দাম্পত্য জীবন সুখময় করার কতিপয় সুন্নত মুবারক (২)
, ০৭ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিকটবর্তীগণের মাধ্যমে সদাচরণ শুরু করো।” অর্থাৎ যিনি যতবেশি নিকটবর্তী তিনি সদাচরণ পাওয়ার ততবেশি হক্বদার।
দাম্পত্য জীবনে আহাল ও আহলিয়া বা স্বামী-স্ত্রী সবচেয়ে নিকটবর্তী। উভয়ে পরস্পরের প্রতি সদাচরণ করা উচিত। আহাল-আহলিয়া পরস্পরের প্রতি সদাচরণ করা সম্মানিত সুন্নত মুবারক। সম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুযায়ী দাম্পত্য জীবন অনুসরণ-অনুকরণ করলে পরিবার হয় শান্তিময় জান্নাতি আবহে। পাশাপাশি মূল যে বিষয় তথা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছলালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করা। দাম্পত্য জীবনের কতিপয় সুন্নত মুবারক আলোচনা করা হলো:
২) পারিবারিক ও জরুরী কাজে আহলিয়ার সাথে পরামর্শ করা:
নিজ আহলিয়া বা স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আর জরুরি বিষয়ে উনাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।’ (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ নং : ১৫৯)
পারিবারিক ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে আহলিয়ার সাথে পরামর্শ করা সম্মানিত সুন্নত মুবারক। স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে পরামর্শ করতেন। তিনি শুধু পারিবারিক বিষয়ে উনাদের পরামর্শ করতেন তা নয়; বরং মুসলিম উম্মাহ্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির ক্ষেত্রেও উনাদের পরামর্শ নিতেন। ইতিহাস বিখ্যাত ‘হুদায়বিয়ার সন্ধি’র সময় তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস্ সাদিসাহ আলাইহাস সালাম (হযরত উম্মে সালমাহ আলাইহাস সালাম) উনার থেকে পরামর্শ মুবারক নিয়েছিলেন। সেই পরামর্শ মুবারকই অসাধারণ কাজে আসে। (বুখারি শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি ওহী মুবারক নাযিলের পর হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। (বুখারি শরীফ)
যে আহাল বা স্বামী নিজেদের পারিবারিক বিষয়ে আহলিয়া বা স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে ও তাকে গুরুত্ব দেয় সে আহাল স্ত্রী বা আহলিয়ার কাছে প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন হয়। পারিবারিক জীবনে কলহ বিবাদ দূর হয়। পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধি পায়।
-আহমদ মুবাশশ্বিরা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












