মন্তব্য কলাম
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর কি হতে পারে?
, ৭ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৪ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম

আহাদ (রবিবার) (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সড়ক ছেড়ে দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যায় আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর জুলাই আন্দোলনে আহতরা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) তথা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলো। সে সময় মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাত ৩টার দিকে তারা সড়ক ছাড়ে।
পরদিন ১৪ নভেম্বর দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আহতদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসা, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করা হবে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অথচ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কোনও দাবি পূরণ করা হয়নি।
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুযোগ-সুবিধার জন্য কেন বারবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে আহত যোদ্ধাদের- এমন প্রশ্নে নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সরকারের বৈধতা দিয়েছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীরা। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন, তাদের কল্যাণেই এই সরকার বৈধতা পেয়েছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল সরকার গঠনের পরপরই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। অথচ আন্দোলনে আহতদের দাবি আদায়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এটা হওয়ার কথা ছিল না। এর মানে সরকার জুলাই আন্দোলনে আহতদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক, কেন তারা রাস্তায় নামবে? তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দুইটার দিকে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালের সামনে কথা হয় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত কয়েকজনের সঙ্গে। আন্দোলনে আহতদের বেশিরভাগই চোখ, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়েছে।
৫ আগস্ট সাভার-আশুলিয়ায় আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, দেশ স্বৈরাচারমুক্ত-স্বাধীন হয়েছে, জনগণের সরকার হয়েছে, তাদেরকেই গত ছয় মাস ধরে অবহেলার পাত্র বানিয়ে রাখা হয়েছে। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। এই সরকার আমাদের আগে মূল্যায়ন করা দরকার ছিল। এমন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর আবার আমরা কেন দাবি-দাওয়ার জন্য সড়কে আন্দোলন করবো। এখন পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনও মূল্যায়ন করা হচ্ছে না, স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কিংবা উপার্জনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমাদের তো পরিবার আছে, সংসার আছে। ’
জুলাই আন্দোলনে আহত আরিফুল ইসলাম তনয় বলেন, ‘আমরা গত ছয় মাস ধরে বিছানায়। প্রত্যেকেই শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গ হারিয়েছি। চাইলেই অন্য সবার মতো কাজ করার সক্ষমতা নেই। আমাদেরও তো সংসার আছে, তাদের দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। ছয় মাস ধরে কর্মহীন। তাহলে আমরা এখন কী করবো! পঙ্গু জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো ছিল। ’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের সহায়তা নিয়ে আহাদ (রবিবার) (২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছে, ‘আন্দোলনের ট্রমার কারণে নির্দিষ্ট সময় পর পর আহতদের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হচ্ছে। আমাদের যে মানসিক স্বাস্থ্যগত প্রস্তুতি, মেন্টাল ট্রমা বা পিটিএইচডি (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার) অ্যাড্রেস করার সামর্থ্য যথেষ্ট নয়। এরকম হাজার হাজার যোদ্ধার পিটিএইচডি অ্যাড্রেস করার সামর্থ্য নেই বিধায় তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ হয় নির্দিষ্ট সময় পর পর। অবশ্যই আমাদের কোনও ত্রুটি বা বিচ্যুতি এটাকে স্পার্ক করে, কিন্তু মূলত একটা পিটিএইচডি সাইকেলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিস্ফোরিত হচ্ছে। ’
প্রশ্ন উঠেছে, যাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই সরকার, তাদের সুচিকিৎসার দাবি আদায়ের জন্য কেন আন্দোলন করতে হবে? সরকার কি তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে আন্তরিক না? নাকি যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলো যথেষ্ট না? প্রধান উপদেষ্টা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের যে ১০০ কোটি টাকা দিলেন, সেই টাকা তাহলে কোথায়?
