পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
, ৩০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম

অর্থাৎ কিছু মানা আর কিছু না মানা মানুষের প্রাচীন প্রবৃত্তি। কিন্তু এটা ঈমানদারগণ উনাদের পরিচয় নয়।
মুসলমান হিসেবে থাকতে হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণভাবেই মানতে হবে। শুধু সংবিধানে কথিত রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ বা ‘বিসমিল্লাহ’ লিপিবদ্ধ রাখলেই চলবে না; পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতাও ঢোকানো যাবে না। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! আপনারা পরিপূর্ণভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশ করুন।”
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে শুধু পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার কথাই বলা হয়নি; পাশাপাশি পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ই যে পরিপূর্ণ এবং একমাত্র মনোনীত দ্বীন, তাও পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান থেকে আরম্ভ করে সর্বস্তর তথা সর্বসাধারণ পর্যন্ত একটা বিষয় খুব স্পষ্টভাবে এবং অনিবার্যভাবে অনুধাবন করতে হবে যে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই অন্যান্য ধর্মের মতো নয়’।
কাজেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতার অধীন হতে পারে না।
উল্লেখ্য, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্যান্য ধর্ম পালনের যে অধিকার দেয়া হয় তা দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের পরিবেশ নিশ্চিত হয় না। তাছাড়া পবিত্র দ্বীন ইসলাম যে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্যপ্রাপ্ত ও শ্রেষ্ঠ এবং একমাত্র দ্বীন তা ধর্মনিরপেক্ষতা দ্বারা প্রতিফলিত হয় না।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তিনি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত এবং সত্য দ্বীন ইসলাম দিয়ে পাঠিয়েছেন। মানবরচিত সমস্ত জীবনব্যবস্থার উপরে প্রাধান্য-শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে।”
ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যারা সব ধর্মাবলম্বীর সমান ধর্মীয় অধিকারের কথা বলে থাকে; তাদের নিকট এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের জ্বলন্ত প্রশ্ন যে- তারা মুসলমানদেরকে তাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের অধিকার স্বীকার করে কীনা?
* সোজা ভাষায়- এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী তাদের সম্মানিত দ্বীন পালনের নিশ্চয়তা পাবেন কীনা?
* পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ পাবেন কীনা?
* মুসলমানদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করা হবে কীনা?
কারণ একজন মুসলমান যদি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ যথাযথ পালনের আবহ ও অবকাশ না পান, বরং পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আদেশ পালন অথবা প্রতিফলিত করতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হন; তাহলে তার ধর্মীয় অধিকার দেয়া হচ্ছে- এটা কী করে বলা যায়?
যদিও বেশ জোরেশোরে এবং খুবই দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সব ধর্মের সমান অধিকার।’ কিন্তু বাস্তবে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা হলো- মুসলমানদের জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ব্যক্তি জীবনের সামান্য কিছু অংশে সীমাবদ্ধ রেখে সমাজ ও ব্যবহারিক সব দিক থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধ থেকে তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন থেকে মুক্ত রাখা। নাঊযুবিল্লাহ!
যে কারণে আমেরিকায় ওবামা গির্জায় বাইবেল ধরে শপথ করলেও তা ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষতি করে না। ইংল্যান্ডের রাজতন্ত্রে রাজা খ্রিস্টধর্ম বাদ দিলে সে ‘রাজা’ পদ হারাবে- এ বিধান থাকলেও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষতি হয় না। অপরদিকে ফ্রান্স বোরকা পরলে জরিমানার বিধান করলেও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ যায় না।
কিন্তু এদেশের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করলে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা জাহিলের মতো হৈ চৈ করে উঠে। নাঊযুবিল্লাহ! ‘পর্দা পালন করতে বাধ্য করা যাবে না’- এ ধরনের ইসলামবিরোধী রুলিংও দেয়া হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
তাদের অজ্ঞতার জন্যই তারা প্রশ্ন করে রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কী? তাহলে কী তারা রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলার’ এদেশে নতুন করে প্রশ্ন তুলবে- রাষ্ট্রের আবার ভাষা কী? রাষ্ট্রের যদি ধর্মই না থাকে, তবে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানরা ধর্মীয় বিশেষ দিনে বাণী দেয় কেন?
রাষ্ট্রের যদি ধর্মেরই প্রয়োজন না হয়; তাহলে রাষ্ট্রীয় তথ্যে ধর্মের পরিচয় দিতে হয় কেন?
রাষ্ট্রের যদি ধর্মই না থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের ধর্ম মন্ত্রণালয় রয়েছে কেন?
রাষ্ট্র তো কোনো বায়বীয় ধারণা নয়। রাষ্ট্রের একটা ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে। এই সীমারেখার মধ্যেই দেশপ্রেমের উন্মেষ হয়। এজন্য যদি জাতীয় পতাকা থেকে জাতীয় মসজিদ থাকতে পারে, তাহলে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম কি করে অবমূল্যায়িত হতে পারে?
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত, আচার, সংস্কৃতি যদি প্রাধান্যের সাথে প্রতিফলিত হয়; তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মও কেন প্রতিফলিত হবে না?
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার অগ্নিকা- সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজীবন ইসকন সদস্য, সমকামী প্রবক্তা, নিজ দলে বিতর্কিত, মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত এবং মুসলিম বিদ্বেষী কট্টর মোদী ও আর.এস.এম-এর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত, জঘণ্য “উগ্রবাদী জাতি হিন্দু তুলসী” মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সে তার ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ চরম মাত্রায় প্রকাশ করেছে। অথচ ভারতে মুসলমানদের কচু কাটা এবং দ্বীন ইসলাম পালনে চরম নির্যাতন চালানো হলেও তুলসী মহা নিশ্চুপ রয়েছে। তাদের পৈশাচিক দৃষ্টিতে, মুসলমানের কোন মানবাধিকার থাকতে নেই।
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একদিন বাড়তি নিলেই এবার ঈদের ছুটি হয় টানা নয় দিন। তবে এবারের ঈদে ছুটি ১১ দিনও সম্ভব উল্লেখ্য নির্বাহী আদেশে নয় সাংবিধানিক ভাবেই রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এদেশে পবিত্র ঈদ উনার ছুটি কমপক্ষে ১৫ দিন হওয়া উচিত।
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন এগিয়ে আসায় এবার ভারত নূতন রূপে বিরোধীতায় মেতেছে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে জনৈক উপদেষ্টার কুখ্যাত পরিবেশবাদী সংগঠন থেকে আরম্ভ করে অখ্যাত রাম-বাম পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এখন তিস্তা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যাকাতের নামে আলাদা নিম্নমানের কাপড় তৈরী ও সরবরাহ বন্ধ এবং লোকদেখানো যাকাত দেয়ার প্রবণতা প্রতিহত করতে হবে। যাকাতের কাপড় নিতে গত ৩৫ বছরে নিহত ২৫৪ জন। পবিত্র যাকাতের কাপড়ের নামে সিন্ডিকেট এবং নাম কামানো পবিত্র যাকাতকে অবমাননা করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)