মন্তব্য কলাম
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
, ২৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তবে কী তোমরা কিতাবের কিছু অংশ গ্রহণ করবে? এবং কিছু অংশ অস্বীকার করবে?”
অর্থাৎ কিছু মানা আর কিছু না মানা মানুষের প্রাচীন প্রবৃত্তি। কিন্তু এটা ঈমানদারগণ উনাদের পরিচয় নয়।
মুসলমান হিসেবে থাকতে হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণভাবেই মানতে হবে। শুধু সংবিধানে কথিত রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ বা ‘বিসমিল্লাহ’ লিপিবদ্ধ রাখলেই চলবে না; পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতাও ঢোকানো যাবে না। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! আপনারা পরিপূর্ণভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশ করুন। ”
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে শুধু পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার কথাই বলা হয়নি; পাশাপাশি পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ই যে পরিপূর্ণ এবং একমাত্র মনোনীত দ্বীন, তাও পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান থেকে আরম্ভ করে সর্বস্তর তথা সর্বসাধারণ পর্যন্ত একটা বিষয় খুব স্পষ্টভাবে এবং অনিবার্যভাবে অনুধাবন করতে হবে যে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই অন্যান্য ধর্মের মতো নয়’।
কাজেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতার অধীন হতে পারে না।
উল্লেখ্য, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্যান্য ধর্ম পালনের যে অধিকার দেয়া হয় তা দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের পরিবেশ নিশ্চিত হয় না। তাছাড়া পবিত্র দ্বীন ইসলাম যে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্যপ্রাপ্ত ও শ্রেষ্ঠ এবং একমাত্র দ্বীন তা ধর্মনিরপেক্ষতা দ্বারা প্রতিফলিত হয় না।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তিনি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত এবং সত্য দ্বীন ইসলাম দিয়ে পাঠিয়েছেন। মানবরচিত সমস্ত জীবনব্যবস্থার উপরে প্রাধান্য-শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে। ”
ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যারা সব ধর্মাবলম্বীর সমান ধর্মীয় অধিকারের কথা বলে থাকে; তাদের নিকট এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের জ্বলন্ত প্রশ্ন যে- তারা মুসলমানদেরকে তাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের অধিকার স্বীকার করে কীনা?
* সোজা ভাষায়- এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী তাদের সম্মানিত দ্বীন পালনের নিশ্চয়তা পাবেন কীনা?
* পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ পাবেন কীনা?
* মুসলমানদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করা হবে কীনা?
কারণ একজন মুসলমান যদি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ যথাযথ পালনের আবহ ও অবকাশ না পান, বরং পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আদেশ পালন অথবা প্রতিফলিত করতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হন; তাহলে তার ধর্মীয় অধিকার দেয়া হচ্ছে- এটা কী করে বলা যায়?
যদিও বেশ জোরেশোরে এবং খুবই দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সব ধর্মের সমান অধিকার। ’ কিন্তু বাস্তবে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা হলো- মুসলমানদের জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ব্যক্তি জীবনের সামান্য কিছু অংশে সীমাবদ্ধ রেখে সমাজ ও ব্যবহারিক সব দিক থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধ থেকে তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন থেকে মুক্ত রাখা। নাঊযুবিল্লাহ!
যে কারণে আমেরিকায় ওবামা গির্জায় বাইবেল ধরে শপথ করলেও তা ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষতি করে না। ইংল্যান্ডের রাজতন্ত্রে রাজা খ্রিস্টধর্ম বাদ দিলে সে ‘রাজা’ পদ হারাবে- এ বিধান থাকলেও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষতি হয় না। অপরদিকে ফ্রান্স বোরকা পরলে জরিমানার বিধান করলেও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ যায় না।
কিন্তু এদেশের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করলে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা জাহিলের মতো হৈ চৈ করে উঠে। নাঊযুবিল্লাহ! ‘পর্দা পালন করতে বাধ্য করা যাবে না’- এ ধরনের ইসলামবিরোধী রুলিংও দেয়া হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
তাদের অজ্ঞতার জন্যই তারা প্রশ্ন করে রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কী? তাহলে কী তারা রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলার’ এদেশে নতুন করে প্রশ্ন তুলবে- রাষ্ট্রের আবার ভাষা কী? রাষ্ট্রের যদি ধর্মই না থাকে, তবে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধানরা ধর্মীয় বিশেষ দিনে বাণী দেয় কেন?
রাষ্ট্রের যদি ধর্মেরই প্রয়োজন না হয়; তাহলে রাষ্ট্রীয় তথ্যে ধর্মের পরিচয় দিতে হয় কেন?
রাষ্ট্রের যদি ধর্মই না থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের ধর্ম মন্ত্রণালয় রয়েছে কেন?
রাষ্ট্র তো কোনো বায়বীয় ধারণা নয়। রাষ্ট্রের একটা ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে। এই সীমারেখার মধ্যেই দেশপ্রেমের উন্মেষ হয়। এজন্য যদি জাতীয় পতাকা থেকে জাতীয় মসজিদ থাকতে পারে, তাহলে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম কি করে অবমূল্যায়িত হতে পারে?
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত, আচার, সংস্কৃতি যদি প্রাধান্যের সাথে প্রতিফলিত হয়; তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মও কেন প্রতিফলিত হবে না?
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে বিএসএফের পুশইন চলছেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, বিজিবি মহাপরিচালক- সবার কণ্ঠে কেবলই নরম সুর। নেই শক্ত ও কঠোর প্রতিবাদ। নেই বীরোচিত পদক্ষেপ।
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
১৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিবছর বেকার হয় ১০ লাখ তরুণ প্রতিবছর শ্রমবাজারে তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রবেশ করে ২৪ লাখ তরুণ। প্রতি বছর সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১ লাখেরও কম সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিলের জন্য উপদেষ্টা সরকার গঠন হলো। আর সে উপদেষ্টা সরকার ৩৪ লাখ কর্মজীবির আশ্রয়স্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা ব্যবসাকে অন্তর্বর্তী সরকার দিন দিন অন্তরহীন করে যাচ্ছে।
১২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন ক্ষতিকারক এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফারাক্কা বাঁধের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল বিভিন্ন বাঁধ, ব্যারেজ আর ড্যাম তৈরী করে বাংলাদেশকে পানিশুন্য করার জোরদার পাঁয়তারা করছে ভারত মরণ ফাঁদ ফারাক্কার বিরুদ্ধে তীব্র জনমত ও জাতীয় ঐক্য তৈরী করে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কার্যকর কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)