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন চাঁদপুরের আবীর আহমেদ শরীফ। মিরপুর-২ নম্বরে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, “আমাদের রক্তের উপর এই সরকার প্রতিষ্ঠিত। অথচ আমার চোখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তারা কিছুই করছে না। এখন থেকে অন্তত তিন মাস আগে যদি সরকার আমাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতো, তাহলে আমরা একটা চোখ যে নষ্ট হয়ে গেছে, সেটা হতো না। এখন যদি আমাকে বিদেশে পাঠায় তাতেও আর কাজ হবে না। কারণ, মরা গাছে কখনো ফুল ফোটে না। আমার চোখের টিস্যু শুকিয়ে গেছে। এটা শুধু আমি না, এমন বহু ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে সরকারের অবহেলার কারণে। অথচ তারা ক্ষমতায় বসে দাদাগিরি ফলাচ্ছে, সান্ত¡না দিচ্ছে, মিথ্যা কথা বলছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নামে লুটপাট হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনে ২২ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের ৫ হাজার জনও এক লাখ টাকা করে পায়নি। তাহলে সরকার কাদের টাকা দিলো?”
গত ১৪ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আহতদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসা, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করা হবে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, অথচ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো দাবি পূরণ করা হয়নি। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলাল হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, “তিন মাস আগে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো চিকিৎসা আমি পাইনি। এমনকি সরকারের কেউ এখন আমাদের খোঁজখবরও আর নেয় না। ”
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে অভিজ্ঞমহল মন্তব্য করেছে, ‘আপনাকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এই জাতির জন্য আর দ্বিতীয়টা থাকতে পারে না। ’
সমালোচক মহল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার বেতনের টাকা, উপদেষ্টাদের বেতনের টাকা, যথাসময়ে যদি রাষ্ট্র পরিশোধ করতে পারে, সচিব, পুলিশের বেতনের টাকা (যাদের অস্ত্র ছাত্রদের পঙ্গু বানিয়েছে) যদি রাষ্ট্র যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারে, তাহলে হাসপাতালের টাকা কেন পরিশোধ হয় না?
তাদের (জুলাই আন্দোলনে আহতদের) বিক্ষোভ করতে হয় কেন?
এমন প্রশ্ন যদি সামনে আসে, তাহলে তা আমাদের জন্য বিব্রতকর। কারণ আমরা এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছি, দিচ্ছি। এই জিনিসটা সরকার যদি মাথায় রাখে, তাহলে ভালো হয়। ’
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুযোগ-সুবিধার জন্য কেন বারবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে আহত যোদ্ধাদের- এমন প্রশ্নে নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সরকারের বৈধতা দিয়েছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীরা।
বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন, তাদের কল্যাণেই এই সরকার বৈধতা পেয়েছে।
ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল সরকার গঠনের পরপরই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
অথচ আন্দোলনে আহতদের দাবি আদায়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এটা হওয়ার কথা ছিল না।
এর মানে সরকার জুলাই আন্দোলনে আহতদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক, কেন তারা রাস্তায় নামবে? তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন এগিয়ে আসায় এবার ভারত নূতন রূপে বিরোধীতায় মেতেছে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে জনৈক উপদেষ্টার কুখ্যাত পরিবেশবাদী সংগঠন থেকে আরম্ভ করে অখ্যাত রাম-বাম পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এখন তিস্তা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যাকাতের নামে আলাদা নিম্নমানের কাপড় তৈরী ও সরবরাহ বন্ধ এবং লোকদেখানো যাকাত দেয়ার প্রবণতা প্রতিহত করতে হবে। যাকাতের কাপড় নিতে গত ৩৫ বছরে নিহত ২৫৪ জন। পবিত্র যাকাতের কাপড়ের নামে সিন্ডিকেট এবং নাম কামানো পবিত্র যাকাতকে অবমাননা করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ জনই কর্মক্ষম। এবং ইন্দোনেশিয়া নয়, বাংলাদেশই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৪৫ কোটিরও উপরে। (সুবহানাল্লাহ)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা রোযার উপর গবেষনা করে রোযার মাহাত্ম স্বীকার করে তথাকথিত নোবেল পুরষ্কার পায়! কিন্তু মুসলমান দ্বীন ইসলাম উনার আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় লজ্জাকরভাবে ব্যার্থ হয়। কথিত বিজ্ঞান ও কথিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে রোযার উপকারিতা অপরিসীম। (পর্ব-২)
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অসংখ্য সতর্কবার্তা ও নির্দেশনা। অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে দেয়া হবে মদের লাইসেন্স! মদ-জুয়ার প্রসার মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অসন্তুষ্টির কারণ। যার পরিণতি হতে পারে খোদায়ী গযব। নাউযুবিল্লাহ!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)