মন্তব্য কলাম
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! নিয়মের জটিলতায় ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি আহত ও নিহতদের পরিবারের লালফিতায় আটকা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ
এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা, এর চেয়ে বড় অকৃতজ্ঞতা এবং কঠিন ব্যর্থতা ও চরম নিস্ক্রিয়তা এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর কি হতে পারে?
, ৮ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বীকার করেছে, আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি, এটা সরকারের ব্যর্থতা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেয় জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন এবং তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় সমন্বয়হীনতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের কাছে জবাব চাইলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
গত ১৯ জুলাই রায়েরবাগে এক হাত দূর থেকে ছোঁড়া গুলিতে আহত হয় তামজিদ হাসান। হাত ও বুকে পিলেট বিদ্ধ হয় তার। দুটি অপারেশন করিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করলেও শেষ করতে পারেনি চিকিৎসা, করাতে হবে আরও একটি অপারেশন।
তামজিদ জানায়, তিন মাস হতে চললেও কোনো সাহায্য বা উত্তর পায়নি। কুমিল্লার আত্মীয়স্বজনদের সাহায্যে কোনোমতে দিন চলছে। তিনি বলেন, ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট বাংলায় না হওয়ায় আমাদের আরও বেশি জটিলতা পোহাতে হচ্ছে। আমার মতো অনেক আহতই বুঝতে পারছেন না কীভাবে ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন সংক্রান্ত আপডেট জানতে হয়।
১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে গুলিবিদ্ধ হওয়া ইয়াসিন মিয়ার শরীরে এখন পর্যন্ত ১৩টি অপারেশন করতে হয়েছে। চিকিৎসায় ৭ লাখ টাকা খরচ হলেও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ইয়াসিন মিয়া প্রাথমিকভাবে ১ লাখ টাকা পেয়েছেন।
যোগাযোগে সমন্বয়হীনতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আহতদের আর্থিক সহায়তায় বিলম্বের প্রধান কারণ। অনেককেই আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য অন্ততপক্ষে ৮টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে। এধরনের বিড়ম্বনা পোহাতে এবং বোঝা শুনার অভাবে অনেকেই ফাউন্ডেশনের নিয়ম অনুসরণ করে আর্থিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হচ্ছে।
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আহতদের অনেকে পঙ্গুত্ব আর অন্ধত্ব নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শহীদদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য এক লাখ টাকা করে এককালীন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আটকে আছে সরকারের ব্যর্থতায়।
সারি সারি অনুমোদন আর সিল-ছাপ্পরের সিরিজ শুরু হয় মূলত আবেদনপত্রে বিসিএস চিকিৎসক বা হাসপাতাল পরিচালকের কাছ থেকে সিল নেওয়ার মাধ্যমে। এর সঙ্গে চিকিৎসার প্রমাণস্বরূপ হাসপাতালের টিকিট বা ছাড়পত্র জমা দিতে হয়, যেখানে অবশ্যই এমবিবিএস চিকিৎসকের সিল থাকতে হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে চিকিৎসা অভ্যুত্থানের ওই সময়েই দেওয়া হয়েছিল। পেমেন্টের জন্য রোগীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বিকাশ নম্বর থাকতে হবে। যদি তা না থাকে, তাহলে অভিভাবকের বিকাশ নম্বর ব্যবহার করা যাবে, তবে এটি একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে যাচাই করাতে হবে। এছাড়া, আবেদনের সঙ্গে আঘাতের চিহ্ন বা আহত স্থানের ছবি সংযুক্ত করাও বাধ্যতামূলক।
সমস্ত নথিপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর, সেগুলো একটি সরকারি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) সংযুক্ত করতে হয়। এরপর, সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় থেকে রোগীর স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করা হয়। এই যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, নথিগুলো ব্যক্তিগতভাবে বা ডাক, ইমেইল কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে জমা দিতে হয়।
এসব কাজের জন্য পরিবারগুলোকে একাধিকবার এক শহর থেকে আরেক শহরে ছুটতে হয়। যার খরচও নিজেদের থেকেই দিতে হয়। ঢাকার বাইরে যারা থাকেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টকর। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, তাদের সাত থেকে আটবার পর্যন্ত ফাউন্ডেশনে যেতে হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই হয় অসম্পূর্ণ নথি নয়তো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অনেক সময়ই সিভিল সার্জন বা ডিসি অফিসে কাগজপত্র পড়ে থাকে। যা তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়া, ফাউন্ডেশনের হটলাইন নম্বরেও বেশিরভাগ সময় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না।
মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ বেলাল। পরে অস্ত্রোপচারে তার পা কেটে ফেলা হয়। তবে প্রথম অস্ত্রোপচারের পর জটিলতা দেখা দেয়ায় এখন আরেকটি সার্জারি প্রয়োজন।
বেলালের বাবা উদ্বিগ্নভাবে এদিক-ওদিক ছুটছিলেন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছিলেন কেন এখনো তার ছেলের ক্ষতিপূরণ আটকে আছে।
প্রথমে তাকে বলা হয়, সিভিল সার্জন এখনো ফাইলগুলো যাচাই করেননি। কিন্তু যখন ছাত্র আন্দোলনকারীরা বিষয়টি ফেসবুকে তুলে ধরেন এবং তা ভাইরাল হয়, তখন জানা যায় জেলা পর্যায়ে নথিগুলো আসলে অনেক আগেই যাচাই হয়ে গেছে। মূলত ফাউন্ডেশনের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল।
বেলালের বাবা যাচাইকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য অনুরোধ জানান, কারণ তার ছেলের চিকিৎসার জন্য টাকাটা অত্যন্ত জরুরি। তবে ফাউন্ডেশন জানায়, তাদের আরও সময় লাগবে।
ছররা গুলিতে আহত আরেকজন চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে এসেছিলেন। তিনি কয়েক মাস আগে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাকে জানানো হয়, আঘাতের স্থানের ছবি জমা না দেওয়ায় তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
'আমার কোনো মোবাইল ফোন নেই। আমার কাছে কোনো ছবি নেই। শরীরে এখনো অনেক ছররা গুলি রয়ে গেছে, আর আমার চিকিৎসার নথিপত্রেই তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তাহলে ছবির কী দরকার?'
