মন্তব্য কলাম
প্রতিবছর বেকার হয় ১০ লাখ তরুণ প্রতিবছর শ্রমবাজারে তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রবেশ করে ২৪ লাখ তরুণ। প্রতি বছর সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১ লাখেরও কম সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিলের জন্য উপদেষ্টা সরকার গঠন হলো। আর সে উপদেষ্টা সরকার ৩৪ লাখ কর্মজীবির আশ্রয়স্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা ব্যবসাকে অন্তর্বর্তী সরকার দিন দিন অন্তরহীন করে যাচ্ছে।
, ১২ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
বাড়াচ্ছে সুদ হার, গ্যাস-বিদ্যুতের উচ্চ মূল্য বাড়াচ্ছে খেলাপী ঋণ প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীদের করা হচ্ছে সর্বস্বান্ত এবং মব জাস্টিসে আক্রান্ত
কোটা বাতিল করে মাত্র ২০/৩০ হাজার সঠিক সরকারী চাকুরী প্রার্থীর জন্য এত আস্ফালন, আন্দোলন এত প্রাণ দানের ঘটনা হলেও বাকী লাখ লাখ কোটি কোটি শ্রমজীবি, ব্যবসায়ীদের মরণদশা হওয়ার উপক্রম হলেও
আন্দোলনের কথা উঠছে না কেন?
বৈষম্যবিরোধীরা নিশ্চুপ কেনো?
উপদেষ্টারা নিষ্ক্রিয় কেনো?
গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গুটিকয়েকজনের দুর্নীতির কারণে গোটা ব্যবসায়ী সমাজকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার-বিবেচনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ শিল্পোদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, দেশে ব্যবসায়ী সমাজের বড় অবদান রয়েছে। এ দেশেই তারা ছোট থেকে বড় হয়েছেন। দেশের মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার কারণেই নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন।
অভিযোগ হয়েছে, যে যারা সম্পদ সৃষ্টি করেন, তাদেরকেই সব দোষারোপ করা হয়। যারা সম্পদ সৃষ্টি না করে, চুরি করে বা লুণ্ঠন করে সম্পদ অর্জন করে, তারাই আবার এসব সম্পদ সৃষ্টিকারীদের ওপর দোষ চাপান প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। সেজন্য এখন বলা হয় যে সমাজের দুটি গোষ্ঠী বিদ্যমান, একটি হলো সম্পদ সৃষ্টিকারী। আরেকটা হলো, যারা সম্পদ অর্জন করেন সৃষ্টি না করেই। যত সমস্যা বা ফ্যাসাদের মূলে রয়েছে এ দ্বিতীয় শ্রেণীটি যারা কিনা সৃষ্টি না করে সম্পদ অর্জন করে থাকে। যখন বৈষম্যের কথা বলা হচ্ছে, যত আন্দোলন হয়েছে গত কয়েক মাস আগে, সেটা তো মূলত ছোট্ট একটা ইস্যুতে আন্দোলন শুরু, সেটা হলো সরকারি চাকরিতে বৈষম্য বা কোটাবৈষম্য।
কিন্তু বৈষম্যের কথা উঠালে প্রশ্ন ওঠে, কতগুলো সরকারি চাকরি আছে দেশে? দেশে প্রতি বছর ২০-২২ লাখ লোক চাকরির বাজারে প্রবেশ করে যারা কর্মক্ষম। আমাদের কর্মক্ষমতা শুরু হওয়ার বয়স ১৬ বছর। তার সঙ্গে প্রতি বছর কৃষি খাত থেকে কর্মচ্যুত হয়ে আরো এক-দুই লাখ লোক কর্মবাজারে প্রবেশ করে। এদের সবাইকে বিদেশে পাঠানো ঠিক হবে না। এদের সবার পক্ষে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে এনে দেশে দেয়া সম্ভব নয়;। মাত্র ৩০০ ডলারের জন্য পারলে তাদেরকেও বিদেশে পাঠায় এ দেশের সরকার। তো সেজন্য আমরা চাই দেশে বিনিয়োগ করে আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে। কিন্তু সমস্যা হলো বিনিয়োগ যদি না হয় তাহলে কর্মসংস্থানের সুযোগ কীভাবে হবে?
