পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্নশীল না হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দোহাই দানকারীরা সুযোগ নিবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
, ১০ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়

এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী সর্বাগ্রে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে চায়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে মনে-প্রাণে লালন করে। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধারণ করে। বহন করে। বিস্তার করে।
অনেক সময় সুরত-শেকেলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নিদর্শন না থাকলেও অন্তরে ঠিকই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বীজ লুকায়িত থাকে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জজবা অটুট থাকে।
এ কারণে দেশে হারাম সংস্কৃতির বেসামাল পরিবেশে অনেকে ভেসে গেলেও এক সময় তারা তটস্থ হয়। কাজেই নাট্যমঞ্চ বা সংষ্কৃতি মঞ্চের সামনে ভীড়, সিনেমা হলগুলিতে প্রচুর দর্শক, টিভি সেটগুলোর সামনে অগণিত দর্শক ইত্যাদি দেখে কল্পনা করার কারণ নেই যে- তারা সব পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ছেড়ে দিয়েছে। একথা ঠিক যে, তারা অনৈসলামী কাজ করেছে। কিন্তু একথাও যুগপৎভাবে প্রযোজ্য যে, প্রতিটি মুসলমান মাত্রই কোনো পাপ কাজের পর তাদের অন্তরে অনুভব হয় যে- তারা গুনাহর কাজ করেছে। তাদের অন্তরে উদয় হয় “মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন ক্ষমা করে দেন।” অথবা তারা এসব গুনাহর কাজ স্মরণ করেই প্রায়ই বলে থাকে- ‘সারা জীবন অনেক গুনাহ করেছি’। নাঊযুবিল্লাহ! এছাড়া এরপরে তারা নামায পড়ে থাকে অথবা কমপক্ষে জুমুয়ার দিন পবিত্র জুমুয়া উনার নামায বা পবিত্র ঈদ উনার নামায পড়ে থাকে। এসব নামাযে উপস্থিতি মূলত তাদের বিগত গুনাহ থেকে তওবা করার বিষয়টাও সংযুক্ত বা মুখ্য থাকে। কাজেই দেশের মানুষ অনৈসলামী কাজে লিপ্ত থাকলেই যে এখান থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উঠে গেছে- একথা মনে করার কোনো অবকাশ নেই। প্রসঙ্গত, কথিত তরুণ প্রজন্ম এলোমেলো চললেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম তারা ঠিকই অন্তরে ধারন করে। এজন্য নিকট অতীতে শাহবাগ চত্বর থেকেও বারবার উচ্চারিত হয়েছে আমরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে নই। প্রমাণিত ও প্রতিভাত হচ্ছে- পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে স্থান নিলে যেমন শাহবাগ চত্বরের অস্তিত্ব থাকতো না, তেমনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে অবস্থান নিলে রাষ্ট্রযন্ত্রও টিকে থাকতে পারবে না।
সম্প্রতি সরকারের অতি উৎসাহী কিছু মুখপাত্র রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে উঠিয়ে দেয়া হবে এমন কথা ছড়াচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!। তাহলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন একথাও বহুগুণ সম্প্রসারিত হবে এবং দেশের ৯৮ ভাগ দ্বীনদার মুসলমান ফুঁসে উঠবে। কথিত তরুণ প্রজন্ম দেশের ভিত্তি নয়। আবার তরুণ প্রজন্মের নামে সবাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে নয়। আর দেশের মূলভিত্তি দেশের দ্বীনদার সাধারণ মানুষ। তাদেরকে অবহেলা করলে সরকার নিজের পায়ে কুড়াল মারবে। সরকারকে অবিলম্বে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যতœশীল হতে হবে। এবং নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতিসহ সব অনৈসলামিক তৎপরতা বন্ধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। সদিচ্ছা ও সক্রিয়তার প্রমাণ দিতে হবে।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের। সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হিমাগারের ভাড়া বাড়ায় আলু এখন ‘গলার কাঁটা’ আসন্ন জুলাই-নভেম্বরে আলুর দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে- অন্তর্বর্তী সরকারের এ প্রতিশ্রুতি যেনো পতিত জালিম সরকারের মত কথার ফুল ঝুড়িতেই পর্যবসিত না হয়
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত পবিত্র ১৭ই শা’বান শরীফ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র লাইলাতুল বরাতে সংশয়বাদী ও নাসীকারীরা বালহুম আদ্বল। ওদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে পবিত্র লাইলাতুল বরাতে বিশ্বাসী হওয়া ছাড়া কেউ মুসলমান হতে পারে না। মহিমান্বিত লাইলাতুল বরাত উনাকে উপলব্ধি ও উদযাপনের সর্বোত্তম স্থান হলো রাজারবাগ শরীফ
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুবারক হো পবিত্র ১৩ই শা’বান শরীফ! সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই শাবান শরীফ আজ।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিগত সরকারগুলোর মত কথিত অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের পতিত জমির দিকে নজর দিচ্ছে না অথচ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে দেশকে মহা সমৃদ্ধ করা যায় যতদিন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা না হবে ততদিন এসব নিয়ামত অধরাই থেকে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই তা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক এবং আখিরী যামানায় মুর্দা দিলের পূনরুজ্জীবন।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)