মন্তব্য কলাম
নিহতদের মধ্যে শুধু আন্দোলনকারীই নয় বরং গণমাধ্যমের হিসেব অনুযায়ী অধিকাংশ সাধারণ মানুষ প্রশ্ন হল- রাষ্ট্র কী এভাবে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করতে পারে? অপরদিকে সচেতন নাগরিক কী এরূপ সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর-লুটপাট করতে পারে? (পর্ব-১)
, ২৩ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম

সহিংসতা নিয়ে একদম নীরব- এরূপ কোনো গণমাধ্যম নেই। তবে প্রায় সব গণমাধ্যম বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন যে নিহতদের মধ্যে বেশীর ভাগই সাধারণ মানুষ।
হৃদয় আহমেদ শিহাব বাড্ডা লিংক রোডের একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বাসা থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় লিংক রোডে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হয়ে শিহাব লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিহাবের পরিবারের দাবি, তিনি কখনো রাজনীতি করতেন না। অল্প বেতনে চাকরি করতেন, পরিবারের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।
ওইদিন একইভাবে মারা গেছেন একটি গার্মেন্ট কারখানার কর্মচারী জাকির হোসেন। অফিসের জন্য কিছু মালামাল কিনতে টঙ্গী বাজার যাওয়ার সময় রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। যখন তার শরীরে গুলি লেগেছিল ঠিক তখন জাকির তার মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।
এই দুজনের মতোই সহিংসতায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত মারা গেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে তাদের বেশিরভাগই পথচারী। এ ছাড়া আছে শিশু, শিক্ষার্থী, দিনমজুর, দোকান কর্মচারী। তাছাড়া পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকও আছেন নিহতদের তালিকায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের তালিকা থেকেও এমন ধারণা স্পষ্ট হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল সূত্র জানায়, গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ ও শারীরিক আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন ৭৪ জনের তালিকা আছে সেখানকার মর্গে। নিহতদের বেশিরভাগই ঢাকা মহানগর ও কাছাকাছি এলাকায় সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। মর্গের ওই তালিকা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, নিহতের মধ্যে ৪৮ জন পথচারী, আটটি শিশু, শিক্ষার্থী তিনজন, পুলিশ একজন ও সাংবাদিক একজন। বাকি ১৩ জনের মধ্যে আটজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। পাঁচজনের নাম পেলেও বিস্তারিত পরিচয় নেই।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের বেশিরভাগই পথচারী। গত ১৯ ও ২০ জুলাই সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন কাজে বের হয়ে বা কাজ শেষে ঘরে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাসাবাড়িতে বসেও অনেক নিরীহ মানুষও গুলিবিদ্ধ হন। বাড্ডায় আট বছরের শিশু ইমন রাস্তায় সংঘর্ষ দেখতে গেলে তার পায়ে গুলি লাগে। এক পা স্বাভাবিক হলেও আরেক পা ভালো না হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। রিকশাচালক সাগরও যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন। বাড্ডা লিংক রোডে সংঘর্ষ দেখতে এসে গুলিবিদ্ধ হন জাকির হোসেন। তার বাম পায়ের ঊরুর নিচের অংশের হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়ে গেছে। তিনি একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। এমন অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে বসে আছেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহের শিমুল আহম্মেদ, কুমিল্লার নাসির উদ্দিন, ঝালকাঠির আবির, শরীয়তপুরের মেহেদী, নড়াইলের শীতল, ভোলার সিফাত, মাদারীপুরের নেসার উদ্দিন, বরগুনার ছাত্রলীগের কর্মী কাওসার, পুলিশ সদস্য রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা মেডিকেলের মর্গের তালিকার বাইরেও আরও একজন সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও দুজন পুলিশ নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। মর্গের তালিকা অনুযায়ী, যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতায় মৃত্যু বেশি। টানা পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ যাত্রাবাড়ী থেকে ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জের মৌচাক পর্যন্ত। গত ১৮ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই এলাকায় ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৮ জন পথচারী, ছয় শিশু, একজন শিক্ষার্থী, দুজন পুলিশ ও একজন সাংবাদিক। এরপর বেশি নিহত হয়েছে বাড্ডা, রামপুরা ও ভাটারা এলাকায়। এ এলাকায় নিহতের সংখ্যা ১১। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী ও বাকি ১০ জন পথচারী। সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট ও আজিমপুর এলাকায় নিহতের সংখ্যা ছয়। তাদের মধ্যে পথচারী চারজন, শিক্ষার্থী একজন ও শিশু একটি। মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকায় মারা গেছে তিনজন। তাদের মধ্যে একটি শিশু, বাকিরা পথচারী। পল্টন ও মিরপুরে দুজন করে চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন পথচারী। একজন মারা গেছেন সংঘর্ষের সময় ছোড়া গুলি বাসায় ঢুকে।
স্বীকৃত মতে- উত্তরায় মারা গেছেন ১১ জন। এ এলাকায় গাজীপুরে সাবেক মেয়রের সহকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও আছেন। তিনি তার ভাইকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন।
গাজীপুরে মারা গেছেন চারজনই পোশাক শ্রমিক। তারা কারখানায় আসা-যাওয়ার সময় মারা গেছেন।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা সাভারে দুই শিক্ষার্থীসহ ১০ জন মারা গেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলায় সহিংসতায় এক শিশু ও আট শ্রমিক মারা গেছেন। সংঘর্ষের সময় ছোড়া গুলি লেগে শিশুটি নিহত হয়েছে বাসার ছাদে।
নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ আছে। তাদের স্বজনরাও দাবি করেছেন, তারা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে অথবা দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বা আঘাত পেয়ে মারা গেছেন। তারা হলেন নিরাপত্তাকর্মী ছাদেক আলী, গাড়িচালক বাচ্চু, মাছ ব্যবসায়ী ওয়াসিম, ফল ব্যবসায়ী নাজমুল, রাজমিস্ত্রি গনি শেখ, ডেলিভারিম্যান সোহাগ, দোকান মালিক মোবারক, হোটেল কর্মচারী আরিফ, শান্ত। সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে শিশু আল আমিন, দোকান কর্মচারী রানা, ফারুক ও বাসার ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিশু রিয়া ঘোষ মারা গেছে। ইন্টারনেট দোকানের কর্মচারী সাজিদুর রহমান, বিক্রয়কর্মী শাজাহান, গার্মেন্টস শ্রমিক জামান মিয়া, ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ওমর ফারুক, মুদির দোকানের কর্মচারী সাইমন, টেইলার্স দোকানের কর্মচারী জাকির হোসেন ও গাড়িচালক সোহেল রানা সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে বা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেলসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েক হাজার লোক। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পথচারী।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, চার শিক্ষার্থীসহ ছয়জন মারা গেছেন। বাকি দুজন পথচারী।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন তান্ডব আর হয়নি। দেশকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। ওই সময় অনেকে মারা গেছেন তা সত্য। আমরাও তথ্য পাচ্ছি, নিরীহ লোকজনও মারা গেছেন। ’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুঁজি করে তৃতীয়পক্ষ (বিএনপি-জামায়াত) তান্ডব চালালেও তাদের কোনো নেতা বা কর্মী হতাহত হয়নি। তারা ছিল প্রশিক্ষিত। তারা এমনভাবে ছিল, সংঘর্ষ হলেও তাদের শরীরে আঁচড়ও লাগেনি। মাঝে নিরপরাধ লোকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ’
পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘সহিংসতার ধরন দেখলেই বোঝা যায়, শিক্ষার্থীরা এই কাজ কিছুতেই করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত এসব অপকর্ম করেছে। তারা পুলিশকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে। তিন পুলিশকে মেরে ফেলেছে। অসংখ্য পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই দুটি দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরাও তান্ডবের কথা স্বীকার করেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। উসকানিদাতাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। ’
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দাঙ্গা দমনের সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ও আইন আছে যেগুলো সারা বিশ্বে মেনে চলা হয়। সেই নিয়ম বাংলাদেশের এবারের বিক্ষোভ দমনের ক্ষেত্রে মানা হয়নি বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, ‘পুলিশ শুট টু কিল’ করেছে। ফলে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন, ‘এই ধরনের আন্দোলন বিশ্বের সব জায়গায় হয় এবং পুলিশের দিক থেকে যে গুলি করা হয় সেটা সাধারণত কোমরের নিচ থেকে পায়ের দিকে হয়। তাতে দুই একটি ইনসিডেন্ট হতে পারে। কিন্তু এখানে বাংলাদেশের কোনো পুলিশকে নিচে গুলি করতে দেখা যায় না। ’
তারা আরো মন্তব্য করেন, ‘ট্রিগার হ্যাপি হয়ে... মানে আমার কাছে বন্দুক আছে, মার এই মনোভাব থেকে মেরেছে এবং সেগুলো বুক, চোখ-মুখ লক্ষ্য করেই মেরেছে। এক নম্বর হলো, এখানে যেটা করার কথা না সেটা করেছে (পুলিশ)। দুই নম্বর হলো, পুলিশ যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেওয়া হয় না। ’
অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘এই সহিংসতায় সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যে এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে সেই এলাকাগুলোতে ভাসমান মানুষ বেশি ছিল। যাদের টাকা বা দলীয় পোস্ট পজিশনের প্রলোভন দিয়ে সহিংসতায় ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কেউ কেউ না বুঝেই অগ্নিসংযোগ করেছেন। আবার কেউ কেউ সংঘর্ষ দেখতে জামায়েত হয়ে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাই এই সংঘর্ষে রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর চেয়ে সাধারণ মানুষ বেশি মারা গেছেন। ’
মানবাধিকারকর্মী ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এই ধরনের হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা অবর্ণনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় না এনে ন্যায্য দাবি তুলে আন্দোলন করা ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো। এগুলো বিস্ময়কর। ’
(ইনশআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যবসা গোটাচ্ছে হাজার হাজার বড় বড় কোম্পানী মূল চালিকা শক্তি ব্যবসায়ীদের মাঝে গভীর হতাশা আর অসন্তোষ জীবন-যৌবন, শ্রমের বিনিময়ে কারখানা গড়ে তুলে এখন বাড়ি-গাড়ি ও গহনা বিক্রি করে শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে যা ব্যবসায়ীদের জন্য বিধ্বস্ত অবস্থা
২৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর। দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদের এই সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে সোনার বাংলাদেশকে আসলেই সোনায় মুড়ে দেয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ!
২৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অসংখ্য সতর্কবার্তা ও নির্দেশনা। অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে দেয়া হবে মদের লাইসেন্স! মদ-জুয়ার প্রসার মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অসন্তুষ্টির কারণ। যার পরিণতি হতে পারে খোদায়ী গযব। নাউযুবিল্লাহ!
২২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে বিএসএফের পুশইন চলছেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, বিজিবি মহাপরিচালক- সবার কণ্ঠে কেবলই নরম সুর। নেই শক্ত ও কঠোর প্রতিবাদ। নেই বীরোচিত পদক্ষেপ।
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
১৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)