হিলাল
নতুন চাঁদ তালাশের গুরুত্ব ও শরয়ী তরতীব (১)
, ২৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
চাঁদ দেখার বিষয় নিয়ে আলোচনা:
মহান আল্লাহ পাক উনার কোন বিষয়, কোন সৃষ্টি হিকমত থেকে খালি নয়, ফলে চাঁদও মহান আল্লাহ পাক উনার অসাধারণ এক হিকমতময় সৃষ্টি। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
يَسْئَلُوْنَكَ عَنِ الْاَهِلَّةِ ۖ قُلْ هِىَ مَوَاقِيْتُ لِلنَّاسِ وَالْـحَجّ ۗ
অর্থ: “ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার নিকট চাঁদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হ”েছ, আপনি জানিয়ে দিন, এটা হচ্ছে মানুষের জন্য ইবাদত উনার সময় নির্ধারক এবং সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৯)
আবার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে- তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখো, চাঁদ দেখে ইফতার করো (রোযা ভঙ্গ করো), আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করো।
তাহলে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত আদেশ নিষেধসমূহ থেকে আমরা পাচ্ছি-
১) চাঁদ, মানুষের ইবাদতের সময় নির্ধারক ২) সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম। ৩) চাঁদ দেখে রোযা রাখতে হবে রোযা ভাঙতে হবে। অর্থাৎ সকল মাস চাঁদ দেখে গণনা করতে হবে। ৪) আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করতে হবে।
তাহলে যারা খোদাদ্রোহী, যারা শয়তানের অনুচর, কাফির মুশরিক তারা কি করবে? তারা উল্লেখিত প্রতিটি আদেশ মুবারক উনার খিলাফ করবে।
(১) (চাঁদ, মানুষের ইবাদতের সময় নির্ধারক) চাঁদকে ইবাদতের সময় নির্ধারক হিসেবে না মেনে তারা মনগড়া নিয়ম বের করবে। যেমন বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া।
২) (সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম। ) সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক না করে তারিখ আগ-পিছ করবে। তাই করছে।
৩) (চাঁদ দেখে রোযা রাখতে হবে রোযা ভাঙতে হবে। অর্থাৎ সকল মাস চাঁদ দেখে গণনা করতে হবে) চাঁদ না দেখে কম্পিউটারে দেখে বা হিসেব করে রোযা ভাঙবে বা মাস শুরু করবে।
৪) (আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করতে হবে) আকাশ মেঘলা থাকলে চাঁদ দেখা না গেলেও মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে হলেও মাস শুরু করবে।
বাস্তবে হচ্ছেও তাই। কিন্তু আমাদের বিষয়টি জানা ছিলো না। ১৯৪৮ সাল থেকে অর্থাৎ ‘সিআইএ’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ষড়যন্ত্র চলছে। আর ষড়যন্ত্রের মূল সহযোগী হলো ওহাবী, ইহুদীদের দ্বারা শাসিত দেশ সউদী আরব।
ফলে আমাদের আলোচনায় থাকছে প্রথমে চাঁদের উপর শরীয়ত সম্মত আলোচনা। এবং কাফির-মুশরিক এবং ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের মুখোশ উম্মোচন।
(১) চাঁদ বিষয়ে সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়সালা:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামে পাক-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يسئلونك عن الاهل قل هى موقيت للناس والحج.
“লোকেরা আপনার কাছে চাঁদ সম্পর্কে জানতে আরজি করে। আপনি বলে দিন সেটা হলো মানুষের জন্য সময় নির্ধারক এবং হজ্জের সময় ঠিক করার মাধ্যম। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৯)
হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن ابى هريرة رضى الله تعالى قال قال رسول صلى الله عليه وسلم صوموا لرؤيته وافطروا لرؤيته فان غم عليكم فاكملوا عدة شعبان ثلثين.
অর্থ: “হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা রোযা রাখো চাঁদ দেখে এবং রোযা ভঙ্গ করো চাঁদ দেখে। যদি মেঘের কারণে তোমাদের প্রতি চাঁদ গোপন থাকে তবে শা’বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ-১৭৪)
(২) অন্যান্য মাযহাবে চাঁদ দেখার বিষয় এবং আমাদের হানাফী মাযহাব উনার আলোকে চাঁদ দেখার ব্যখ্যা।
সম্মানিত শাফেয়ী মাযহাবে প্রত্যেক শহরে শহরে চাঁদ দেখা শর্ত। কিন্তু সম্মানিত হানাফী মাযহাবে বলা হয়েছে কোন এক উদয়স্থলে চাঁদ দেখা গেলে এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে অন্য উদয়স্থলে চাঁদ দেখা না গেলে “উদয়স্থলের পার্থক্য গ্রহণযোগ্য নয়”। এ বিষয় বোঝার জন্য প্রয়োজন উদয়স্থল কি তা জানা এবং প্রাসঙ্গিক হাদীছ শরীফ।
উদয়-অস্ত স্থল কি?
যে এলাকার পশ্চিমাকাশে চাঁদ দেখা যায়, সূর্য অস্ত যায়, সেটাই সে এলাকার বা অঞ্চলের উদয়-অস্ত স্থল।
এক মাত্বলউনি বা এক উদয়স্থলরে দূরত্ব সমান এক মাস সফরের পথ
এক উদয়স্থলের ব্যাখ্যা: ৩ দিন ৩ রাতের পথ অতিক্রম করলে হয় মুসাফির এবং তা দূরত্বে ৫৪ মাইল। তাহলে ১ দিন ১ রাতের পথ সমান ১৮ মাইল। ৩০ দিনে মোট দূরত্ব হয় ১৮ী৩০ = ৫৪০ মাইল। (ফতওয়ায়ে শামী)
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












