পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও তা’যীমার্থে ক্বিয়াম শরীফ করা সুন্নত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
, ২০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৩ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার তরতীব
পাক-পবিত্র স্থানে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলের আয়োজন করতে হবে এবং সে জায়গাটি সুগন্ধি তথা আগর বাতি, আতর ও গোলাপের পানি দ্বারা খোশবুযুক্ত করে নিতে হবে। উপস্থিত শ্রোতাম-লী চুপ করে আলিম ছাহেব অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ পরিচালনাকারী যা পাঠ করবেন তা গভীর মনোযোগের সাথে শ্রবণ করতে থাকবেন। আর যেখানে সকলেই সম্মিলিতভাবে পাঠ করা প্রয়োজন সেখানে সম্মিলিতভাবে পাঠ করবেন। পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করার সময় আদবের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করবেন।
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ.
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمَنِ الرَّحِيْمِ.
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে শুরু করছি যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়।
يٰــاَيُّـهَـا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّـنْ رَّبّـِكُـمْ وَشِفَاءٌلّمَا فِى الصُّدُوْرِ لا وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لّـلْـمُـؤْمِـنِـيـْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا ؕ هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّـا يَـجْمَعُوْنَ ◌
لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مّنْ اَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ ◌ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ◌
مَا كَانَ مُـحَمَّدٌ اَبَا اَحَدٍ مّن رّجَالِكُمْ وَلٰكِن رَّسُوْلَ اللهِ وَخَاتَـمَ النَّبِيّيْنَ ؕ وَكَانَ اللهُ بِكُلّ شَيْءٍ عَلِيمًا ◌
اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيّ ؕ يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلّمُوْا تَسْلِيْمًا ◌
অর্থ : “ হে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী! অবশ্যই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াত দানকারী এবং খাছ করে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত মুবারকস্বরূপ আমার যিনি হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!
হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, সম্মানিত ফযল মুবারক এবং সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন সম্মানিত ‘ফালইয়াফরাহূ’ তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত ‘ফালইয়াফরাহূ’ তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ইঊনুস শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
অর্থ : “তোমাদের কাছে তোমাদের জন্য একজন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট উনার কাছে বেদনাদায়ক, উনি তোমাদের ভালাই চান, মু’মিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়। এরপরেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ (উপাস্য) নেই। আমি উনার উপরই ভরসা করি এবং উনিই সুমহান আরশে পাক উনার অধিপতি। ” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৮-১২৯)
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের কোন পুরুষের (প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির) পিতা নন; বরং তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল এবং সর্বশেষ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক বিষয়েই জানেন। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)
অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করো এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করো পেশ করার মত। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
তারপর সবাই মিলে অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে পবিত্র ছলাত শরীফ বা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












