সম্পাদকীয়-২
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
নূরপুরের রামগঞ্জে ‘সাপের কামড়ে’ আবদুল আলিম (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশুটি।
শিশুর মা মহিমা আক্তারের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক অ্যান্টিভেনম না দেওয়ায় আলিম মারা গেছে।
এর পূর্বে গত ১০ই আগস্ট ছেলেকে সাপে কামড়ানোর পর দুই জেলার চার হাসপাতালে নিয়েও বাঁচাতে পারেননি এক বাবা। হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম না থাকায় ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যর্থ বাবার যেন দুঃখের শেষ নেই।
ভুক্তভোগী এই ব্যক্তি নূরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকা বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ইসরাইল উদ্দীন।
নূরগাঁওয়ে গত দুই সপ্তাহে সাপের কামড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্বে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ প্রজাতির সাপ রয়েছে। আর বাংলাদেশে আছে ৯০ প্রজাতির সাপ। এসবের মধ্যে ৫ শতাংশ বিষধর। এগুলোর মধ্যে অন্যতম রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া, কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়, নায়া নায়া (কোবরা বা গোখরা প্রজাতির সাপ), কেউটে, ক্রেইট বা শঙ্খিনী ও নায়া কাউচিয়া। এর মধ্যে রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এ সাপটি ১০০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। গত ১০-১২ বছর আগে থেকে আবার এ সাপের দেখা মিলছে। বর্তমানে ২৭টি জেলায় এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে হাসপাতালে সাপের ছোবল খেয়ে চিকিৎসা নিতে আসা ২৪ হাজার ৪৩২ জনের মধ্যে ১১৮ জন মারা গেছেন। পরিসংখ্যান আরও বলছে, সাপের ছোবলের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে বরিশালে, তবে মৃত্যুর হার বেশি পদ্মাপাড়ের বৃহত্তর ফরিদপুর ও রাজশাহীতে, যেখানে বিষধর সাপ বেশি দেখা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছর সাপের কামড়ে মারা যাওয়া রোগীদের অধিকাংশকেই প্রথমে ওঝা বা বৈদ্যর কাছে নেওয়া হয়েছিলো। দ্রুত সময়ের মধ্যে আধুনিক চিকিৎসা নিলে এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগীকেই বাঁচানো যেতো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০২১ সালের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর ৪ লাখেরও বেশি মানুষ সাপের ছোবলের শিকার হন, যার মধ্যে প্রায় ৯৬ হাজার ৫০০টি বিষধর সাপের ছোবল। এই বিষধর সাপের ছোবলে বছরে ১০ হাজারের বেশী মানুষের মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপের ছোবলে এই ভয়াবহ মৃত্যুর হার দেশের স্বাস্থ্য খাতে এক নীরব সংকট তৈরি করেছে। তারা বলছেন, সাপের ছোবলে আক্রান্তদের ২০ থেকে ২২ শতাংশের মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো সমন্বিত চিকিৎসার অভাব এবং সময়ক্ষেপণ।
দেশে অ্যান্টিভেনমের উৎপাদন না থাকায় সাপের কামড়ে যেমন মানুষের মৃত্যু বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মৃত্যু আতঙ্ক।
‘বাংলাদেশে স্নেক বাইট চিকিৎসার অবস্থা অত্যন্ত করুণ। যেখানে চিকিৎসা মৌলিক অধিকার, সেখানে সর্পদংশন বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা হতাশাজনক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোথাও অ্যান্টিভেনম নেই, জেলা হাসপাতালেও রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এমনকি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চিকিৎসার মান কাক্সিক্ষত নয়। ’ ‘২০১৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভেনম রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হলেও আজও তা পরীক্ষামূলক ধাপে আটকে রয়েছে। কার্যকর উৎপাদন হয়নি, নেই কোনো জাতীয় পরিকল্পনা। উদ্যোগটি সফল হলে দেশি প্রজাতির বিষধর সাপের জন্য উপযোগী অ্যান্টিভেনম দেশের মাটিতেই তৈরি হতো।
প্রতিবেশী দেশে সরকারি হাসপাতালে রয়েছে সর্পদংশন ইউনিট, প্রশিক্ষিত কর্মী এবং নিজস্ব উৎপাদিত অ্যান্টিভেনম। প্রতিবেশী সরকার স্নেক বাইট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করেছে বহু আগেই। বাংলাদেশে এমন কোনো রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এখনো নেই।
সাপ যদি কামড়ায়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা হলে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য নয় কেনো? দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ উঠে আসছে যে অনেক হাসপাতাল ঘুরেও অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন পাওয়া যায়নি। মানুষ সাপের কামড় থেকে দূরে থাকতে সচেতন হবে, অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য হবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সরকারের শুধু গাফলতি নয় বরং যোগসাজশে- ভারত বাংলাদেশের সিন্ডিকেট সমন্বয়ে পেঁয়াজ আমদানীর ব্যবস্থা হচ্ছে এ সময়ে আমদানী হলে পেঁয়াজ চাষীরা সর্বসান্ত হবে আর সিন্ডিকেট হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করবে। পেঁয়াজের সংকট নেই বলেই বানিজ্য উপদেষ্টা আমদানী অনুমোদন করছে- এর জবাব কী। আলু চাষীর ন্যায় পেঁয়াজ চাষীও চাষ বন্ধ করে দেক, ক্রমান্বয়ে দুর্ভিক্ষ আসুক। সরকার তাই যেন আগ্রহভাবে চাইছে।
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আহলান! সাহলান! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক সংঘটিত হওয়ার দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র, মহাসম্মানিত, মহামহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। মুবারক হো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আযীমুশ্ শান পবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল উলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের কঠিন নীল নকশা- জাল টাকার প্রবেশ ঘটানো জাল টাকার বিস্তার রোধে সরকার ও নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাজারে ভয়ংকর ঘন চিনি মিথ্যা ঘোষণায় আসছে আমদানি নিষিদ্ধ ঘন চিনি পুরুষত্বহানি, মূত্রাশয়ে ক্যান্সারের তথা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর এই ঘন চিনি বন্ধে সরকারকে এখনি জিহাদ ঘোষণা করতে হবে
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে অপ্রতুল বরাদ্দ কী কায়েমী স্বার্থবাদীদের রক্ষা এবং তাবেদারদের খুশী করার জন্য?
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক এবং আখিরী যামানায় মুর্দা দিলের পূনরুজ্জীবন।
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রবীণরা অপুষ্টি, রোগ-ব্যাধি, মানসিক অবসাদ ও একাকিত্বে ভূগছে। প্রবীণরা বোঝা নয় বরং বড় সম্পদ রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রবীণদের সুরক্ষা ও সেবা দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পেঁয়াজের দাম এ বছরই কী দশ দিনেই দ্বিগুণ হলো? প্রতি বছরই এ সময়ে দাম বাড়ে পেছনে- সিন্ডিকেট আর হিমাগারের অভাব। অনেক আশ্বাসের সরকার অন্তর্বর্তী সরকারও বিগত ফ্যাসিস্ট আর দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক সরকারের পথেই হেটেই জনগণের সাথে কী বিশ্বাসঘাতকতা করল না সরকার?
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