কলকারখানা করতে গেলে একসময়ের ঋণের ৯ শতাংশ সুদ এখন ১৫ শতাংশ। দাম বাড়ার পরও পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদামতো জ্বালানি। মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি কমেছে। কিছুদিন আগে শিল্পকারখানায় হামলা করা হয়েছে। অনেক মালিক ঠিকমতো বেতনভাতা দিতে পারছেন না। এসব কারণে ব্যবসায়ীদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
দুটি খাতের জন্য বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রথমত. ব্যাংক খাত। দ্বিতীয়ত. জ্বালানি খাত। বাংলাদেশের মতো দেশে মূলধনি যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও অনেক নিত্যপণ্য আমদানি করতে হয়। জ্বালানির প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। যখন ডলারের দাম বাড়ে তখন এগুলোর দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি একটা খারাপ অবস্থায় চলে এসেছে।
অনেক ব্যবসায়ী মাঝেমধ্যে বলেন, আমরা কোভিডের সময় ভালো ছিলাম। আমরা কোভিডে ফিরে যেতে চাই। তার মানে কোভিডের চেয়েও খারাপ অবস্থায় এখন ব্যবসায়ীরা। গ্যাস-বিদ্যুতের কারণে কারখানা চালাতে পারছে না। শ্রমিক অসন্তোষ ছিল দুই মাস। ব্যাংকের টাকা কোথা থেকে দেয়া হবে?
সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কোনো গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে পুরো গ্রুপকে খেলাপি করা হচ্ছে। এটা ঠিক করতে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এজন্য একটি আইনও পাসও হয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নে যায়নি, সমাধানও হয়নি।
মূল্যস্ফীতির চাপে হিমশিম খাচ্ছে আমাদের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মনে করেন সুদহার বাড়ালেই মূল্যস্ফীতি কমবে। ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুদহার বাড়ালেই মূল্যস্ফীতি কমবে না। দেশের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ ইনফরমাল অর্থনীতিতে। ৭০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকেই যায় না। সেখানে সুদহার বাড়ালে কীভাবে হবে?
বরং আমাদের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি, জ্বালানি পুরোটাই আমদানি করতে হয়। সুদহার বাড়লে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। উল্টোটা হচ্ছে। কারণ মূল্যস্ফীতির জন্য অনেক আইটেম দায়ী। তো এতগুলো আইটেমের মধ্যে অন্য জায়গায় হাত না দিয়ে শুধু সুদহার নিয়ে খেলাধুলা করলে মূল্যস্ফীতি কমবে না।
মূল্যস্ফীতি কমানোর সবচেয়ে বড় জায়গা সাপ্লাই চেইন। সাটুরিয়ার এক কৃষক ৬০ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি করছেন। কৃষকের কাছ থেকে হাতবদল হয়েই দাম হলো ৭৫ টাকা। ঢাকায় সে বেগুন কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি। এখানে ব্যাংক সুদের কোনো বিষয় আছে কি না? তার মানে এখানে সাপ্লাইয়ের বিষয়। এসব জায়গায় হাত দিতে হবে। সুদহার বাড়লে তো বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকা যাবে না। সুদহার বেশি, গ্যাস না পেয়ে এলপিজি-সিএনজি-ডিজেল দিয়ে কারখানা চালানো হচ্ছে। খরচ কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে। দেশের পাশাপাশি রপ্তানি বাজারেও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা চলে যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে ২৭ শতাংশ ভোগ্যপণ্য আমদানি কমেছে। যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি কমেছে।
নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদ ১৫-১৬ শতাংশ হয়ে গেছে, কীভাবে টিকে থাকবে? কারখানা করার সময় সরকার মালিককে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানির নিশ্চয়তা দিয়েছিল, এখন দিতে পারছে না। দিতে যে পারবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নাই। কারণ সবকিছু এখন আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন ৬০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদন করে কয়লা দিয়ে। ভারতে প্রায় ৮০ শতাংশ। কিন্তু আমাদের কয়লা থাকার পরও আমরা ব্যবহার করি নাই। মাসে জ্বালানি আমদানির ২-৩ বিলিয়ন ডলার কোথা থেকে আসবে?