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শনিবার ফাউন্ডেশনে এসেছিলাম, জানতাম না যে এটি বন্ধ থাকবে। ’
তিনি জানান, রাত কাটিয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে খোলা আকাশের নিচে।
‘চিকিৎসার জন্য আমার টাকাটা খুব দরকার’, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন তিনি।
হতাশার প্রতিধ্বনি শোনা যায় আরও অনেকের কণ্ঠেই।
তবে দেরির প্রধান কারণ সিভিল সার্জন বা ডিসি কার্যালয়ে ফাইল আটকে থাকা। ফাউন্ডেশনে মাত্র ৩৫ জন কর্মচারী আছে, যা এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।
গত ২২ জানুয়ারি সাংবাদিক তরিক হাসান বাপ্পি ফেসবুকে আফনান সাবিককে নিয়ে একটি লেখা শেয়ার করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফনান মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে আহত হয়েছিলেন এবং এখনো ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা করছেন।
পরদিন পোস্টটি ভাইরাল হলে এবং জুলাই ফাউন্ডেশনের নজরে আসার পর, তারা তাকে জানায় যে তার বাবার নামের বানান একটি নথিতে ভুল ছিল। ফলে তাকে পুরো প্রক্রিয়া আবার শুরু থেকে শুরু করতে হবে।
এই ভুল করেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের নাম তালিকাভুক্ত করেছিলেন যারা তারা। কিন্তু এখন আফনানকেই এর দায় ভোগ করতে হচ্ছে।
আফনান বলেন, ‘প্রথমে আমি আমার নাম তালিকাভুক্ত করার জন্য ঢামেক হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কর্মকর্তারা আমাকে এদিক-সেদিক ঘোরায়। একটা কাজের জন্য পুরো হাসপাতালেই আমি ঘুরি। এটা আসলে বলে বোঝানো খুব মুশকিল। ’
‘তারপর তারা আমাকে যশোরে গিয়ে সিভিল সার্জনের সই নেওয়ার জন্য পাঠান। সিভিল সার্জন কয়েকদিন ধরে আমার ফাইল আটকে রাখেন। তারপর একদিন সকালে, যশোরের একজন ছাত্র সমন্বয়কারী এবং সিভিল সার্জন অবশেষে (ফেসবুক পোস্টের কারণে) এদিকে মনোযোগ দেন। ’
'এখন আমাকে পুরো প্রক্রিয়াটি আবার শুরু করতে হচ্ছে কারণ তারা একটি ভুল করেছে!'
এরপর রয়েছে শহীদ আবদুর রহমানের ঘটনা।
শহীদ আব্দুর রহমানের ছেলে ফয়সালকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার শাহবাগে ফাউন্ডেশনে চেক সংগ্রহ করতে কমপক্ষে আট বার আসতে হয়েছে।
অষ্টমবারের সময় ফয়সালকে জানানো হয় যে একটি চেক ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু এটি আবদুর রহমানের ১১০ বছর বয়সী মায়ের নামে, যিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে থাকেন। ফাউন্ডেশন থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল দুর্বল, শয্যাশায়ী সেই বৃদ্ধাকে ঢাকায় এসে চেকটি নিতে হবে!
'আমার দাদি যিনি নড়াচড়াও করতে পারেন না, তিনি কীভাবে ঢাকায় আসবেন?', বলছিলেন ফয়সাল।
বেশ কিছু আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা আবেদনপত্র জমা দিয়ে ফাউন্ডেশন থেকে টোকেন নম্বর পেয়েছেন। তবে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তারা কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। কিছু ক্ষেত্রে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই আবেদনকারীদের জানানো হয়েছে যে, তাদের আবেদন কার্যকর করা যাচ্ছে না এবং পুনরায় আবেদন করতে হবে। এই বিলম্ব আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য হয়রানি এবং অনিশ্চয়তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আহতদের অনেকেই এমআইএস ভেরিফিকেশন তালিকায় নেই, যার ফলে তাদের সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি, দীর্ঘসূত্রতা, এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই বৈষম্য কী কারণে ঘটছে এবং কীভাবে এগুলো সমাধান করা হবে, সে বিষয়ে কোন জবাব বা ব্যাখ্যা নেই ফাউন্ডেশনের।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












