সম্পাদকীয় (১)
পানির চেয়েও কমদামে বিক্রি হয়েছে গরুর চামড়া। সরকারের চরম অবহেলা আর পরম উদাসীনতা- ‘গার্মেন্টস শিল্পের’ চেয়েও সম্ভাবনাময়- ‘চামড়া শিল্পকে’ সোনালী আঁশ পাট শিল্পের মতই শেষ করে দিচ্ছে।
, ১৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি, রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়, কর্মসংস্থান ও মূল্য সংযোজনের নিরিখে চামড়া একটি অপার সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানি পণ্য। দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক গুণগত মানের অভাবে ব্যর্থতার চক্করে ঘুরপাক খাচ্ছে এ শিল্প খাত। এতে পর্যায়ক্রমে চামড়া রফতানির আয় কমে যাচ্ছে। অথচ চামড়া শিল্পের প্রধান এ কাঁচামাল চামড়ার সহজলভ্যতা থাকলেও এর যথাযথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
প্রতি ঈদুল আজহায় পুরো বছরের প্রায় ৬৫ শতাংশ চামড়া সংগৃহীত হয়। এ সময় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কম থাকে। কুরবানিদাতা চাইলে পশুর চামড়া ব্যবহার করতে পারেন। তবে বিক্রি করলে সেটির দাম দান করে দিতে হয়। তাই চামড়ার দাম বাড়লে এর প্রধান সুবিধাভোগী হয় সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষ। চামড়া বিক্রির টাকা কুরবানিদাতারা দুস্থ ও এতিমদের দান করেন।
কম দামে চামড়া কিনবেন, চামড়াজাত পণ্যের ক্রেতারাও সুফল পাবেন না, খুব কম দামে চামড়া বিক্রি হওয়ায় হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হবেনÑএটি নৈতিকতা ও ন্যায্যতার কথা হলো না।
সব সুফল কেবলই পাচ্ছেন আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা। প্রতি বছর আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে দামে কারসাজি করেন বলে অভিযোগ জোরালো। কর্তৃপক্ষকে দিয়েও কম দাম নির্ধারণ করে নেন তারা। এবারও তা হয়েছে।
নির্ধারিত দরের চেয়েও কম দামে চামড়া বেচাবিক্রি নিয়ে গতকাল জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকগুলোয় প্রতিবেদন ছিল।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এবারের কুরবানির ঈদে ১ লিটার বোতলজাত পানির দাম ছিল ৩০ টাকা। সেখানে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায় আর ছাগলের চামড়া কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ক্রেতারা।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা সদরসহ লক্ষীখোলা, ভিটিবাড়ী, ভাবকির মোড়, চেচুয়া বাজার, বড়গ্রাম, ঘোগা বাজার, কুমারগাতা, গাবতলি বাজার, বনবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই বাড়ির সামনে রাস্তায় বা আবর্জনার স্তূপের ভিতর ফেলে গেছেন।
উপজেলার ভিটিবাড়ি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ইমরুল কায়েস বলেন, ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে তার কুরবানির গরু কাটাকাটি শেষ হয়েছে। কিন্তু ঈদের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত কোনো চামড়া ব্যবসায়ীর দেখা মেলেনি। বিগত বছরগুলোতে এমন অবস্থা ছিল না, এখন এমন কেন হচ্ছে?
উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফ আহমেদ শরিফ জানান, এবার চামড়া কেনার জন্য কোনো ব্যবসায়ীকে দেখা যাইনি, দুই-একজন কিনছে তাও আবার আস্ত গরুর চামড়া ১৫ টাকা ও ছাগল ১০ টাকায়। এমন সিন্ডিকেট আগে কখনো দেখিনি।
ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪৫-৪৮ টাকা। এ ছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম নির্ধারণ করেও নির্ধারিত দামে চামড়া কেনেননি ব্যবসায়ীরা।
২০১৯ সালে তো বিপর্যয় ঘটে। সেবার দাম না পেয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চামড়া ফেলে দেন অনেকে। মাটিতে পুঁতে ফেলার ঘটনাও ঘটে। চামড়াশিল্প নগরের দূষণ বন্ধ না হওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বাংলাদেশি চামড়া কিনছে না। রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে চামড়াশিল্পকে দূষণমুক্ত পরিকল্পিত শিল্পনগরে স্থানান্তরের জন্য ২০০৩ সালে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। গার্মেন্টসশিল্পকে কথিত পরিবেশ বান্ধব করা হলেও ২১ বছরেও এই চামড়াশিল্প নগরকে কথিত পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছেনা কেন? সরকার সে প্রশ্নের জবাবও দিচ্ছেনা। এবিষয়ে আদৌ গাও করছেনা। চামড়াশিল্পে এখনই জরুরী নজর না দিলে সোনালী আশ পাটশিল্পের মতই চামড়া শিল্পও করুন দশায় পতিত হবে। উন্নয়নের দাবিদার সরকার কি করে চামড়ার মত উন্নয়ণ সহযোগি শিল্পে নীরব থাকতে পারে?
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬ কোটি মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ৪০-৫০% কর্মী স্বাস্থ্যসেবার সব সমস্যা দূরীকরণে যথাযথ সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ পবিত্র ২২ শে মুহররমুল হারাম শরীফ! এই মহান দিবসে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুপম বদদোয়া মুবারকের ফলশ্রুতিতে গযবে পতিত হয়ে পবিত্র কা’বা শরীফ ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে আসা কুখ্যাত আবরাহা বাহিনী ধ্বংস হয়ে যায় মুসলিম বিশ্বসহ তামাম কায়িনাতের উচিত এই দিবস থেকে ইবরত-নসীহত হাছিল করা।
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন সামরিক মেরুকরণ- সব মিলিয়ে ভূরাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং ও উত্তপ্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছরে ধারাবাহিকভাবে কমিয়েছে সমরাস্ত্র ব্যায় অন্তবর্তী সরকারও কেনো ফ্যাসিস্ট সরকারকেই অনুসরণ করছে?
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নো আসক্ত। পর্নো দেখতে তারা ব্যয় করছে শত শত কোটি টাকা। এখনই সরকার সতর্ক না হলে পর্ণোগ্রাফিতে পশ্বাধম জাতিতে পরিণত হবে পরবর্তী প্রজন্ম।
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চাহিদা ৩৬ লাখ টন আর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ৫০ লাখ টনেরও বেশী উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় হলেও পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার সুফল দিতে ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই সরকারের।
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
১৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)