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল স্থাপন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং নৌ পথে পণ্য পরিবহনে ধসসহ নানা কারণে ছোট হয়ে যাচ্ছে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের বাজার। গত দেড় দশকে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিয়েছে অনেক শিল্পগ্রুপ। এছাড়া সম্প্রতি পাওনাদারদের টাকা মেরে উধাও হওয়ার ঘটনাতেও খাতুনগঞ্জের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, খুচরা ব্যবসাকে বলা হয় একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণ। খুচরা ব্যবসায় বিক্রি বাড়লে মনে করা হয় মানুষের কাছে অর্থ আছে। আর বিক্রি পড়ে গেলে এর উল্টোটা ধরা হয়। বাংলাদেশে খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানদার হিসেবে ধরা হয়। তাদের দিন খুব খারাপ যাচ্ছে। বিক্রি কমে গেছে। অনেকে ছেড়ে দিয়েছেন পেশা। বিভিন্ন শপিং মলের দোকানে শাটার ঝুলছে। দোকানদারি করে ভাড়ার টাকাও তুলতে পারছেন না অনেকে। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দোকানদারদের করুণ চিত্র দেখা গেছে।
অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাতে কমেছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। যার প্রভাব পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সব ব্যবসার ওপর। খাদ্যপণ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া খুবই কমই কেনাকাটা করছেন অনেকে।
মিরপুর শপিং সেন্টারের একটি পাঞ্জাবির শো রুমের মালিক রফিকুল হাসান বলেন, দোকানে একদম বিক্রি নেই। কোনো দিন এক-দুইটা বিক্রি হয়। আবার কোনো কোনো দিন খালি হাতে ফিরতে হয়। এখন বিকাল ৩টা বাজে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিক্রি হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ভাড়া বেড়েছে, বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে। কিন্তু আমার বিক্রি তো বাড়েনি। খরচ বাঁচাতে সেলসম্যান ছাড়াই এখন নিজেই দোকান চালাচ্ছি। অন্যদিকে উৎপাদনের ক্ষেত্রেও খরচ বেড়েছে। তাই কেউই শান্তিতে নেই।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, বিমানবন্দর, উত্তরাসহ প্রায় বেশির ভাগ এলাকার মার্কেটের চিত্রই এখন এমন। বিমানবন্দরের আশকোনা এলাকায় বড় শো রুম নিয়ে গার্মেন্টস আইটেমের দোকান খুলেছেন মাকসুদ আলম। তিনি জানান, করোনার লকডাউনের ক্ষতি এখনো পোষাতে পারিনি। এর মধ্যে সব কিছুর দাম বাড়ার কারণে কাস্টমার পেলেও দাম বাড়ার কারণে দেখে চলে যায়। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না। দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলও কোনো কোনো মাসে উঠছে না। আবার কর্মচারীর বেতনও দিতে হয়। সব মিলিয়ে আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি। জানি না কতদিন এটি চালিয়ে যেতে পারব।
এদিকে, ধানমন্ডির সানরাইজ প্লাজার ‘নিউ জামদানী প্যালেসে’র রায়হান বলেন, করোনার পরের বছর বেচাকেনা অর্ধেকে নামলেও এ বছর তা আরও কমে গেছে। তিনি বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন প্রচন্ড হারে খারাপ হচ্ছে।
অপরদিকে আরেক গযব হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ফ্যাসিস্ট ট্যাগ দিয়ে তাদের কোণঠাসা করা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে দেয়া। ঋণ সুবিধা বাতিল করা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করিয়ে দেয়া। এমনকী মামলা হামলার পর পুরো প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়ে বর্তমান ফ্যাশন মব জাষ্টিস করা।
ব্যবসা যারা করেন, সেনসিটিভিটির মধ্যে থাকেন, তারা ভয়ের মধ্যে থাকেন যে কী বলতে কী বলে ফেলি। আবার ব্যবসার ক্ষতি হয় কিনা। ব্যবসায়ীরা এমন অবস্থার মধ্যে রয়েছে যে কোনো একটা বক্তব্য পছন্দ হলো না, তখন একটা মব জাস্টিসের মচ্ছব হয়ে যায়। ওইরকম রিস্কের মধ্যে অনেকেই ব্যবসা চালু রাখতে চায় না। যদি ভাঙচুর হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তাদের ব্যবসা তো বন্ধ হবে। পরিস্থিতি ভয়াবহ খারাপ হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












