মন্তব্য কলাম
প্রতিবছর লাখেরও বেশী উচ্চ মেধাবী তরুণ উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়ে আর ফিরছে না। পাশাপাশি বিদেশে পড়াশোনার নামে অর্থও দেদারছে পাচার হচ্ছে। বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী এনে দেশের জন্য যারা কাজ করতে চান তাদের জন্য নেই কোনো সুযোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা। মেধার মূল্যায়নের অভাব, সুযোগ সুবিধার অসমতা এবং সরকারের অবহেলাপূর্ণ আচরণ বরদাশতের বাইরে। এর আশু পরিবর্তন প্রয়োজন।
, ৩০ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
যদি মেধাবীদের একটি অংশ দেশের বাইরে চলে যায় বা পড়তে গিয়ে থেকে যায় তাহলেই দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে যায়। ইংরেজিতে এ ঘটনাকে বলে ব্রেইন ড্রেইন বা মেধা পাচার।
দেশ থেকে মেধাবীদের যাওয়া ঠেকাতে সরকারও কাজ করছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে আমাদের দেশ বা এ রকম দেশের মেধাবীরা উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমায়। সে ক্ষেত্রে সেই দেশ উন্নত হয় এবং বিপরীতে শূন্য হয় জন্মভূমি। ওপেন ডোর রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জের তথ্যানুসারে, একক গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে স্টাডি পারমিট দিয়েছে। এই হার ২০০৯ সালের চেয়ে তিন গুণেরও বেশি।
ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যাশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফএসিডি-ক্যাব) বলছে, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৃত্তি পাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যান্য শীর্ষ গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
সংস্থাটির তথ্যমতে, ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রতি বছর উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে পাড়ি জমায়। একটি দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে মেধাবীদের ভূমিকাই প্রধান। অনেক মানুষ যে কাজটি করতে না পারে একজন সেই কাজ করে সবাইকে মুক্তি দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রয়োজন হচ্ছে অতিরিক্ত খাদ্যের জোগান দেওয়া। এখন উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজন নতুন নতুন জাতের খাদ্যশস্যের উদ্ভাবন, যেখানে বর্তমানের চেয়ে উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ একজন মেধাবী মানুষ প্রয়োজন। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই মেধাবী প্রয়োজন, উদ্ভাবনী শক্তির মানুষ প্রয়োজন। আমাদের দেশেও প্রচুর মেধাবী মানুষ রয়েছে কিন্তু অনেকের মধ্যেই রয়েছে দেশত্যাগের প্রবণতা।
উচ্চশিক্ষা লাভ করতে গিয়ে সেখানেই গবেষণা এবং ভবিষ্যৎ আবাস গড়ে তুলছে। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর উচ্চশিক্ষা লাভের স্বপ্ন থাকে। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি শেষ করে উচ্চমাধ্যমিক পড়তে যাওয়ার সময়ই তার চোখে থাকে আরো বড় কোনো স্বপ্ন। ভবিষ্যতের সুন্দর কোনো স্বপ্ন তাদের চোখের সামনে দোল খায়। সেই সঙ্গে কোন পথে গেলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে তার পরিকল্পনা করে। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ভালো কোনো চাকরি করার চেষ্টা তার ভেতর লালিত হয়। সেই উচ্চশিক্ষা নেওয়ার কাজটি যদি দেশের অভ্যন্তরেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী করতে পারতো তাহলে তা দেশের জন্য যেমন ভালো হতো একই রকমভাবে সেই সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীর জন্যও ভালো হতো।
দেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বহুসংখ্যক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। সরকার সেখানে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগ করছে। কিন্তু বিদেশে পড়ালেখা এবং গবেষণা কার্যক্রম শেষে অনেকেই আর ফিরছেন না। ফলে দেশ তাদের মেধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ কর্মক্ষম তরুণ সমাজ রয়েছে। উন্নয়নকে টেকসই করতে যাদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে, তারা এ তরুণ সমাজ। তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগানোর এক উৎকৃষ্ট সময় পার করছে দেশ। অনেক দেশ যোগ্য লোকের অভাবে অর্থনীতির ভিত ধরে রাখতে পারছে না।
