মন্তব্য কলাম
দেশের লবণচাষীরা হাজার কোটি টাকার লবণ আমদানী ঠেকিয়ে রেখেছে লবণচাষীদের উপর বিভিন্ন চাপ, বাধা ও নিয়ন্ত্রণ তৈরী করছে সিন্ডিকেট অপরদিকে দেদারছে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর সোডিয়াম সালফেট আমদানী করে লবণ বলে বাজারজাত করা হচ্ছে
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে লবণচাষীরা সংবাদ সম্মেলন, আন্দোলন করছে প্রধান উপদেষ্টা, তথা অন্তর্বর্তী সরকার কী বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে থাকবে?
, ১০ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৭ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম

কক্সবাজারের মহেশখালী দেশের অন্যতম প্রধান লবণ উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে এক কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখানকার প্রায় প্রতিটি পরিবার কোনো না কোনোভাবে লবণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে লবণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় এই শিল্পে জড়িত মানুষদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় চাষিদের মতে, বর্তমান লবণের বাজারদর ৩০০-৩৫০ টাকা প্রতি মণ, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম। এতে চাষিদের একদিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে, অন্যদিকে লবণ উৎপাদন অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাষিরা বলছেন, বিদেশ থেকে লবণ আমদানির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন, দেশে লবণের পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও বিদেশী লবণ আমদানি করা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।
মিল মালিক সিন্ডিকেটের কারসাজিতে মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তারা এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সম্প্রতি কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের একমাত্র কক্সবাজার জেলাতে লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ লবণই কক্সবাজারে উৎপাদিত হয়। কক্সবাজার জেলার রামু ছাড়া বাকী ৮ উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় নিম্নভূমিতে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে লবণের চাষ হয়ে থাকে।
সাধারণত, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সময়কে লবণ উৎপাদন মৌসুম ধরা হলেও আবহাওয়ার কারণে সময়ের পরিধি বাড়ে কমে। তবে গত ২/৩ মৌসুম ধরে মাঠ পর্যায়ে লবণের মোটামুটি ভালো থাকায় এ মৌসুমেও লবণ চাষীরা বিশেষ আগ্রহ নিয়ে আগাম লবণ চাষে মাঠে নামে।
ফলে গত মৌসুমের এ সময়ের তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রায় দেড়গুণ বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছে। এতে চলতি মৌসুমেও লবণ উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
গেল, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদনের ৬২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন, অথচ আগের মৌসুমে অর্থাৎ ২০২১-২২ মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মে.টন। আর গত মৌসুমে বা ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৬৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২৪ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে, যা আগের মৌসুমের চেয়ে ২ লাখ মে.টনের বেশি। গত ২/৩ মৌসুম ধরে চাষীরা লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় দেশে লবণ উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে।
তবে লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে জানায়, চলতি মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদনের অতীতে রেকর্ড ভাঙ্গতে চাইলেও লবণ মিল মালিকদের একটি সিন্ডিকেট দেশে লবণ উৎপাদন কমানোর জন্য চাষীদের উপর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে। যাতে চাষীরা মৌসুমের শুরুতে লবণ চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং লবণ উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়।
এরই অংশ হিসাবে লবণ মৌসুমের শুরুতে লবণ মিল মালিকরা বস্তা প্রতি (প্রতিবস্তা ৮০ কেজি) ১৪শ টাকা থেকে দফায় দফায় কমাতে কমাতে এখন ৬৮০ টাকা থেকে ৭শ টাকায় এসে ঠেকেছে। আবার প্রতিবস্তা ৮০ কেজির পরিবর্তে ৯০ থেকে ৯৫ কেজি লবণ নেওয়া হয় চাষীদের কাছ থেকে। নিকট অতীতে মাঠ পর্যায়ে লবণের এমন দরপতন হয়নি। তবে মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম কম হলেও বাজারে প্যাকেটজাত লবণের মূল্য কমেনি। বাজারে প্রতি কেজি ভোজ্য লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি লবণ উৎপাদনে পলিথিন, জ্বালানী তেল ও শ্রমসহ প্রায় ১৫ টাকা খরচ হলেও মাঠ পর্যায়ে লবণ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮ টাকারও কম দরে। এর ফলে লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। অথচ এ স্বয়ংসম্পূর্ণ খাত থেকে সরকার প্রায় ৫শ কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় করে। আর লবণ মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে দেশীয় এই লবণ শিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এরই অংশ হিসাবে তারা লবণ চাষীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে।
