পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না।
ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
, ১৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৬ বছরে প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি হত্যাকান্ড ঘটেছে। যেগুলো বেশিরভাগই নাটক সিনেমা দেখে প্ররোচিত হয়ে ঘটানো হয়েছে। সারা দেশে প্রতিনিয়ত যেসব আত্মহত্যা, হত্যা, নির্যাতন, সম্ভ্রমহরণ কিংবা অপহরণের ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে- দায়ী ব্যক্তি কোনো না কোনোভাবে সিনেমা বা নাটক থেকে এমন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক অপরাধগুলোকে মনে হয় অপরাধধর্মী নাটক ও সিনেমার অনুকরণ। বিশেষ করে, হত্যা, সম্ভ্রমহরণ বা পূর্বপরিকল্পিত কোনো অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অপরাধীরা এসব নাটক ও সিনেমায় দেখা নানা কৌশল অবলম্বন করছে। অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আজ প্রায় সবাই সব কিছু দেখতে-জানতে পারছে। এটি যেমন ভালো, তেমনি ভয়ঙ্করও। কারণ এখন অপরাধ করার আগে অপরাধীরা আধুনিক কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে জানছে এসব মাধ্যমে। তাছাড়া ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে দেখানো নানা সিরিয়াল দেখে নারীরা নানামুখী সম্পর্কের ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠছে। ফলে হত্যার মতো অপরাধ বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয়/হিন্দির কুপ্রভাব নিয়ে শহর-গ্রাম সর্বত্র এখন অভিভাবকরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। প্রত্যন্ত গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে ডিশ সংস্কৃতি। অনেকে খুশির বশে ডিশ লাইন নিচ্ছে। অনেকে নিচ্ছে কথিত আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলার জন্য। বাজারে, রাস্তার মোড়ে গড়ে উঠা ক্লাব, সমিতি ও দোকানে নেয়া হচ্ছে ডিশ লাইন। আর সব জায়গায় চলছে ভারতীয়/হিন্দি চ্যানেলের রাজত্ব। ছাত্ররা হচ্ছে পড়া-লেখা বিমুখ। কমছে স্কুল-কলেজে হাজিরার হার। খারাপ হচ্ছে পরীক্ষার রেজাল্ট। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপকর্মে। ভারতীয়/হিন্দির কুপ্রভাবে দশম শ্রেণীর ছাত্র অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য মায়ের গলায় ছুরি চালায়।
সারাবিশ্বে সংখ্যার বিচারে মুশরিক নিয়ন্ত্রিত ভারত এখন খুনের ঘটনায় শীর্ষে রয়েছে। আর সম্ভ্রমহরণে রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ক্রাইম ২২টি অপরাধপ্রবণ দেশের উপর তথ্য সংগ্রহ করে এক একটি প্রতিবেদন করে।
খোদ ভারতীয়দের মাঝে অ্যালকোহল/মদ আসক্তি বৃদ্ধি জন্য এখন দায়ী করা হচ্ছে দেশটির ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউডকে। বলিউডের ছবিগুলো ভারতীয় যুব সমাজের অ্যালকোহল/মদ আসক্তির অভ্যাসকে সরাসরি ইন্ধন যোগাচ্ছে। দুবাইয়ে কার্ডিওলজি বিষয়ক ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। জরিপে দেখা যায়, সার্বিকভাবে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী (যাদের বয়স ১২ থেকে ১৬-এর মধ্যে) ইতোমধ্যে অ্যালকোহল/মদ সেবন করছে। মদ সেবনকারীদের মধ্যে যারা বলিউডের সিনেমা দেখেনি তাদের চেয়ে বলিউডের সিনেমা দেখা শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যালকোহল (মদ) সেবনের মাত্রা ২ দশমিক ৭৮গুণ বেশি। হেলথ রিলেটেড ইনফরমেশন ডিসারমিনেশন অ্যাগেইনস্ট ইয়ুথ (এইচআরডিএওয়াই) এর কর্মকর্তা ড. জি.পি নজর বলেছে, এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে- ভারতীয় যুবকদের মাঝে মদের বিস্তারে সরাসরি ভূমিকা রাখছে বলিউডের ছবিগুলো।
বাংলাদেশে ভারতীয় হিন্দি নাটক-সিনেমা-সিরিয়ালের ব্যাপক বিস্তার সম্পর্কে বলতে হয়- পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সে সংস্কৃতিও নিয়ন্ত্রণ করে। এটিই সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের বৈশিষ্ট্য। তাছাড়া ডিফিউশন তত্ত্ব অনুযায়ী একটি সংস্কৃতি শক্তিশালী হলে তার প্রভাব আশে-পাশের অঞ্চল বা দেশের উপরও পড়ে থাকে। এ অঞ্চলে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা এজেন্ট হিসাবে বেছে নিয়েছে ভারতকে। সেজন্য দেখা যায়- বিশ্বব্যাংক আইএমএফ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের স্বার্থে এক সুরে কথা বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এসব প্রতিষ্ঠানও ভারতে গ্যাস রফতানির কথা বলে, ট্রানজিট প্রদানের কথা বলে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের এত তিক্ততা, ট্রানজিট, গ্যাস, করিডোর না দেয়ার দাবি থাকলেও বাংলাদেশে ভারতের হিন্দি/হিন্দু অপসংস্কৃতির আগ্রাসনের কুপ্রভাব নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম। আর সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিচালিত হওয়ার কথা ছিলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আদর্শ মোতাবেক। কারণ একমাত্র সম্মানিত দ্বীন ইসলামই পারে রাষ্ট্রে শান্তি ও প্রশান্তি নিশ্চিত করতে। কিন্তু তা না হওয়ার কারণে এখন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম টিভি, নাটক, সিনেমা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। আর এক হারাম থেকে সৃষ্টি হচ্ছে আরো লাখো লাখো কোটি কোটি হারাম। হারামে ডুবে যাচ্ছে জাতি। এমতাবস্থায় যদি সরকার দেশের পরিচালনা পদ্ধতি ইসলামীকরণ করে তাহলেই কেবল এই বিশৃঙ্খলা অপসংস্কৃতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করলে এসব বিদেশী অপসংস্কৃতি বাংলাদেশে অবশ্যভাবে বর্জনীয় হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