প্রতিটি উন্নত দেশই কোনো এক প্রজন্মের মেধা, ত্যাগ, কঠোর পরিশ্রম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে উন্নত কাতারে নিয়েছে। তরুণদের মেধা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে না পারলে দেশের উন্নয়ন টেকসই হবে না, প্রযুক্তিতে পরনির্ভরশীলতা ঘুচবে না, ভালো নেতৃত্ব আসবে না।
এতক্ষণ যা বলা হলো, আমরা সবাই তা জানি ও বিশ্বাসও করি বটে। তাহলে আমরা দিন দিন দেখতে পাচ্ছি, মেধাবী তরুণেরা দলে দলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে আর দেশে ফিরছে না। এমনকি অনেকে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পদও একসময় বিক্রি করে তাদের নতুন ঠিকানায় নিয়ে যাচ্ছে। এই মেধাবী প্রকৌশলী, চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী বানাতে জনগণের ঘাম ঝরানো করের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লগ্নির জবাবদিহি থাকা দরকার। তাদের ধরে রাখার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) শিক্ষকতা করার সুবাদে যারা এখানে পড়েছেন কিংবা যারা হার্ভার্ডে পড়ছেন এবং যারা পড়ে গিয়েছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাদের সবার দেশে সম্মানজনক চাকরি থাকা সত্ত্বেও দেশে থাকতে চাচ্ছেন না। আবার অনেকে ভালো চাকরি, সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা ও সঠিক মূল্যায়নের অভাবে দেশে যেতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। এ কথা অনস্বীকার্য, ১০ বছর আগে দেশ থেকে যে পরিমাণ মেধাবী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মেধাবী আজ দেশ ছাড়ছেন, কিন্তু ফিরে আসার সংখ্যা খুবই কম। এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে সঠিক সংখ্যাটি বের করে তার কারণগুলো নিরূপণ করা উচিত বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
একটি হতে পারে, দিনে দিনে দেশে সুযোগ-সুবিধা কমে যাচ্ছে অথবা মেধাবী তরুণদের মনমানসিকতার আমূল পরিবর্তন হচ্ছে অবাধ সুযোগের কারণে। এখনই বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কিংবা রাজনীতিতে মেধাবী লোকদের সংকট দেখা দিয়েছে, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাচ্ছি? একটি স্মার্ট, নিরাপদ, জ্ঞানভিত্তিক, সমতা ও সাম্যপূর্ণ দেশ কি আমরা মেধাবী তরুণদের কাছে দিয়ে যেতে চাই না?
আগে দেখা গেছে, অনেকেই অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ ও হার্ভার্ড ইত্যাদিতে পড়ে, এমনকি সেখান থেকে শিক্ষকতা ছেড়েও দেশে গিয়েছেন। অনেকে হয়েছেন বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, ব্যাংকের গভর্নর, মন্ত্রী, উপদেষ্টা। এখন আমরা কি বলতে পারবো কয়েকজন চৌকস তরুণ মেধাবীর নাম, যাঁরা এমআইটি, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ কিংবা হার্ভার্ডে পড়ে দেশে ফিরে শিক্ষা, গবেষণা কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং দেশে স্থায়ী হতে বদ্ধপরিকর? যা দেখা যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে হতাশ হতে হয়।
তরুণ মেধাবীরা, যারা দেশে থাকতে চাচ্ছেন না, তাদের সঙ্গে কথা বলে যে কারণগুলো জানা গেলো, তার মধ্যে অন্যতম হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল পর্যায়ে ভালো ফেলোশিপসহ মানসম্মত শিক্ষার্থী না পাওয়া এবং গবেষণার অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকার কারণে তারা গবেষণায় পিছিয়ে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, জিডিপির আকারে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় বাংলাদেশে শূন্য, ভারতে প্রায় ১%, চীনে ২.৫%, যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৫%।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক মোট বাজেটের ১%-এর নিচে গবেষণায় ব্যয় হয়।
