নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে উটের আরজি
এডমিন, ০৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) ইতিহাস

একবার একটি উট সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালিন, খ্বতামুন নাবিয়্যিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত-মহাপবিত্র খিদমত মুবারকে এসে অভিযোগের ভাষায় কি যেন বললো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই উটটিকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করলেন, তোমার অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে তো ভালই, আর যদি মিথ্যা হয় তবে এর পরিণাম তোমাকে ভোগ করতে হবে। আমি মজলুমকে আশ্রয় প্রদান করি। তাই আমি তোমায় আশ্বাস দিচ্ছি।
এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত তামীম দারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি। উটের সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাক্যালাপ মুবারক বিনিময়ের বিষয়টি তিনি লক্ষ্য করলেন এবং এ বিষয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে বিষয়টি বিস্তারিত জানার আরজি পেশ করলেন।
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, এই উটের মালিক দীর্ঘদিন এর শ্রম নিয়েছে, বিভিন্ন কাজে খাটিয়েছে। এখন বৃদ্ধ হয়ে পড়ায় শ্রম দিতে পারে না-এ অভিযোগে তাকে জবাই করতে চায়। জবাই হওয়ার ভয়ে উটটি আমার নিকট এসেছে।
ইতোমধ্যে উটের মালিক সেখানে আসলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উটের মালিকের উদ্দেশ্যে ইরশাদ মুবারক করলেন, তোমার বিরুদ্ধে তোমার উট অভিযোগ জানিয়েছে। এই উট দীর্ঘদিন তোমার সেবা করেছে। তুমি নাকি তাকে এখন জবাই করে ফেলতে চাও? উটটির মালিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে বেয়াদবী-গোস্তাখি ক্ষমা চেয়ে জানালেন, উটটি আর কোন রকম শ্রম দেয়ার উপযুক্ত নয়, কাজেই জবাই করতে চেয়েছিলাম আমি।
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, জীবন-যৌবন, শক্তি সামর্থ্য দিয়ে সে এতদিন তোমার সেবা করেছে, আর এখন জরাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় তুমি তাকে জবাই করতে চাও। তোমার কর্তব্য তার প্রতি সদয় হওয়া। সে জবাই হতে চায় না এবং সে তোমার প্রতি করুণ আকুতি জানিয়েছে। কিন্তু সেদিকে কর্ণপাত করোনি তুমি। তুমি তার ফরিয়াদ বুঝতে পারোনি।
এই বলে তিনি সেই উটের মালিকের কাছ হতে ১০০ দিনারে উটটি খরিদ মুবারক করলেন এবং উটটিকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে তোমাকে সকল প্রকার ভয়ভীতি ও অধীনতা হতে মুক্ত করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ!