সম্পাদকীয়-১
নারিকেল দ্বীপের মত থানচিতেও করা হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় সুযোগ নিচ্ছে আরাকান আর্মি গোপনে সক্রিয় ও শক্তিশালী হচ্ছে তারা বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এখনই প্রতিহত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
, ২৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যভিত্তিক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী যেটি ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ) এর সামরিক শাখা। আরাকানিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের কথিত অধিকারের দাবি তুলে এক যুগ আগে এর সাংগঠনিক উদ্যোগ শুরু হয়।
সম্প্রতি বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মির সদস্যদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে সাঙ্গু নদীর চরে যেখানে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং আরাকান আর্মির সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে, সেটি মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অন্তত দশ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
গত এপ্রিল মাসের ১৬-১৭ তারিখ বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজনে আরাকান আর্মির উপস্থিতির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ওই ঘটনার পর মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী কীভাবে বাংলাদেশে উপস্থিত হলো সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষ অনুমতিতে বিশেষ সাংবাদিকদের থানচি পর্যন্ত যাবার সুযোগ দেয়া হয় তবে থানচির পর রেমাক্রি যাবার অনুমতি দেয়া হয় না। সাধারণ পর্যটকরা থানচি পর্যন্তও যেতে পারছেন না। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কড়াকড়ি আরোপ করে আরাকান আর্মির পক্ষেই কাজ করছে বলে সমালোচক মহল মন্তব্য করছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী আরাকান আর্মির সদস্যদের বাংলাদেশের ভেতরে নিয়মিত আসা যাওয়া তাদের নজরে এসেছে। বাংলাদেশের রেমাক্রি, তিন্দু ও মদক এলাকায় একাধিক ক্যাম্প এমনকি কেউ কেউ বসবাস করতো বলেও ধারণা পাওয়া গেছে।
থানচি উপজেলার কুলু পাড়া, বড় মদক, পদ্মঝিরি, বকু পাড়া, সাফা পাড়া, মধুচি, শাপছড়া, মদকের মতো সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় আরাকান আর্মির অবস্থানের তথ্য রয়েছে প্রশাসনের কাছেও। ওইসব এলাকায় আরাকান আর্মির কমান্ডার হিসেবে মেজর সাদোয়াং, কহিন, লুকা, লাব্রা, জোব্বা নামের ব্যক্তিরা নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা যায়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন, একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরে ভিন্ন দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি কাম্য নয়। আমরা শঙ্কিত এই কারণে এখন আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সমস্ত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো দেশে বিদেশে গিয়ে তারা শক্তি সঞ্চয় করে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে তারা আরো বেশি উৎসাহিত হবে।
আরাকান আর্মি তাদের মাফিয়া কার্টেল এবং মানব পাচারকারী ছোট ছোট দল ব্যবহার করছে যাতে বাকি রোহিঙ্গাদের আরাকানের মাটি থেকে নির্বাসিত করা যায়। তারা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে কর আদায় করে এবং ভেতরে ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন করে রাখাইনজুড়ে আইডিপি ক্যাম্পের বাইরে তাদের রাখাইন ত্যাগ করতে বাধ্য করে। তারা মংডুতে রোহিঙ্গা জনগণের একজন বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতাকেও হত্যা করেছে। ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, আরাকান আর্মি তাদের নিজেদের রাখাইন জনগোষ্ঠীর এলাকার চেয়ে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বেশি সক্রিয়, যা সরাসরি বার্মার জান্তার সাথে তাদের সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
অভিযোগ রয়েছে, আরাকান আর্মি একটি ড্রাগ মাফিয়া পরিচালনা করছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশিক্ষণ ও রসদ সরবরাহ করছে বাংলাদেশী পার্বত্য অঞ্চলের অভ্যন্তরে।
বাংলাদেশের জন্য কঠিন হুমকি হলো, আরাকান আর্মির তত্ত্বাবধানে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজাতি যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে আর একই সাথে তারা অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় অবাধে বিচরণ করছে। আরাকান আর্মির সদস্যদের অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে।
এক তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় ছয় হাজার যুবক সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যারা আরাকান আর্মির কাছ থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র পেয়েছে। আরাকান আর্মি চাইলে তাদের দিয়ে সর্বাত্মক গেরিলা যুদ্ধ শুরু করতে পারে। বান্দরবানের গহিন জঙ্গলের অনেক স্থানেই রয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। রাঙ্গামাটি এমনকি খাগড়াছড়িতেও তাদের অবস্থানের খবর পাওয়া যায়। এসব তথ্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য সত্যিই ভীতিকর। বিশেষত তাদের সাথে একটি বৃহৎ শক্তির সংবেদনশীল সম্পর্ক থাকায় বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে। সঙ্গতকারণেই এ বিষয়ে এখনই জরুরী প্রতিহতকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












