মন্তব্য কলাম
নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে না অনলাইন জুয়া-বেটিং-ক্যাসিনো মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া কাজে আসছে না বিটিআরসির কলা-কৌশল নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব, বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব (পর্ব-১)
, ২৩ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
এক সময়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হতো, তা থেকে হাউজি, লাইভ ক্যাসিনো হয়ে এখন ঘরে বসেই মিলছে জুয়ার আসর। হাতে কেবল একটা মোবাইল ফোন থাকলেই হলো। তাই কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না অনলাইন জুয়া। এক ধরনের কৌতূহল থেকে তরুণ প্রজন্ম আকৃষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন জুয়ার সাইটে। পাঁচ-দশ হাজার টাকার বিনিয়োগে শুরু করে লোভে পড়ে একপর্যায়ে খোয়াচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর জুয়ায় বিনিয়োগ থেকে কোটি কোটি টাকা পাঁচার হয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে।
এদিকে শত শত সাইট বন্ধ এবং অপরাধী ধরা পড়ার পরও হাত বাড়ালেই মিলছে আরও অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্ম। উন্মুক্ত নেট দুনিয়া আর দেশের প্রচলিত আইনের মাঝে এর কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও নেই সংশ্লিষ্টদের হাতে। দেশে নিষিদ্ধ বিভিন্ন ওয়েবসাইট আর অ্যাপসের মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্রিকেট ও টেনিস খেলাসহ বিভিন্ন ম্যাচকে ঘিরে চলছে অনলাইন জুয়া খেলা। মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন জুয়া খেলা যায়। ফেসবুক, ইউটিউবে ঢুকলেই মিলছে সেসব সাইট।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের ডিসি বলেছে, এই বিষয়গুলো খুব সহজলভ্য হওয়ায় দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খোঁজখবর রাখছে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছে, বাইরের সাইটগুলো সঠিকভাবে জুয়ার পেমেন্ট করে থাকে। বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠিত সাইট আছে তারা কিন্তু জুয়ার পেমেন্টগুলো করে না। লোকাল লোকদের বসিয়ে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করে একটা সুনির্দিষ্ট সময়ের পর তারা প্রাপ্তটা পায় না। অথবা তারা হারিয়ে ফেলে। প্রতিনিয়ত এসবের বিরুদ্ধে কাজ করছে গোয়েন্দারা। এরপরও ঘটছে জুয়ার বিস্তৃতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ জাতীয় জুয়ার সাইটগুলো নির্ণয় করার জন্য ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স খুব প্রয়োজন। ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের ডিসি সবাই মিলে যদি ঠিকভাবে এগুতে পারি এবং কালচারাল ও ঐতিহ্যগত বিষয়গুলো যদি জোরদার করতে পারি তাহলে এই প্রবণতাগুলো কমানো সম্ভব। জানা গেছে, উন্নত দেশেগুলোতে অনলাইন জুয়া বৈধ। বাংলাদেশে যেসব অনলাইন সাইট সেগুলোর প্রায় সব পরিচালিত হয় বিদেশ থেকে। বাংলাদেশে থাকে ছোট বড় এজেন্ট। জুয়ার এসব সাইটের অধিকাংশ পরিচালনা করা হচ্ছে রাশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে। বিদেশ থেকে পরিচালিত এসব সাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশের এজেন্টরা। লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস -এমএফএস। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়- রাশিয়া থেকে পরিচালিত জুয়ার সাইট বেটউইনার ও ওয়ানএক্সবেট-সহ একাধিক সাইটে বাংলাদেশিদের লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় যুক্ত। এ ছাড়া রয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমেও পেমেন্ট করার সুযোগ। ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় এসব সাইটে। বিটিআরসি বলছে, মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও অপরাধীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন গেম বা জুয়ায় অংশগ্রহণ করে। এজন্য দেশে ও বিদেশে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলে নিবন্ধন করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কার্ড বা অন্য কোনো মাধ্যমে জমা দিয়ে জুয়ায় অংশ নিতে হয়। অনলাইন জুয়াড়িরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে।
মাত্র ২০ টাকা বিনিয়োগ করে হয়েছিলো লাখপতি। পরে সেই নেশায় পড়ে একের পর এক বিনিয়োগ করেছে। তবে, লাভের মুখ আর দেখা হয়নি। উল্টো লোকসান হয়েছে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। অনলাইনে জুয়া খেলার নেশায় পড়ে সব হারানো এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের জীবনের গল্প এটি।