তারা এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের মতে অন্যথায় দেশীয় লবণ শিল্পটি আবারও পরনির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।
অপরদিকে উল্লেখ্য, এক সময় দেশীয় শিল্প-কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে দেশীয় লবণ ব্যবহার করা হতো। এতে দেশীয় লবণচাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু বর্তমানে এসব শিল্প-কারখানা দেশীয় লবণের পরিবর্তে খোলাবাজার থেকে ডাইসোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সালফেট কিনে ব্যবহার করছে। এছাড়া দেশীয় লবণ পরিশোধন কারখানাগুলো দেশি লবণচাষিদের কাছ থেকে লবণ কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এতে দেশে উৎপাদিত লবণ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। যাতে লবণ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার শিল্প-কারখানা নানা কৌশলে লবণ আমদানি করছে। বন্ড সুবিধায় অনেক প্রতিষ্ঠান লবণ আমদানি করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে শিল্প মালিকরা কম দামে খোলাবাজার থেকে লবণ কিনে ব্যবহার করছে। দেশে উৎপাদিত লবণের চেয়ে আমদানি করা লবণের দাম কম। ফলে শিল্প মালিকরা দেশীয় লবণ ব্যবহার করেন না। এবার দেশীয় লবণচাষিদের সুরক্ষায় আমদানি করা লবণ বা ডাইসোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সালফেট আমদানি শুল্ককর শতভাগ বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সায় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সূত্র মতে, দামে কম থাকায় দেদারছে আমদানি হচ্ছে ডাইসোডিয়াম সালফেট বা সোডিয়াম সালফেট। এটি দেখতে সাধারণ লবণের মতো। ফলে বাজারেও বিক্রি হচ্ছে। অথচ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই জনস্বার্থ ও দেশের শিল্পকে রক্ষায় পণ্য দুটি আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর জন্য গত ৫ নভেম্বর এনবিআরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, লবণচাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বিসিকের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন অপরিশোধিত লবণ উৎপাদন হয়; যা গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উৎপাদন। বর্তমানে ভোজ্য লবণ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বংয়সম্পূর্ণ। ভোজ্য লবণের চাহিদা পূরণের পর বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহƒত লবণের একটা বড় অংশ দেশীয় উৎস হতে মেটানো হয়। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভোজ্য লবণের বার্ষিক চাহিদা ছিল ৮ লাখ ৭৮ হাজার টন এবং শিল্প লবণের চাহিদা ছিল ৮ লাখ ৩৭ হাজার টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভোজ্য ও শিল্প লবণের চাহিদা মেটানোর পরও গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত অপরিশোধিত লবণ মজুত ছিল ৭ লাখ ১৪ হাজার টন।
অপরদিকে আমদানিকারকরা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে গত ২০২১-২২ অর্থবছর ৭ লাখ ৪৫ হাজার টন, ২০২২-২৩ অর্থবছর ৫ লাখ ২৮ হাজার টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছর ৫ লাখ ৮৪ হাজার টন ডাইসোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সালফেট আমদানি করেছে। ভোজ্য লবণের মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং ডাইসোডিয়াম সালফেটের মূল উপাদান হলো সোডিয়াম সালফেট। সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম সালফেট দেখতে প্রায় একই রকম। দেশে পর্যাপ্ত লবণ উৎপাদন হওয়ায় দেশীয় লবণ শিল্পকে সুরক্ষার স্বার্থে জাতীয় লবণ নীতি-২০২২ অনুসরণে বর্তমানে সাধারণ লবণ আমদানি বন্ধ। তবে শর্তসাপেক্ষে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আমদানির সুযোগ রয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত সাধারণ লবণ শুল্কহার ছিল ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ডাইসোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সালফেটে শুল্কহার ছিল যথাক্রমে ৪৪ দশমিক ৫৩ ও ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সব লবণের শুল্কহার সমান অর্থাৎ ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করা হলে কিছু সময় ডাই