সম্পাদকীয়-১
পলিথিন নিয়ে বাগাড়ম্বর, ইট ভাটা বন্ধে তোড় জোর, নারিকেল দ্বীপ বন্ধে গোয়ার-গোবিন্দ- ‘পরিবেশ উপদেষ্টা’ ও তার সরকার নদী ভাঙ্গন রোধে ফ্যাসিস্ট সরকারেরই নির্লজ্জ অনুসারী কেন? নদী ভাঙ্গন রোধে নিষ্ক্রিয় থেকে তারা কী বৈষম্যের ষ্টীম রোলারই চালিয়ে যাচ্ছে না?
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বর্ষার শুরুতেই নদীভাঙন শুরু হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। প্রতি বছর প্রধান প্রধান নদীর তীরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয় জুন থেকে, চলে আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হারিয়ে যায়। চলতি বর্ষাতেও পত্রপত্রিকায় প্রায় প্রতিদিনই ভাঙনের ভয়াবহ রূপ তুলে ধরা হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী বাঁধ ও নদীভাঙনে গ্রামের পর গ্রাম, জনপদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা ইত্যাদি বিলীন হয়ে দেশ ও জনসাধারণ অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হলেও তা রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বছরের পর বছর ধরে ভাঙনে মানুষ সর্বহারা হলেও এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের চিত্রে জানা যায়- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা বিধৌত গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, ফরিদপুর, মাদারিপুর, রাজবাড়ি, কুষ্টিয়া, পাবনা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুরসহ অন্তত ১২টি জেলার বিশাল জনপদ এখন প্রবল নদীভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে বলে সেন্টার ফর জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসের (সিইজিআইএস) এক রিপোর্টের বরাতে জানা যায়। তাদের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছর দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে অন্তত ২ হাজার হেক্টর জমি নদীভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
এটি নতুন কোনো অনুসঙ্গ নয়, প্রতি বছর এভাবে লাখ লাখ মানুষ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদীভাঙ্গন রোধে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও সেসব ব্যয় অবস্থার উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। পানি ও নদী ব্যবস্থাপনায় সামগ্রিক উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে সমন্বয়হীনতা, প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক সময় ও মান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাসহ অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা, দুর্নীতির কারণে একদিকে জনগণের ট্যাক্সের টাকা পানিতে যাচ্ছে, অন্যদিকে লাখ লাখ মানুষ প্রতিবছর দারিদ্র্য ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
নদীভাঙ্গন ও নদী ব্যবস্থাপনার পেছনে প্রতি বছর জাতীয় বাজেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও এসব ব্যয়-বরাদ্দ কতটা কাজে লাগছে সে প্রশ্নের সঠিক উত্তর কখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিগত সরকারগুলো বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীভাঙ্গন শ্রেফ প্রাকৃতিক দুযোর্গ নয়। এর পেছনে কাজ করছে আঞ্চলিক ভূরাজনীতি। আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে অভিন্ন নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ ও পানি প্রত্যাহারের কারণে নদীতে পলি জমে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্ষার শুরুতে অতিবৃষ্টি এবং ফারাক্কা-গজলডোবা বাঁধের সøুইচ গেইট খুলে দেয়ায় হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহ নদীসংলগ্ন এলাকাকে প্লাবিত করার পাশাপাশি অস্বাভাবিক ভাঙ্গনের শিকার হয়।
ভারতের পানি আগ্রাসনের সাথে সাথে আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে নদী দখল ও ভরাট, ইন্ডাসট্রিয়াল পলিউশান এবং পানি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সাংবাৎসরিক নদীভাঙ্গন ও বন্যার মতো দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দেশের মানুষ।
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলা ভারতের পদলেহি স্বৈরাচারের পতনের পর নতুন সরকারের কাছে এ বিষয়ে মানুষের প্রত্যাশা সঙ্গত কারণেই অনেক বেশি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ১০ মাসেও পানি সম্পদ উন্নয়ন, নদী ব্যবস্থাপনা ও নদীভাঙ্গনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অপেক্ষাকৃত গৌন পরিবেশগত বিষয়ে বাগাড়ম্বর করলেও নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা, নদীভাঙ্গন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাকে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতির কারণে পানি সম্পদ উন্নয়ন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এ সময়ে তা দূর করার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের যে অবাধ সুযোগ ছিল তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও ছিল এ সরকারের চেতনার দায়িত্ব। পর্যবেক্ষকমহল তাই প্রশ্ন ছুড়ে দেন- পলিথিন নিয়ে বাগাড়ম্বর, ইট ভাটা বন্ধে তোড় জোর, নারিকেল দ্বীপ বন্ধে গোয়ার-গোবিন্দ- ‘পরিবেশ উপদেষ্টা’ ও তার সরকার নদী ভাঙ্গন রোধে ফ্যাসিস্ট সরকারেরই নির্লজ্জ অনুসারী কেন?
নদী ভাঙ্গন রোধে নিষ্ক্রিয় থেকে তারা কী বৈষম্যের ষ্টীম রোলারই চালিয়ে যাচ্ছে না?
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












