিকার রাখে না। দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কিন্তু রংপুর অঞ্চল কোনো প্রকল্পই পাচ্ছে না, এই বৈষম্য দূর করতে হবে। যদি দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করা যায় তাহলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের অর্থায়ন কেন সম্ভব নয়? এত এত প্রকল্প চলছে কিন্তু তিস্তার জন্য কেন সরকার মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে না। অথচ তিস্তা মহাপরিকল্পনা দেশের জন্য সবচেয়ে লাভজনক। এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে ভাঙন ও ফসলহানির হাত থেকে রক্ষা পাবে লাখো লাখো মানুষ। পাশাপাশি আয় হবে লাখ লাখ কোটি টাকার সম্পদ আহরনের মহা উৎস ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