সোডিয়াম সালফেট বা সোডিয়াম সালফেট আমদানির পরিমাণ কমেছিল। বর্তমানে ডাইসোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সালফেটের আমদানি মূল্য দেশে উৎপাদিত লবণের তুলনায় কম। ফলে ভোজ্য লবণ আমদানিতে বিধিনিষেধ থাকায় নানা কৌশলে প্রচুর পরিমাণ ডাইসোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সালফেট আমদানি হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে যেসব শিল্পে এতদিন কাঁচামাল হিসেবে দেশীয় লবণ ব্যবহার করা হতো তাদের অনেকেই এখন আমদানি করা ডাইসোডিয়াম সালফেট এবং সোডিয়াম সালফেট ব্যবহার করছে। ফলে লবণ পরিশোধন কারখানাগুলোও দেশি লবণচাষিদের কাছ থেকে লবণ কেনা কমিয়েছে। এতে দেশে উৎপাদিত লবণ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। ফলে দেশীয় লবণচাষিরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকরা হতাশ হয়ে লবণ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়তে পারে। তাতে ভবিষ্যতে লবণ উৎপাদনে আগ্রহ হারাতে পারে চাষিরা। যা লবণের সংকট করবে। লবণ ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শিল্প ও নিজস্ব উৎসজাত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। এ শিল্পের সঙ্গে উপকূলীয় এলাকার অনেক চাষির জীবন-জীবিকা জড়িত।
মন্ত্রণালয় বলছে, আমদানি করা ডাইসোডিয়াম সালফেট এবং সোডিয়াম সালফেট দেখতে সাধারণ লবণের মতো ধবধবে সাদা এবং তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় সরাসরি তা ভোজ্য লবণ হিসেবে বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডাইসোডিয়াম সালফেট বা সোডিয়াম সালফেট ভোজ্য লবণ হিসেবে গ্রহণ করা হলে মানবদেহে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। এখানে কোন কোন ক্ষেত্রে বন্ড লাইসেন্সের অপব্যবহার হওয়া ও সোডিয়াম সালফেট বা ডাইসোডিয়াম সালফেটের প্যাকেটে বা মোড়কে কৌশলে ভোজ্য লবণ আমদানি করার অভিযোগও রয়েছে। ডাইসোডিয়াম সালফেট বা সোডিয়াম সালফেট-এর আমদানি মূল্য কম হওয়ার কারণে দেশীয় লবণ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং তা মানবস্বাস্থ্যর জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। এজন্য ডাইসোডিয়াম সালফেট বা সোডিয়াম সালফেট শুল্কহার বৃদ্ধি করে যৌক্তিককরণ করা প্রয়োজন। এতে দেশীয় শিল্পরক্ষা ও জনস্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। লবণচাষি ও দেশীয় লবণ শিল্পকে রক্ষা করতে ডাইসোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সালফেট আমদানিতে শুল্ক ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে শতভাগ করার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারের সঠিক পদক্ষেপের অভাবে যদি এই শিল্প বন্ধ হয়ে যায়, তবে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, একটি অঞ্চলের ঐতিহ্যও হারিয়ে যাবে। এজন্য সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। স্থানীয় চাষিদের প্রণোদনা, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং বিদেশী লবণ আমদানি বন্ধ করার মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন এগিয়ে আসায় এবার ভারত নূতন রূপে বিরোধীতায় মেতেছে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে জনৈক উপদেষ্টার কুখ্যাত পরিবেশবাদী সংগঠন থেকে আরম্ভ করে অখ্যাত রাম-বাম পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এখন তিস্তা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যাকাতের নামে আলাদা নিম্নমানের কাপড় তৈরী ও সরবরাহ বন্ধ এবং লোকদেখানো যাকাত দেয়ার প্রবণতা প্রতিহত করতে হবে। যাকাতের কাপড় নিতে গত ৩৫ বছরে নিহত ২৫৪ জন। পবিত্র যাকাতের কাপড়ের নামে সিন্ডিকেট এবং নাম কামানো পবিত্র যাকাতকে অবমাননা করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ জনই কর্মক্ষম। এবং ইন্দোনেশিয়া নয়, বাংলাদেশই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৪৫ কোটিরও উপরে। (সুবহানাল্লাহ)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা রোযার উপর গবেষনা করে রোযার মাহাত্ম স্বীকার করে তথাকথিত নোবেল পুরষ্কার পায়! কিন্তু মুসলমান দ্বীন ইসলাম উনার আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় লজ্জাকরভাবে ব্যার্থ হয়। কথিত বিজ্ঞান ও কথিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে রোযার উপকারিতা অপরিসীম। (পর্ব-২)
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অসংখ্য সতর্কবার্তা ও নির্দেশনা। অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে দেয়া হবে মদের লাইসেন্স! মদ-জুয়ার প্রসার মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অসন্তুষ্টির কারণ। যার পরিণতি হতে পারে খোদায়ী গযব। নাউযুবিল্লাহ!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)