দৃষ্টিনন্দন ছোট্ট পাখি টুনটুনি
এডমিন, ০২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পাঁচ মিশালী

টুনটুনির ইংরেজি নাম ‘ডার্ক নেকড টেইলরবার্ড’। ঠোঁটের সাহায্যে গাছের পাতা ঠোঙার মতো মুড়িয়ে সেলাই করে বাসা বানায় এরা। তাই একে ‘দরজি পাখি’ নামেও ডাকা হয়। টুনটুনি আকারে প্রায় ১৩ সেন্টিমিটার। বুক ও পেট সাদাটে। ডানার উপরিভাগ ও মাথা জলপাই লালচে। লেজ খাড়া, এতে কালচে দাগ আছে।
পৃথিবীতে ১৫ প্রজাতির টুনটুনি পাখি আছে। বাংলাদেশে আছে কালো গলা, পাহাড়ি ও পাতি প্রজাতির। শিম, কদু, কাঁঠাল, সূর্যমুখী, লেবু, শীতাফল, ডুমুর, কাঠবাদাম গাছে এরা বেশি বাসা বাঁধে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি একত্রে মিলে বাসা তৈরি করে। এদের নির্মাণশৈলী এতই মনোরম, অন্য পাখির চেয়ে একেবারেই আলাদা ও অন্যতম।
টুনটুনি সচরাচর পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ খায়। এছাড়া কেঁচো, মৌমাছি, ফুলের মধুও খেয়ে থাকে। এদের খাদ্যতালিকায় আরও আছে ধান-পাট-গম পাতার পোকা, শুয়োপোকা এবং এর ডিম ইত্যাদি। টুনটুনি বছরজুড়ে বংশ বিস্তার করলেও এদের প্রজনন ঋতু মূলত বর্ষাকাল।
টুনটুনি খুবই চতুর প্রকৃতির পাখি। বাড়ির আশপাশে ঝোঁপঝাড়ে মানুষের ছত্রছায়ায় এরা থাকতে বেশ পছন্দ করে। অস্থির ও চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় এক জায়গায় টুনটুনি কখনো বসে থাকে না। এই আছে তো, এই নেই।
দিন দিন গাছপালা, ঝোঁপঝাড়, খাল-বিল, নদী-নালা ধ্বংসের প্রভাবে ধীরে ধীরে বিলীনের পথে দেশি এ পাখি। এ পাখি বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরি। পাশাপাশি এদের আবাসস্থল রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।