মন্তব্য কলাম
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ করার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
, ১৭ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে দেশের অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ের জেনারেল হাসপাতালের মতো চিকিৎসার প্রতিটি পর্যায়ে জনবলের সংকটের কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। গড় আয়ু বাড়লেও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় দেশের বয়স্ক ব্যক্তিরা জীবনের শেষ ভাগে বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তাই স্বাস্থ্য কমিশন গঠন জরুরি। দেশে কার্যকর কোনো স্বাস্থ্যনীতি নেই। এখন আমাদের আগামী ৫০ বছরের জন্য স্বাস্থ্য খাতের রূপরেখা নিয়ে ভাবতে হবে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান কাজ হলো বৈষম্যমুক্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা। আমাদের সংবিধানেও বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬। এদিকে বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫ হাজার ৫৫টি, যেখানে মোট শয্যার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ১৮৩। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৬৯টি। সরকারি হাসপাতাল ৪৩২টির মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ৩২২টি এবং ঢাকার বাইরে ১১০টি হাসপাতাল রয়েছে। এসবের মধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোয় ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগীর সেবা দেয়া হয়। এত সংখ্যক রোগীদের ভীড় থাকলেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দ দেশের মোট জিডিপির ৫ শতাংশেরও কম।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের বরাদ্দ দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিশেষায়িত সব সরকারি হাসপাতালে শয্যার চেয়ে ৫৩ শতাংশ রোগী বেশি ভর্তি হয়। এতেই বোঝা যায় আমাদের এখনো রোগীদের সেবা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত সরকারি হাসপাতাল নেই। জেলা ও মেডিকেল কলেজে রোগী ভর্তির হার যথাক্রমে ১৩৭ ও ১৫২ শতাংশ। দেশের অধিকাংশ মানুষ জেলা শহরে বাস করলেও জেলা পর্যায়ে সব রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি এখন পর্যন্ত। গুরুত্বপূর্ণ অনেক পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। যার ফলে বিশেষায়িত হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ে। এতে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
অন্যদিকে আরেক পরিসংখ্যানে দেখাচ্ছে বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবার প্রায় ৬৩ শতাংশ চিকিৎসা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত প্রদান করছে। সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংকট, জনবলের অপ্রতুলতার কারণে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালের দিকে এগিয়েছে। আর সেজন্যই বেড়েছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা। কিন্তু এতে করে সমস্যার সমাধান আসেনি। বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল সাধারণ মানুষের জন্য ব্যয়বহুল এবং এদের অনেকের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
আমাদের দেশের রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৭০ ভাগ নিজের থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে। যেহেতু আমাদের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কম। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) মতে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বাজেটের ৬০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় মূলত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, পরিচালনা খাত ও বেতন-ভাতা প্রদানে। ১৪ ভাগ মানুষ তাদের মোট আয়ের ১০ ভাগ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার এবং মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার কমাতে আমরা সফল হয়েছি। তবে এগুলো সব বিক্ষিপ্ত অর্জন।
সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কথা। তবে সে অধিকার যখন কারো ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ হয়ে যায় তখন বিষয়টা বড় উদ্বেগের হয়ে দাঁড়ায়।
দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রধান সমস্যাগুলোর অন্যতম হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে যথাযথ বাজেট বরাদ্দ না থাকা। আর এ সমস্যা নিরসনে জাতীয় বাজেটে খুব একটা প্রাধান্য পায় না। তাছাড়া নিজেদের সার্বিকভাবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা মানসম্পন্ন ও উন্নত করতে না পারা এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দাতাদের নির্দেশিত উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রভাব থাকায় স্বাস্থ্যের মতো সেবা খাত বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়ায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বাড়ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে বেসরকারীকরণ স্বাস্থ্যসেবাকে পণ্যে পরিণত করেছে। সাধারণ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা যথাযথভাবে পাচ্ছে না বলেই বাধ্য হয়ে অনেকেই বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীরা চিকিৎসার নামে তাদের কাছে জিম্মি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ অনুযায়ী, আমাদের দেশের প্রায় ৫২ লাখ মানুষ প্রতি বছর নিজ পকেট থেকে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে দরিদ্র হচ্ছে। আর বড় ধরনের আকস্মিক স্বাস্থ্য ব্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে প্রায় সোয়া দুই কোটি মানুষ। প্রতিদিন বাড়ছে ডাক্তারি পরামর্শের ফি, চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ।