প্রথমত, যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ, যথাযথ মূল্যায়ন, যানজট, বায়ুদূষণ ও সামাজিক নিরাপত্তার প্রভূত অভাবের কারণে মেধাবীরা দেশে থাকতে চান না।
দ্বিতীয়ত, সাধারণত মেধাবীদের মধ্যে অনেকের স্বামী-স্ত্রী উভয়েই চাকরি করেন। তাদের সন্তানদের জন্য দেশে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ ডে-কেয়ার সেন্টার নেই। আবার থাকলেও পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত তাদের সন্তানদের ডে-কেয়ারে রাখার ব্যবস্থা নেই। তারা দাদা-দাদি, নানা-নানি কিংবা কাজের লোকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠুক, তারা তা চান না।
এসব সমস্যার সমাধান আমরা প্রতিবেশী দেশের দিকে তাকালেই দেখতে পাই।
এক. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্যালেন্ট ফেলোশিপের অনুরূপে দেশে চালু করা। এর মাধ্যমে প্রতিভাবানদের উচ্চ বেতন প্রদান, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল পর্যায়ে গবেষণা করার জন্য উন্নতমানের ফেলোশিপ দেওয়া। শর্ত থাকবে, বছরে নির্দিষ্টসংখ্যক পেটেন্ট, উন্নতমানের প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হবে এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করতে হবে। পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের জন্য ভারত ও চীনের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে দেশে এনে গবেষণামূলক কাজের অবাধ সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানি, এনজিও কিংবা ব্যক্তিপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়োগিক গবেষণা করার জন্য পর্যাপ্ত অনুদান প্রদানে এগিয়ে আসা। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে হার্ভার্ড ও এমআইটিতে বর্তমানে অনুদানের পরিমাণ হচ্ছে যথাক্রমে ৪০ ও ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দুই. সর্বোপরি মেধাবীরা একটি নির্ঝঞ্ঝাট জীবন চান। যেখানে থাকবে না বাড়ি-গাড়ি করতে ঝামেলা, দখলদারি আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিশেষ প্রটোকল ও সামাজিক মর্যাদার বিশেষ রকমসকম।
তিন. শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপত্তামূলক দক্ষ পেশাদারি জনবল দিয়ে ডে-কেয়ার সেন্টার সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চালু রাখার ব্যবস্থা।
তাহলেই মেধা অপচয় থেকে মেধা ধরে রাখা কিছুটা সম্ভব হবে। তা না হলে দেশ একদিন মেধাশূন্য হয়ে উদ্ভাবনী, জ্ঞানভিত্তিক ও টেকসই উন্নত দেশ নির্মাণে পিছিয়ে থাকবে।
বিদেশে এভাবে শিক্ষার্থী চলে যাওয়ার পেছনে নানান কারণ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণারত বাংলাদেশি সাংবাদিক বলেন, আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতাসহ বিকশিত হওয়ার অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবেই মূলত মেধাবী তরুণ প্রজšে§র একটি বড় অংশ উন্নত দেশে পাড়ি জমায়। এ ক্ষেত্রে তাদের আকৃষ্ট করে উন্নত দেশের গবেষণা, প্রযুক্তি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা।
একজন মেধাবীর মূল্যায়িত হওয়ার পথে দেশে কম-বেশি প্রতিবন্ধকতা আছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে হলে তাকে হলুদ-বেগুনি বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত করতে হয় নিজেকে। কিন্তু একজন গবেষকের সেই সময় কোথায়। উন্নত বিশ্বে শিক্ষা ও গবেষণায় রাজনীতির কোনো রঙ নেই। সেখানে যোগ্যতা ও গবেষণার মানই মুখ্য। এমন পরিস্থিতিই মেধাবীকে উন্নত দেশই আকৃষ্ট করে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, এসব বিষয় সব মহলেই জোরদার আলোচনা দরকার। সভা-সমাবেশ করা দরকার। মিডিয়ার এগিয়ে আসা দরকার। রাজপথে এসব দাবী উচ্চারিত হওয়া প্রয়োজন। খোদ মন্ত্রী পরিষদে উচ্চারিত-আলোচিত হওয়া প্রয়োজন এবং তাদেরও সক্রিয় ও স্বতঃর্ফূর্তভাবে নজর দেয়া প্রয়োজন। সরকারী ও বেসরকারী মহল এ বিষয়ে যুগপৎভাবে কাজ করুক- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন উনার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












