নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত (৮)
, ২১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আল্লামা ইমাম হযরত আবূ ঈসা মুহম্মদ ইবনে ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ২৭৯ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘তিরমিযী শরীফ’ (প্রকাশনা- বৈরুত, দারু ইহ্য়ায়িত তুরাসিল আরাবী) উনার মধ্যে এবং তক্বিউদ্দীন মুহম্মদ ইবনে আহমদ আল হুসাইনী আল মাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৮৩২ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল ইক্বদুছ ছামীন ফী তারীখিল বিলাদিল আমীন’ (প্রকাশনী: দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ্ বয়রূত) উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَلْـمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَـخْرَمَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ قَالَ وُلِدْتُّ اَنَا وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيْلِ وَسَاَلَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذُو النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ) حَضْرَتْ قُبَاثَ بْنَ اَشْيَمَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَخَا بَنِـىْ يَعْمَرَ بْنِ لَيْثٍ اَاَنْتَ اَكْبَرُ اَمْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَكْبَرُ مِنِّـىْ وَاَنَا اَقْدَمُ مِنْهُ فِـى الْمِيْلَادِ وُلِدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيْلِ
অর্থ: “হযরত মুত্তালিব ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে ক্বইস ইবনে মাখরামাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার সম্মানিত পিতা (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ক্বইস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার) থেকে, উনার সম্মানিত পিতা উনার দাদা (সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বইস ইবনে মাখরমাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার) থেকে বর্ণনা করেন। (সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বইস ইবনে মাখরমাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমুল ফীল অর্থাৎ হস্তি বাহিনী ধ্বংস হওয়ার বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, আমিও সেই বছর বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেছি। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ক্বুবাস ইবনে আশিয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে প্রশ্ন করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বড় নাকি আপনি? তিনি উত্তরে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার থেকে অনেক বড়। আর দুনিয়ার যমীনে আগমনের দিকে থেকে আমি উনার পূর্বে বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘আমুল ফীল অর্থাৎ হস্তি বাহিনী ধ্বংস হওয়ার বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَلْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَـخْرَمَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ قَالَ وُلِدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيْلِ وَبَيْـنَ الْفِيْلِ وَبَيْـنَ الْفِجَارِ عِشْرُوْنَ سَنَةً قَالَ وَسُـمِّـىَ الْفِجَارَ لِاَنَّهُمْ فَجَرُوْا وَاَحَلُّوْا اَشْيَاءَ كَانُوْا يُـحَرِّمُوْنَهَا وَبَيْـنَ الْفِجَارِ وَبَيْـنَ بِنَاءِ الْكَعْبَةِ خَـمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً وَبَيْـنَ بِنَاءِ الْكَعْبَةِ وَمَبْعَثِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَـمْسُ سِنِيْـنَ وَبُعِثَ وَهُوَ ابْنُ اَرْبَعِيْـنَ سَنَةً
অর্থ: “হযরত মুত্তালিব ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে ক্বইস ইবনে মাখরামাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার সম্মানিত পিতা (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ক্বইস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার) থেকে, উনার সম্মানিত পিতা উনার সম্মানিত দাদা (সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বইস ইবনে মাখরমাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার) থেকে বর্ণনা করেন। (সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বইস ইবনে মাখরমাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমুল ফীল অর্থাৎ হস্তি বাহিনী ধ্বংস হওয়ার বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! আর আমুল ফীল অর্থাৎ হস্তি বাহিনী ধ্বংস হওয়ার বছর এবং (হারবুল) ফিজার এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ২০ বছর। (সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বইস ইবনে মাখরমাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) তিনি বলেন, (হারবুল) ফিজার-এর নামকরণ করা হয় এ কারণে যে, তারা গুনাহ্ করতো এবং যা তাদের জন্য হারাম করা হয়েছিলো তার অনেক বিষয়কে তারা হালাল করতো। না‘ঊযুবিল্লাহ! (হারবুল) ফিজার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ পুনঃনির্মাণ এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ১৫ বছর। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ পুনঃনির্মাণ এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াতী এবং রিসালতী শান মুবারক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছেন ৫ বছর। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াতী এবং রিসালতী শান মুবারক আনুষ্ঠানিকভাবে যখন প্রকাশ করা হয়, তখন উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৪০ বছর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (মু’জামুছ ছাহাবাহ ২/৩৪৯, আল মু’জামুল কাবীর লিত্ ত্ববারনী ১৮/৩৪২)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এক নজরে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ অংশগ্রহণকারী, এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশকারী, মাল-সম্পদ ব্যয়কারী এবং নেক আমলকারী উনাদের সকলের প্রতি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ সুসংবাদ মুবারক
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বালা-মুছিবত থেকে উদ্ধার পেতে ঘরে ঘরে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা অপরিহার্য
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে গরিব ও ছিন্নমূল মানুষদেরকে খাদ্য, বস্ত্র ও অর্থ বিতরণের ব্যবস্থা করা হোক
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে যালিম শাসক কুদরতীভাবে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেল
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন সম্মানিত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চোখের সামনেই মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগত উন্মুক্ত, তাহলে সৃষ্টির যিনি মূল; নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক কি হবে?
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ আমল মুবারক
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাঁরা খালছিভাবে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি সাইয়্যদিু সাইয়্যদিলি আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবনে, উনাদরে কোনো হসিাব নকিাশ হবে না। উনারা বনিা হসিাবে সম্মানতি জান্নাত মুবারক-এ প্রবশে করবনে
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা একই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কায়িনাত বা মাখলুকাত সৃষ্টির মহান উপলক্ষ
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে আহলান-সাহলান বা স্বাগতম জানাতে মিডিয়াগুলো নিরব কেন?
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৯৮% মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সরকার কতদিনের ছুটি দিচ্ছে, দেশবাসী তা জানতে চায়
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)