চিকিৎসাসেবায় লাগামহীন ব্যয়ের বৃদ্ধির চিত্র দেখায় দেশের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণা তথ্য। সেখানে বলা হচ্ছে, দেশে চিকিৎসা খাতে মানুষের ব্যয় ৪৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে একজন রোগীর পেছনে যে ব্যয় হয়, তার ৭৩ শতাংশই সেবাগ্রহীতা ব্যক্তিকে বহন করতে হয়। চিকিৎসার এ ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে প্রতি বছর দেশে ৮৬ লাখ মানুষ আর্থিক সমস্যায় পড়ে। আর ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ১৬ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নেয়া থেকে বিরত থাকে। বিশ্লেষকদের মতে, কভিড-পরবর্তী দুই বছরে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় পদ সৃষ্টির কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। দেশে ১ হাজার ৫৮১ জনের জন্য মাত্র এক জন নিবন্ধিত চিকিৎসক রয়েছেন। গ্রামীণ, প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় চিকিৎসকের অনুপস্থিতি আরো বেশি।
প্রশিক্ষিত নার্সের সমস্যাও রয়েছে। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকলেও সেখানে টেকনোলজিস্টের পদ শূন্য রয়েছে। জনবল নিয়োগের ব্যবস্থাপনা (ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক, ল্যাব-টেকনিশিয়ান) বিকেন্দ্রীকরণ না হলে এ ধরনের অব্যবস্থাপনার কোনো সমাধান হবে না। শুধু চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সমাধান হবে না, তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াটাও জরুরি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেখা গেছে, যোগ্য কর্মীর অভাবে আধুনিক স্বাস্থ্য সরঞ্জামের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এজাতীয় সরঞ্জাম অকেজো হয়ে যায় এবং রোগীরা অবহেলায় মারা যায়।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিকারী স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। আফসোস করে বলা যায়, আমাদের দেশে এখনো এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তাই চিকিৎসায় শিক্ষাব্যবস্থাকে চারটি ধাপে শ্রেণিবদ্ধ করা উচিত যেমন :চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রশাসন ও রোগ প্রতিরোধ। এ ধরনের চার স্তরের স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে একজন শিক্ষার্থী তার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নির্ধারণ করবে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করবে। হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির জন্য পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অপরিহার্য। হাসপাতাল ও তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য মানবিক বোধসম্পন্ন জনবল নিয়োগ করা উচিত। অব্যবস্থাপনা এমন একটি বিষয়, যা গত ৫০ বছরে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ। প্রকৃত অর্থে দেশে এখনো পেশাদার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে তাদের জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ করার পরামর্শ দিয়েছে। গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ১ শতাংশেরও কম বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যয় হয় বেতন-ভাতা বাবদ, বাকি অর্থ ব্যয় হয় স্বাস্থ্যসেবার জন্য, যা খুবই অপর্যাপ্ত।
স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই খাতে আর্থিক বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এই খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে বর্ধিত বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই নিয়মিত গবেষণা, সঠিক কর্মপরিকল্পনা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। আমাদের জনগণের সর্বাত্মক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগুলো দূর করে স্বচ্ছতার সঙ্গে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন সময়ের প্রয়োজন।
ভারতেও হাহাকার শুরু হয়েছে। রোগী না পেয়ে ভারতের বেশ কিছু বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। একই সাথে বাংলাদেশি রোগী না যাওয়ায় ভারতের আবাসিক ও খাবারের হোটেল ব্যবসায়ও ধস নেমেছে।
ভারতের এ অবস্থাকে দেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশের সুযোগ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদি এটি কাজে লাগানো সম্ভব হয় তাহলে ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে যে হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থ ব্যয় হতো তা দেশেই থাকবে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












