পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন আমল করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
, ০৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

হযরত ইমাম জামালুদ্দীন আবুল ফারজ আব্দুর রহমান ইবনে আবুল হাসান বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি হিসেবে মশহূর। উনার লিখিত একখানা কিতাব যার নাম ‘বুস্তানুল ওয়ায়েজীন ওয়া রিয়াদ্বুস সামি‘য়ীন’। তিনি এই কিতাবের একটি অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন,مَجْلِسُ فِيْ فَضْلِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ وَمَا جَاءَ فِيْهِ অর্থাৎ পবিত্র আশূরা শরীফ উনার ফযীলত এবং এ বিষয়ে যা কিছু বর্ণিত রয়েছেন সেই বিষয়ে মজলিস। উক্ত অধ্যায়ে তিনি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার আমলের ব্যাপারে একখানা হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اِغْتَسَلَ يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ لَمْ يَمْرَضْ إِلَّا مَرَضَ الْمَوْتِ وَمَنْ اِكْتَحَلَ بِالْاِثْمِدِ يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ لَمْ تَرْمَدْ عَيْنَاهُ فِيْ تِلْكَ السَّنَةِ كُلَّهَا وَمَنْ عَادَ مَرِيْضًا يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ فَكَأَنَّمَا عَادَ جَمِيْعَ وَلَدِ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَعَلٰى جَمِيْعِ الْأَنْبِيَاءِ الْكِرَامِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَمَنْ سَقٰى مُؤْمِنًا شَرْبَةً مِّنْ مَّاءٍ يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ فَكَاَنَّـمَا سَقٰى جَمِيْعَ ذُرِّيَّةِ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَانُوْا عُطَاشًا
অর্থ: পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন গোসল করা প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন গোসল করবে, মৃত্যু ব্যতীত ঐ ব্যক্তির আর কোনো রোগ হবেনা এবং যে ব্যক্তি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন ইসমিদ সুরমা চোখে লাগাবে ঐ বছর তার চোখে কোন রোগ হবেনা। যে ব্যক্তি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবে, সে যেন সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম উনার সমস্ত সন্তান উনাদেরকে এবং সমস্ত হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দেখতে গেলো। যে ব্যক্তি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন কোন মু’মিন ব্যক্তিকে এক ঢোক পানি পান করাবে, সে যেন হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম উনার সমস্ত পিপাসার্ত সন্তান উনাদেরকে পানি পান করালো। ” সুবহানাল্লাহ! (বুস্তানুল ওয়ায়েজীন ওয়া রিয়াদ্বুস সামি‘য়ীন পৃষ্টা নং ২৩৮-২৩৯)
-হাফিজ মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খালি চোখে চাঁদ দেখে মাস শুরু করা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশ মুবারক
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পূর্ব গণনাকৃত বর্ষপঞ্জী দিয়ে মাস শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (৬)
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশি বেশি মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশি বেশি পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১)
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছহিবে নিসাব প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরবানী দেয়া ওয়াজিব (১)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কাফিরদের রচিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মুসলমানদের জন্য নয় (২)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মীলাদ শরীফ বিষয়ে প্রথম দিকে যারা কিতাব রচনা করেছেন উনাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাফিয হযরত আবুল খত্ত্বাব ইবনে দাহিয়্যাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ছিলেন পবিত্র হাদীছ শাস্ত্রের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)