শুধু সে নয়, জুয়ার নেশায় পড়ে নিঃস্ব হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। রাজধানী ঢাকার ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলে, দেশের নামকরা একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করি। এরপর উচ্চ বেতনে বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে কাজ শুরু করি। হঠাৎ এক বন্ধুর মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলার বিষয়টি সামনে আসে। কৌতূহলবশত আমিও পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করি। পরে মাত্র ২০ টাকা দিয়ে খেলতে নেমে একবারে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পাই।
অবাধ তথ্য-প্রযুক্তির নেতিবাচক সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধের বিরাট এ সাম্রাজ্য। পদে পদে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। যেগুলো মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শুধু অর্থ নয়, নৈতিক স্খলনও ঘটছে অনেকের। বারংবার কঠোরতা দেখিয়েও নানা ফাঁকফোকর আর কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের তৎপরতায় শেষপর্যন্ত নীরব পরাজয়ের স্বীকার হতে হচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া), বেটিং (বাজি) আর ক্যাসিনো।
“পুরো বিষয়টি আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। ধীরে ধীরে সেখানে আরও টাকা ইনভেস্ট করি। একপর্যায়ে মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ি। জুয়ার অধিকাংশ খেলা হতো রাতে। ফলে আমি আমার অফিসের কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ি। একটা সময় আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে দূরে সরে যাই। একইসঙ্গে অর্থকড়িও লস হতে থাকে। চাকরি চলে যায়। সবমিলিয়ে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা লস করি। কিন্তু এ আসক্তি থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারছিলাম না। পরে পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় অনেক কষ্টে বের হয়ে আসতে পারি। তবে, ওই লস এখনও আমাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ”
পরে সে যে তথ্য দেয়, তা আসলেই ভয়ংকর। বলেছে, “অনলাইন জুয়া দেশে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, তরুণ-তরুণীসহ অসংখ্য মানুষ এর পেছনে সময় দিচ্ছে, বিপুল অর্থ ব্যয় করছে। একপর্যায়ে তারা আমার মতো নিঃস্ব হচ্ছে। দিনদিন জুয়াড়িদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ”
জানা যায়, ভয়াল এ থাবা থেকে দেশের তরুণ প্রজন্মসহ সব-বয়সীদের রক্ষা করতে বারবার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে, শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখা যায়নি। বন্ধ করে দেওয়ার পরও কোনো না কোনোভাবে ফের বিভিন্ন জুয়া ও বাজির অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম উন্মুক্ত হচ্ছে অনলাইনে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ির কারণে বেশ সতর্ক এসব কার্যক্রমের মূলহোতারা। এখন আর আগের মতো ঢাকঢোল পিটিয়ে এসব ছড়ানো হচ্ছে না। মূলহোতারা থাকছে আড়ালে-আবডালে। বিদেশে থেকে খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পরিচালনা করছে তাদের কার্যক্রম। অন্যদিকে, দেশে থাকা তাদের এজেন্টরা সুকৌশলে করছে সহযোগিতা। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকার মালিক হচ্ছে তারা (দেশীয় এজেন্ট)। এ টাকার প্রায় শতভাগ লেনদেন হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লোভনীয় অফারের নানা ভিডিও এবং বুস্ট করা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধিকাংশ জুয়া বা বেটিং সাইটগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। এসব সাইটে বুঝে না বুঝে একটি মাত্র ক্লিকে অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে শুরুতে সদস্য টানতে অবলম্বন করা হচ্ছে কৌশল। অল্প টাকায় লাখপতি হওয়া বা দ্বিগুণ মুনাফার লোভে অন্ধকার এ জগতে পা বাড়াচ্ছে মানুষ। একসময় লোভে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ করেন তারা। তখনই বেরিয়ে আসে আসল রূপ। মোটা অঙ্কের টাকা মুহূর্তেই হারিয়ে যায় জুয়ার বোর্ডে। লোভ আর নেশায় বুঁদ হওয়ার পরপরই হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে যায় এসব নামসর্বস্ব ওয়েবসাইট। শুরু হয় আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি। অনুসন্ধানে সামনে এসেছে এমন কিছু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশার চিত্র।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












