দস্তরখানায় পতিত খাদ্য উঠিয়ে খাওয়ার ফযীলত (৫)
, ২৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৭, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
জান্নাতী হওয়া যায়:
বাযযার ও তবারানী কিতাবে বর্ণিত আছে, একদিন সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি অযুখানায় প্রবেশ করলেন। দেখতে পেলেন, (ফল জাতীয়) কোন খাবার কিংবা তার কিছু অংশ ড্রেনে বা পানি চলাচলের স্থানে পরে আছে। তিনি তা তুলে ভালোভাবে ধৌত করলেন। অতঃপর খাদিমকে দিয়ে বললেন, আপনার কাছে রাখুন। আমার অযু শেষ হলে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবেন।
তিনি অজু শেষ করে, খাদিমকে বললেন, খাবারটি দিন। খাদিম বললেন, হে আমার মনিব! আমি তা খেয়েছি। তিনি উনাকে বললেন, যান! আমি আপনাকে আযাদ বা মুক্ত করে দিলাম। খাদিম বললেন, হে আমার মনিব! কোন কারণে আমাকে আযাদ করে দিলেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ উম্মু আবীহা নূরুর রবিয়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছে শুনেছি।
তিনি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শুনেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ اَخَذَ لُقْمَةً اَوْ كَسْرَةً مِنْ مَّـجْرَى الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ فَاَخَذَهَا فَاَمَاطَ عَنْهَا الْاَذٰى وَغَسَلَهَا غَسْلًا نِعِمَّا ثُـمَّ اَكَلَهَا لَـمْ تَسْتَقِرْ فِـىْ بَطْنِهٖ حَتّٰـى يُغْفَرَ لَه. فَمَا كُنْتُ لَاَسْتَخْدِمُ رَجُلًا مِّنْ اَهْلِ الْـجَنَّةِ
অর্থ: ড্রেনে বা পানির নালায় পতিত কোন খাদ্য-দ্রব্য যদি কেউ উঠায়, ময়লা, ধুলা-বালি ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধৌত করে খায়, তাহলে সেই খাদ্য পেটে প্রবেশ করার সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক তাকে ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই, আমি একজন জান্নাতী লোক থেকে খিদমত নিতে পারি না। সেজন্যই আপনাকে আযাদ বা মুক্ত করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ (আবূ ইয়া’লা)
খাদ্য উঠিয়ে খাওয়ার কাইফিয়াত বা পদ্ধতি:
দস্তরখানা থেকে খাবার উঠিয়ে খাওয়া সুন্নত। তার কাইফিয়াত বা পদ্ধতি হচ্ছে বাম হাত দ্বারা খাবার উঠিয়ে, ডান হাতে রাখবে। অতঃপর ডান হাত দ্বারা খেতে হবে। বাম হাত দ্বারা উঠিয়ে সরাসরি মুখে দিবে না। কেননা বাম হাত দ্বারা খাবার খাওয়া নিষেধ। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাবারের সময় প্রয়োজনে দু’হাত মুবারক ব্যবহার করেছেন। তবে বাম হাত মুবারক দ্বারা খাবার খাননি।
উল্লেখ্য যে, খাদ্য খাবার সময় ডান হাত দ্বারা পেয়ালা বা গ্লাস ধরলে ডান হাতের খাদ্য কণা ইত্যাদি পেয়ালা বা গ্লাসে লেগে যায়। যার ফলে পেয়ালা নোংরা বা অরুচিকর হয়। তাই পেয়ালা বা গ্লাস কিংবা অন্য কিছু বাম হাত দিয়ে ধরতে হয়। কিন্তু ডান হাত পেয়ালা কিংবা গ্লাসের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে। একইভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য।
-আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ কাওছার আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












