পবিত্র কুরবানীর সম্মান-মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের উপর ফরয
দেশের কোটি কোটি মুসলমান বেঁচে থাকতে- পবিত্র কুরবানীর উপর কারো হস্তক্ষেপ কখনোই বরদাশত করা হবে না মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদে কুরবানীবিরোধী সর্ব প্রকার ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রকারীরা নিশ্চিহ্ন হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ
, ০৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৮ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
প্রথমে তারা কুরবানীর পশুতে বিষ আছে, অ্যানথ্যাক্স আছে ইত্যাদি বলে বলে মানুষের মনে কুরবানীর গরু ছাগল নিয়ে ভীতি ছড়ানো শুরু করে।
তার সাথে তারা এটাও বলতে শুরু করে, কুরবানীর টাকাগুলো গরিবদের মাঝে দান করে দিন। নাউযুবিল্লাহ!
এরপর তারা যানজটের কথা বলে কুরবানীর পশুর হাটগুলোকে শহরের বাইরে নেয়ার কথা বলে।
এতহাটের দরকার নেই, শুধু শুধু কুরবানীর পশুর হাট বাড়ানোর কি দরকার? কুরবানীর হাটের সংখ্যা কমানো হোক।
আর এখন বলা শুরু হলো- যেখানে সেখানে কুরবানীর পশু জবাই না করে সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করুন।
সাথে এটাও বলা হচ্ছে ১৮ বছর বয়সের নিচে কাউকে জবাই করতে দেয়া হবে না, এতে তারা সন্ত্রাসীপনা শিখবে। নাউযুবিল্লাহ!
....এভাবে যে তারা ধারাবাহিকভাবে আরো অনেক প্লান করে রেখেছে, এটাতো বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও তাদের এসব প্লানগুলোর একটিও আমাদের এই দেশে তারা পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে পারে নি। এবং পারবে না ইনশাআল্লাহ। তাদের এই না পারার পেছনে অনেকগুলো কারণও আছে। সবচাইতে বড় কারণ হলো মহান আল্লাহ পাক উনার অসীম রহমত, দয়া ইহসান এ দেশের মুসলমানদের উপর এখনো বহাল আছে। সুবহানাল্লাহ!
তাই মুসলমানদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো মহান আল্লাহ পাক উনার এই রহমত বরকত দয়া ইহসানকে সবসময় ধরে রাখা। এটাই হলো মুসলমানদের শক্তি। এই শক্তি যতদিন থাকবে ততদিন কোনো শক্তিই মুসলমানদেরকে পরাস্ত করতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার এই রহমত বরকত দয়া ইহসান সবসময় পেতে হলে মুসলমান হিসেবে তাকেও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এই বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯৮ ভাগ মুসলমান হওয়ার পরও কুরবানীবিরোধী চক্রগুলো, ইসলামবিদ্বেষী চক্রগুলো কিন্তু প্রকাশ্যেই ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলে যাচ্ছে, পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে। তারা এতদূর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে যে, তারা সরকারের কিছু লোকদেরও হাত করে ফেলেছে। তাদের মাধ্যমে জোর করে কুরবানীবিরোধী ইসলামবিরোধী আইন কানুন জারি করার চেষ্টা করছে। নাউযুবিল্লাহ! নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানীর পশু জবাই, কুরবানীর পশুর হাট কমানো, জবাইকারীর বয়স ১৮ করা -কুরবানীর বিরুদ্ধে সরকারের ঘোষিত এই নির্দেশনাগুলো কিন্তু তারা প্রশাসনকে হাত করেই করছে। নাউযুবিল্লাহ!
মুসলমানদেরটা খেয়ে, মুসলমানদের দেশে থেকে, মুসলমানদেরই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে আইন? কতবড় দুঃসাহস তাদের?
এখন কথা হলো- মুনাফিকগুলি কিন্তু ঠিকই তাদের প্লানগুলো এক এক করে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে এ দেশের মুসলমানদের অবস্থান কোথায়? তারা তো এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো কিছু করছে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হচ্ছে না। মুসলমানরা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে এভাবে চুপ থাকে তাহলে কি করে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত দয়া ইহসান ইত্যাদি পাওয়ার আশা করতে পারে? না, আশা করতে পারে না। তবে অবশ্যই এটা হতে দেয়া যাবে না। মুসলমানদেরকে অবশ্য অবশ্যই প্রতিবাদী হতে হবে। মুসলমানকে তার মুসলমানিত্ব প্রকাশ করতে হবে।
মুসলমানদের উচিত তাদের মুসলমানিত্বকে ফুটিয়ে তোলা, সেটাকে প্রকাশ করা। মুসলমান হিসেবে তার পবিত্র ঈমানী জযবায় বলীয়ান হয়ে সর্ব প্রকার ইসলামবিদ্বেষী কুচক্রীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া। প্রতেকেই যার যার অবস্থান থেকে, যার যার সামর্থ্য অনুসারে প্রতিবাদ শুরু করুন, এসমস্ত চক্রান্তুগুলো নিয়ে সবার সাথে বলাবলি করুন, লেখালেখি করুন, ইন্টারনেটে হোক বা যেভাবে হোক। তাহলে অবশ্যই আশা করা যায় মহান আল্লাহ পাক উনার আরো বেশি বেশি অসীম রহমত দয়া ইহসান মুসলমানদের উপর নাযিল হবে। এবং এতে করে মুসলমানরা সর্ব প্রকার ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও যালিম শাসকদের থেকে হিফাযত হতে পারবে। ইনশাআল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে বোবা শয়তান তথা অন্যায় দেখে চুপ থাকার বদ খাছলত থেকে রক্ষা করুন। এবং আমাদেরকে আরো বেশি বেশি ঈমানী জযবা ও সাহস দান করুন। সমস্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করার তাওফীক দান করুন। সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন যত কুরবানীবিরোধী ইসলামবিদ্বেষী অমুসলিম বিধর্মী আছে তাদের সকলকে এই দেশ থেকে এই যমীন থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেন, তাদের অস্তিত্বকে মিটিয়ে দেন, তাদেরকে ধ্বংস করে দেন। আমীন আমীন আমীন।
-মুহম্মদ জালালুদ্দীন রহমানী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












