সম্পাদকীয় (২)
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
, ০২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বর্তমানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৫৪ শতাংশ। বিশ্ববাজারে কমছে পণ্যের দাম, কমে আসছে মূল্যস্ফীতিও। কিন্তু বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্য অর্জন থেকে অনেক দূরে। ঠিক কী কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না এবং কবে মূল্যস্ফীতির হার সহনশীল অবস্থায় নামিয়ে আনা যাবে, এটিই এখন সবার প্রশ্ন।
বাজারে মূল মূল্যস্ফীতির চেয়েও বেশি ভোগাচ্ছে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে নিম্ন, নিম্নমধ্যম এবং মধ্যম আয়ের মানুষের ভোগান্তির মূল কারণ বাজারে বিরাজমান অস্থিরতা। ক্রেতারা বলছেন, হাজার টাকার নোট নিয়ে বাজারে গেলেও ফিরে আসতে হয় অর্ধেক বাজার করে। দুই বছর আগে এক হাজার টাকায় যা কেনা যেত এখন তার অর্ধেক পণ্য কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
যেখানে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনও ৯ শতাংশের ওপরে, একবার বাড়ে পেঁয়াজের দাম, আরেকবার কাঁচা মরিচের, কখনোবা ডিম কিংবা মুরগির গোশত, আবার কখনও কেজিতে মাছের দাম বাড়ে ৫০০ টাকা পর্যন্ত; সেখানে কী করলে বাজার স্বাভাবিক হবে এমন জবাবে অভিজ্ঞমহল বলেন, মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে হলে শুরুতেই বুঝতে হবে উৎপাদন ও বিপণনের মধ্যে পার্থক্য কতখানি। এই পার্থক্য কমিয়ে আনতে পারলে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব।
ক্রমবর্ধমান এ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না মানুষের আয়ের সক্ষমতা। ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়ছে। বিবিএসের হিসাবে, একটি পরিবারে মোট খরচের ৪৮ শতাংশে খরচ হয় খাবার কিনতে। ফলে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজার দামের সঙ্গে অভিযোজন করতে হিমশিম খাচ্ছেন আমজনতা।
স্বল্প মজুরিকে গিলে ফেলছে বর্ধমান মূল্যস্ফীতি। দেশের বাজার ব্যবস্থা খুব পরিচিত একটি প্রপঞ্চের নাম হলো দামের অনমনীয়তা অর্থাৎ কোনো কিছুর দাম একবার বেড়ে গেলে তা আর সহজে কমে না। আমাদের মতো দেশে দাম কমা অসম্ভব হয়ে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে। এমন পরিস্থিতি সাধারণ আয়ের মানুষের জন্য সত্যি অসহনীয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হলে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। অবৈধভাবে দ্রব্য পাচার রোধ ও মজুতদারি রোধ করতে পারলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না। বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর সমাজব্যবস্থায় কৃষির উৎপাদন বাড়াতে এবং উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি জমি থেকে সর্বোত্তম ফসল লাভের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, প্রচুর সার ও সেচ ব্যবস্থার সমন্বয় করতে হবে। কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়লে দাম এমনিতেই স্থিতিশীল থাকবে। বাজারের ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে লাগামহীন দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দেশের সব মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়াগে করতে হবে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির ও কষ্টের সম্মুখীন হয় স্বল্প আয়ের মানুষ। সুতরাং এদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিত্যপ্রয়াজেনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বাজারের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ী যাতে তার ইচ্ছামতো দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সে জন্য দেশের জনগণকেও সচেষ্ট থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, মুনাফাখোর সমাজের উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়। তাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার ও নিরাপত্তা। মূল্যস্ফীতির পিষ্ট থেকে ভোক্তাদের রক্ষা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬ কোটি মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ৪০-৫০% কর্মী স্বাস্থ্যসেবার সব সমস্যা দূরীকরণে যথাযথ সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বছরে ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য দেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি অথচ সঠিক ব্যবস্থাপনায় এই ঝুঁকিই হতে পারে অমিত সম্ভাবনাময় সমৃদ্ধির পুঁজি।
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুবারক হো ১৫ই রমাদ্বান শরীফ! তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত পঞ্চম খলীফা, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, আহলু বাইতিন্ নাবিইয়ি, আওলাদু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমান্বিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভয়াবহ নীরব দুরারোগ কিডনী রোগ একদিকে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, অপরদিকে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যায় সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এক্ষুনি ইনশাআল্লাহ
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্মশীল না হলে মুসলমানরা বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
লবণ চাষীদের ঘরে নিরব কান্না দূরীকরণে মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রমাদ্বান শরীফ আজ।
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ১১ই রমাদ্বান শরীফ! সুবহানাল্লাহ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম, হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধী তৈরি করে, যা মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নো আসক্ত। পর্নো দেখতে তারা ব্যয় করছে শত শত কোটি টাকা। এখনই সরকার সতর্ক না হলে পর্ণোগ্রাফিতে পশ্বাধম জাতিতে পরিণত হবে পরবর্তী প্রজন্ম।
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো- মহামহিমান্বিত আযীমুশ শান ৯ই রমাদ্বান শরীফ! মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাঝে অনন্য জামিউল মাক্বামাত, জামিউল আলক্বাব, আল মানছূর, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস তথা ওয়ারাউল ওয়ারা, ওয়ারাউল ওয়ারা মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ।
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)