সম্পাদকীয়-১
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্নশীল না হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
, ০৬ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
.jpg)
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী সর্বাগ্রে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে চায়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে মনে-প্রাণে লালন করে। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধারণ করে। বহন করে। বিস্তার করে।
অনেক সময় সুরত-শেকেলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নিদর্শন না থাকলেও অন্তরে ঠিকই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বীজ লুকায়িত থাকে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জজবা অটুট থাকে।
এ কারণে দেশে হারাম সংস্কৃতির বেসামাল পরিবেশে অনেকে ভেসে গেলেও এক সময় তারা তটস্থ হয়। কাজেই নাট্যমঞ্চ বা সংষ্কৃতি মঞ্চের সামনে ভীড়, সিনেমা হলগুলিতে প্রচুর দর্শক, টিভি সেটগুলোর সামনে অগণিত দর্শক ইত্যাদি দেখে কল্পনা করার কারণ নেই যে- তারা সব পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ছেড়ে দিয়েছে। একথা ঠিক যে, তারা অনৈসলামী কাজ করেছে। কিন্তু একথাও যুগপৎভাবে প্রযোজ্য যে, প্রতিটি মুসলমান মাত্রই কোনো পাপ কাজের পর তাদের অন্তরে অনুভব হয় যে- তারা গুনাহর কাজ করেছে। তাদের অন্তরে উদয় হয় “মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন ক্ষমা করে দেন। ” অথবা তারা এসব গুনাহর কাজ স্মরণ করে প্রায়ই বলে থাকে- ‘সারা জীবন অনেক গুনাহ করেছি’। নাঊযুবিল্লাহ! এছাড়া এরপরে তারা নামায পড়ে থাকে অথবা কমপক্ষে জুমুয়ার দিন পবিত্র জুমুয়া উনার নামায বা পবিত্র ঈদ উনার নামায পড়ে থাকে। এসব নামাযে উপস্থিতি মূলত তাদের বিগত গুনাহ থেকে তওবা করার বিষয়টাও সংযুক্ত বা মুখ্য থাকে। কাজেই দেশের মানুষ অনৈসলামী কাজে লিপ্ত থাকলেই যে এখান থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উঠে গেছে- একথা মনে করার কোনো অবকাশ নেই। প্রসঙ্গত, কথিত তরুণ প্রজন্ম এলোমেলো চললেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম তারা ঠিকই অন্তরে ধারণ করে। এজন্য নিকট অতীতে শাহবাগ চত্বর থেকেও বারবার উচ্চারিত হয়েছে আমরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে নই। প্রমাণিত ও প্রতিভাত হচ্ছে- পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে স্থান নিলে যেমন শাহবাগ চত্বরের অস্তিত্ব থাকতো না, তেমনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে অবস্থান নিলে রাষ্ট্রযন্ত্রও টিকে থাকতে পারবে না।
কথিত তরুণ প্রজন্ম দেশের ভিত্তি নয়। আবার তরুণ প্রজন্মের নামে সবাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে নয়। আর দেশের মূলভিত্তি দেশের দ্বীনদার সাধারণ মানুষ। তাদেরকে অবহেলা করলে সরকার নিজের পায়ে কুড়াল মারবে। সরকারকে অবিলম্বে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যতœশীল হতে হবে। এবং নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতিসহ সব অনৈসলামিক তৎপরতা বন্ধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। সদিচ্ছা ও সক্রিয়তার প্রমাণ দিতে হবে।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামের ভয়ঙ্কর ড্রাগ আতঙ্কে সারাদেশ একান্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা এবং জনগণের সচেতনতা দরকার
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধী তৈরি করে, যা মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
১০ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিষ্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক শহীদদের সাথে প্রতারণা পরিবেশ উপদেষ্টার সম্যক উপলব্ধি প্রয়োজন।
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভুগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কম হলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না লবণচাষীরা মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
লাখ লাখ মটর আমদানী করে দিলেন, লাখ লাখ পার্টস কিনতে দিলেন, হাজার হাজার ওয়ার্কশপ হতে দিলেন, লাখ লাখ অটো রিকশা তৈরি করতে দিলেন, চার্জের কারেন্ট দিলেন, রাস্তায় নামতে দিলেন, অনেকে ঋণ করে অটো রিকশা কিনেছে তাও জানলেন এখন ইচ্ছে হলো আর অটো রিকশা বন্ধ করে দিলেন? দিচ্ছেনা? দিবেনা? এই স্বৈরাচারিতা আর স্বেচ্ছাচারিতা এবং দায়িত্বহীনতা ও দায়বদ্ধতাহীণতার সরকার ব্যবস্থা চলবেনা, চলতে পারে না।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাদ্য উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট হাসিনার কায়দায়ই বাংলাদেশে ৬০ লাখ টন গম আমদানির কথা বললো। আমাদের প্রশ্ন, গম আমদানি কেন? উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ গম রপ্তানীও করতে পারবে ইনশাআল্লাহ!
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্যবসার ওপর আরও চাপ আসছে, সরকারের ন্যূনতম কর প্রায় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এতে ক্রেতা-বিক্রেতা তথা গোটা দেশের ব্যবসা হবে ধ্বংসপ্রাপ্ত আর জনগণ হবে ভয়াবহ দুর্দশাগ্রস্ত এবং চরম দরিদ্র। সার্বভৌমত্ব হবে বিপন্ন। সঙ্গতকারণেই এখনই এর অবসান হওয়া দরকার ইনশাআল্লাহ।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)